জেরুসালেমের উপর ইহুদী দাবীর ভ্রান্তি

এ . এন. এম. সিরাজুল ইসলাম

জেরুসালেমের সর্বোচ্চ ইসলামী কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিন জাতীয় সংসদের স্পীকার আবদুল হামীদ আস-সায়েহ বলেছেন, “জেরুসালেমের উপর ইসরাইলীদের কোন ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অধিকার নেই।” আল্লাহর বিশেষ কুদরত হল, হযরত দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিস সালাম হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর পরবর্তী নবী ছিলেন। ইসলাম সকল নবীর উপর ঈমান আনার নির্দেশ দিয়েছে। তাই হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম কর্তৃক নির্মিত মসজিদে আকসা আজ মুসলমানদেরই স্বাভাবিক উত্তরাধিকার। সেখানে ইহুদী জাতির ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক অধিকার কিংবা ঐতিহ্যের আবদার চলে না। কেননা হযরত দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিস সালাম ইহুদীদের সরাসারি নবী নন। বরং মুসলমানরাই হযরত দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিস সালাম-এর যথার্থ উত্তরাধিকারী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর উপর তুর পাহাড়ে তাওরাত নাজিল হলেও তিনি ফিলিস্তিনে বাস করেননি এবং ইহুদীদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সম্ভবও হয়নি। সেই কারণে ‘জেরুসালেম তাওরাত কিংবা ইহুদীদের ভূমি সংক্রান্ত ইসরাইলী দাবী অর্থহীন। বরং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বাইতুল মাকদিস থেকে মেরাজে যাওয়ার কারণে তা ইসলামেরই পবিত্র স্থান ও পুণ্যভূমি।

.

সকল অধ্যায়

১. জেরুসালেম
২. জেরুসালেমের গোড়ার কথা
৩. জেরুসালেম শহরের গুরুত্ব
৪. মসজিদে আকসার তাৎপর্য ও ফজীলত
৫. মসজিদে আকসার বর্ণনা
৬. মসজিদে সাখরা
৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মেরাজ
৮. মসজিদে আকসার প্রাচীন ইতিহাস
৯. আল আকসা মসজিদের ইসলাম পরবর্তী ইতিহাস
১০. মসজিদে আকসার ভূমিকা
১১. ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম ও ইহুদী জাতি
১২. ইহুদী চিন্তার আলোকে পবিত্রস্থান ও হাইকাল
১৩. প্রতীক্ষিত মাসীহর আগমন ও হাইকাল পুনঃ নির্মাণ
১৪. প্রতীক্ষিত মাসীহ সম্পর্কে খৃস্টানদের বিশ্বাস
১৫. মসজিদে আকসার স্থলে হাইকাল নির্মাণেছু ইহুদী সংস্থাসমূহ
১৬. ক্রিশ্চিয়ান যায়নবাদ
১৭. জেরুসালেম শহরে খৃস্টানদের পবিত্র স্থান
১৮. মসজিদে আকসা ও সাখরায় ইহুদী হামলার বিবরণ
১৯. বিদেশী ইহুদী পুনর্বাসন ষড়যন্ত্র
২০. জেরুসালেমের উপর ইহুদী দাবীর ভ্রান্তি
২১. মসজিদে আকসার বর্তমান প্রয়ােজন
২২. জেরুসালেম ও মসজিদে আকসা উদ্ধারের সঠিক উপায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন