বিদেশী ইহুদী পুনর্বাসন ষড়যন্ত্র

এ . এন. এম. সিরাজুল ইসলাম

ইসরাইল ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে ৪০ লাখ ইহুদীকে ইসরাইল পুর্বাসন করার কর্মসূচী ঘোষণা করে। ১৯৯১ সালের জুন মাসে ইথিওপিয়া থেকে ২৬ হাজার ফালসা ইহুদীকে ইসরাইলে পুনর্বাসিত করা হয়। ইসরাইল গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইহুদীদেরকে ইসরাইলে পুনর্বাসনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ইসরাইল সরকার অধিকৃত আরব এলাকা ইহুদীকরণের উদ্দেশ্যে ইহুদী বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। একমাত্র পূর্ব জেরুসালেম শহরেই ৭০ হাজার ইহুদীকে পুনর্বাসনের জন্য ২০ হাজার আবাসিক ইউনিট তৈরির পরিকল্পন নিয়েছে। যাতে করে পূর্ব জেরুসালেমে ইহুদীর সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজারে পৌঁছে এবং মুসলমানেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়। কেননা, সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা হচ্ছে দেড় লাখ। এছাড়াও ইসরাইল উত্তর জেরুসালেমে ১২ হাজার আবাসিক ইউনিট এবং দক্ষিণ জেরুসালেমে সাড়ে ৭ হাজার আবাসিক ইউনিট তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে। ইসরাইল সরকারের ইহুদী বসতি স্থাপনের অর্থ যোগান দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ইহুদী সংস্থা এবং সবচাইতে বড় অর্থ যোগাদানকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। ফলে, এত বিরাট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তার কোন অসুবিধে হচ্ছে না। হাইকালে সুলাইমানী তৈরির জন্য ইসরাইলের সকল আয়োজন শেষ পর্যায়ে। এ জন্য মসজিদে আকসার চারপাশে যা যা করা দরকার সবকিছু তারা করেছে। মুসলিম বসতি উচ্ছেদ করে ইহুদী বসতি স্থাপন, মুসলমানের চাইতে ইহুদী জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা, মুসলমানদের জমিন হকুম দখল করা, মোট ১১ বার খনন কাজ করা, মুসলিম কবরস্থান উচ্ছেদ করা, হাইকালে সুলাইমানীর নতুন ভিত্তি স্থাপন করা ইত্যাদি। সেজন্য যে বাধা আসবে, গুলীর মাধ্যমে তার মোকাবিলা করা এবং মুসলমানদের রক্তে হোলি খেলাও শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও মসজিদে আকসা ধ্বংসের চেষ্টা ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়াই যথেষ্ট এবং এটাই তাদের অবশিষ্ট কাজ।

.

সকল অধ্যায়

১. জেরুসালেম
২. জেরুসালেমের গোড়ার কথা
৩. জেরুসালেম শহরের গুরুত্ব
৪. মসজিদে আকসার তাৎপর্য ও ফজীলত
৫. মসজিদে আকসার বর্ণনা
৬. মসজিদে সাখরা
৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মেরাজ
৮. মসজিদে আকসার প্রাচীন ইতিহাস
৯. আল আকসা মসজিদের ইসলাম পরবর্তী ইতিহাস
১০. মসজিদে আকসার ভূমিকা
১১. ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম ও ইহুদী জাতি
১২. ইহুদী চিন্তার আলোকে পবিত্রস্থান ও হাইকাল
১৩. প্রতীক্ষিত মাসীহর আগমন ও হাইকাল পুনঃ নির্মাণ
১৪. প্রতীক্ষিত মাসীহ সম্পর্কে খৃস্টানদের বিশ্বাস
১৫. মসজিদে আকসার স্থলে হাইকাল নির্মাণেছু ইহুদী সংস্থাসমূহ
১৬. ক্রিশ্চিয়ান যায়নবাদ
১৭. জেরুসালেম শহরে খৃস্টানদের পবিত্র স্থান
১৮. মসজিদে আকসা ও সাখরায় ইহুদী হামলার বিবরণ
১৯. বিদেশী ইহুদী পুনর্বাসন ষড়যন্ত্র
২০. জেরুসালেমের উপর ইহুদী দাবীর ভ্রান্তি
২১. মসজিদে আকসার বর্তমান প্রয়ােজন
২২. জেরুসালেম ও মসজিদে আকসা উদ্ধারের সঠিক উপায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন