ধ্বংসযজ্ঞ – ২৩

কাজী আনোয়ার হোসেন

তেইশ

সিয়েরা লিওনের উপকূল পেরিয়ে সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে ইসি-১৫৫ ইয়োরোকপ্টার। প্যাসেঞ্জার কেবিনে গম্ভীর মুখে বসে আছেন জোসেফ আকুম্বা। বাহন হিসেবে হেলিকপ্টারটার তুলনা হয় না-বিলাসী ধনকুবেরদের আকাশযান বলে খ্যাতি আছে এর, কিন্তু তিনি খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না। কোথাও যেতে হলে সড়কপথ বা জলপথ ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন তিনি। রণক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটানোয় তিনি জানেন, ছোট্ট একটা আকাশযানকে ঘায়েল করা কত সোজা। ডাইরেক্ট হিটের প্রয়োজন নেই, কাছাকাছি একটা আরপিজি বিস্ফোরিত হলেই মাটিতে খসে পড়বে এই হেলিকপ্টার। রাইফেল-মেশিনগানের গুলিতেও তিনি অনেক হেলিকপ্টারকে ভূপাতিত হতে দেখেছেন।

সরাসরি আক্রমণের ভয় যে আকুম্বা করছেন, এমন নয়। তবে তাঁর জানা আছে, ইতিহাসে তাঁর মত বহু রাষ্ট্রনায়ক বা নামকরা মানুষ রহস্যময় বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ধরাধাম ত্যাগ করেছে। এসব আকাশযান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আছড়ে পড়ে কোনও দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বা ঘন জঙ্গলে… লোকচক্ষুর আড়ালে। সেখান থেকে প্রায়ই উদ্ধার করা যায় না ধ্বংসাবশেষ। ফলে প্রমাণ করা সম্ভব হয় না, সত্যিই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, নাকি স্যাবোটাজ করে ফেলে দেয়া হয়েছে আকাশ থেকে। হৈচৈ না বাধিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাউকে খতম করার জন্যে এরচেয়ে ভাল পন্থা আর দ্বিতীয়টি নেই।

তাই পারতপক্ষে বিমান আর হেলিকপ্টার এড়িয়ে চলেন আকুম্বা। আজ বাধ্য হয়েছেন চড়তে। কারণ সময় অত্যন্ত মূল্যবান। পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে বদলাতে শুরু করেছে তাঁর বিশ্বস্ত মিত্ররাও। সবাই যেন তাঁর বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকাচ্ছে। ব্যাপারটা আয়ত্তের বাইরে যাবার আগেই তাঁকে জানতে হবে, ভয়ঙ্কর সেই অস্ত্রটা তৈরি কি না।

উপকূল থেকে দশ মাইল যেতেই সামনে চারটা কালো বিন্দু দেখা গেল পানির বুকে। কপ্টার যত এগোল, ততই বড় হলো বিন্দুগুলো—ধীরে ধীরে অতিকায় অফশোর অয়েল- রিগের আকৃতি নিচ্ছে। কাল্পনিক একটা বর্গক্ষেত্রের চার বিন্দুতে বসানো হয়েছে ওগুলো, প্রত্যেকটার মাঝখানে কয়েক মাইলের ব্যবধান। অন্তত এক ডজন জাহাজ টহল দিচ্ছে রিগগুলোর চারদিকে। সবগুলোর সঙ্গে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে মালবাহী বিশাল বার্জ।

‘তিন নম্বরে নামো, পাইলটকে নির্দেশ দিলেন আকুম্বা।

মাথা ঝাঁকিয়ে কন্ট্রোল স্টিক নাড়ল পাইলট। কয়েক মিনিট পরেই নির্ধারিত রিগটার হেলিপ্যাডে আলতোভাবে নামিয়ে আনল কপ্টার। মাথা থেকে হেডসেট খুললেন আকুম্বা, নেমে পড়লেন নিচে। লম্বা পা ফেলে হাঁটতে শুরু করেছেন।

হেলিপ্যাডের এক প্রান্তে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে রিগের সুপারভাইজর ও তার সিনিয়র স্টাফরা। বিনয়ে বিগলিত ভঙ্গিতে সুপারভাইজর এগিয়ে এসে বলল, ‘স্বাগতম, মি. প্রেসিডেন্ট। আমাদের অপার সৌভাগ্য যে…’

‘তেলবাজি বন্ধ করো!’ বেরসিকের মত তাকে থামিয়ে দিলেন আকুম্বা। ‘ম্যালোনের কাছে নিয়ে চলো আমাকে।’

‘জী, স্যর,’ কুঁকড়ে গেল সুপারভাইজর। ‘আসুন।’

লোকটার পিছু পিছু রিগের মেইন ব্লকে ঢুকলেন প্রেসিডেন্ট। চারদিকে হাজারো পাইপ–ছাতে, দেয়ালে, সবখানে; পাইপগুলোর গায়ে বরফ জমেছে; পানি ঝরছে। ওই অংশটা পেরিয়ে ক্লাইমেট-কন্ট্রোলড্ একটা সেকশনে পৌঁছুলেন দু’জনে। ওখানে শোভা পাচ্ছে অনেকগুলো কম্পিউটার স্ক্রিন আর ফ্ল্যাট-প্যানেল ডিসপ্লে। ঠিক মাঝখানটায় একটা বড়-সড় মনিটর আছে, সেখানে ফুটে উঠেছে একটা অদ্ভুত ডায়াগ্রাম। দেখতে অনেকটা রেট্র্যাকের মৃত—দু’পাশে অর্ধবৃত্ত, সেগুলো জোড়া লেগেছে টানা কতগুলো সরলরেখার সাহায্যে। ছোট ছোট অসংখ্য ডেটা রয়েছে ডায়াগ্রামটার বিভিন্ন অংশে, এত দূর থেকে পড়া যাচ্ছে না। তবে সবগুলো রেখা সবুজ হয়ে আছে দেখে স্বস্তি পেলেন আকুম্বা।

‘তা হলে লুপের সবগুলো সেকশনই পাওয়ার পাচ্ছে?’ জানতে চাইলেন তিনি।

‘ইয়েস, মি. প্রেসিডেন্ট,’ বলল – সুপারভাইজর। ‘আজ সকালে সব অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। যদিও টেস্ট লেভেলে অপারেট করা হচ্ছে পুরো সার্কিট, তবে মি. ম্যালোন বলেছেন, প্রত্যাশিত রিডিং পাওয়া যাচ্ছে সবখানে।’

‘চমৎকার,’ মাথা ঝাঁকালেন আকুম্বা। ‘কোথায় সে?’

‘টার্গেটিং টানেলগুলোর একটায়। শেষ পর্যায়ের কনস্ট্রাকশন তদারক করছেন।’

‘আমি দেখব।’

কামরার এক প্রান্তে রয়েছে একটা ছোট্ট এলিভেটর, ঠাসাঠাসি করে দু’জন উঠতে পারে; সেটাতেই উঠলেন প্রেসিডেন্ট আর সুপারভাইজর। সুইচ টিপতেই নিচে রওনা হলো এলিভেটর। রিগের ধাতব কাঠামো পেরিয়ে নেমে গেল পানিতে, ডুব দিয়ে নেমে চলেছে। দেয়ালগুলো স্বচ্ছ প্লেক্সিগ্লাসের, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বাইরের দৃশ্য। আকুম্বার মনে হলো, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের কোনও রাইডে চড়েছেন। কাঁচ ভেদ করে তাকালেন বাইরে।

সারফেস ভেদ করে পানির তলায় পৌঁছেছে সূর্যের উজ্জ্বল কিরণ, ঝিলমিল করছে পানি। ঝাঁকে ঝাঁকে বর্ণিল মাছ সাঁতার কাটছে আশপাশে। নিচের দিকে তাকাতেই সাগরের তলদেশে একটা দীর্ঘ ফাটল দেখতে পেলেন… যেন একটা কাটা দাগ—কোত্থেকে শুরু, আর কোথায় তার শেষ, বোঝা যায় না। কাছ থেকে সরলরেখার মত দেখাচ্ছে, তবে আসলে দাগটা বক্রাকার। সাগরের পানি সরিয়ে মহাশূন্য থেকে তাকালে এই দাগের পূর্ণাঙ্গ যে-ছবিটা দেখা যাবে, তা পুরোপুরিভাবে মিলে যাবে ওপরের মনিটরের ওই ডায়াগ্রামটার সঙ্গে। দূর প্রান্তে শক্ত খোলসের ডাইভিং সুট পরা কিছু ওয়ার্কার আর কয়েকটা মিনি সাবমেরিন দেখা গেল—মাটি ঢেলে বুজিয়ে দিচ্ছে ফাটলটা।

আরও দূরে, দৃষ্টিসীমা যেখানে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে, সেখানে কাত হয়ে পড়ে থাকা আরেকটা সাবমেরিন দেখতে পেলেন আকুম্বা। আকারে অনেক বড় ওটা, পেটের অংশটা এমনভাবে হাঁ হয়ে আছে, যেন একটা অতিকায় তিমির পেট ফেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি সবকিছু দেখে যে-অনুভূতি হয়েছিল, এবার বদলে গেল তা। মনে মনে রেগে গেলেন তিনি।

বালিময় সাগর-তলদেশে পৌঁছুল এলিভেটর, থামল না। ঢুকে গেল ভূগর্ভের অন্ধকারে। সি-ফ্লোর থেকে প্রায় চল্লিশ ফুট নিচে নেমে থামল। দরজা খুলে যেতেই অবশ্য দূর হয়ে গেল আঁধার-কংক্রিটের একটা করিডোর উদ্ভাসিত হলো সামনে, সেখানে জ্বলছে অসংখ্য ফ্লুরোসেন্ট বাতি।

সুপারভাইজরের পিছু পিছু এলিভেটর থেকে বেরিয়ে এলেন প্রেসিডেন্ট। লক্ষ করলেন, করিডোরটা ঠিক বর্গাকার নয়, ছাতটা ধনুকের মত বাঁকানো রোমান আমলের অ্যাকোয়াডাক্টের মত লাগছে জায়গাটা। আসলে পানি আর মাটির চাপ সহ্য করার জন্যে বানানো হয়েছে অমন করে। আরেকটা জিনিস চোখে পড়ল তাঁর।

‘এখানে পানি কেন?’ ভুরু কুঁচকে জানতে চাইলেন তিনি।

মেঝের এখানে-ওখানে জমে আছে পানির ছোট ছোট পুল। দেয়ালও ভেজা অনেক জায়গায়।

‘কংক্রিট পুরোপুরিভাবে জমাট বাঁধার আগ পর্যন্ত পানি ঢুকবেই, কিছু করার নেই, স্যর,’ জানাল সুপারভাইজর। ‘তবে আশা করছি মাসখানেক পরে এই সমস্যা আর থাকবে না।’

তা-ই যেন হয়, মনে মনে বললেন আকুম্বা। পা বাড়ালেন সামনে। একটা ইন্টারসেকশনে পৌঁছে থামলেন। মেঝেতে হ্যাচ দেখা যাচ্ছে, একটা মই নেমে গেছে সেখান দিয়ে। সুপারভাইজরের ইশারায় ওটা বেয়ে নিচে নামলেন তিনি। পা রাখলেন নতুন আরেকটা টানেলে। এটার আকৃতি ভিন্ন—ঠিক একটা বৃত্তাকার টিউবের মত। মোটামুটি প্রশস্ত বলা যায়, ছোটখাট একটা গাড়ি ঢুকে যাবে অনায়াসে। টানেলের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের পাইপ-নানা ধরনের তার গেছে ওগুলোর ভেতর দিয়ে। ওপরের মত কুলিং টিউবও আছে, বরফ জমেছে গায়ে। এলইডি বালব লাগানো হয়েছে কিছুদূর অন্তর অন্তর, আর লাগানো হয়েছে চারকোনা ধাতব বাক্সের সারি। যতদূর চোখ যায়, সবখানে এই একই দৃশ্য।

টানেলে কাজ করছিল ম্যালোন। আকুম্বাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এল।

‘কাজ তো শেষ দেখছি,’ মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট। ‘ভেরি গুড!’

‘কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ,’ নীরস গলায় বলল ম্যালোন। ‘এখনও জিনিসটা পরীক্ষা করে দেখা বাকি। তা ছাড়া যে-ধরনের পাওয়ার আপনি চাইছেন, তার জন্যে বিশেষ ধরনের মেটেরিয়াল প্রয়োজন…. আদৌ সেটা আছে কি না কে জানে। আপাতত আপনাকে ষাট শতাংশের বেশি আউটপুট দিতে পারব না আমি।’

তোমার ব্যর্থতায় আজকাল আমি আর অবাকও হই না, রাগও করি না,’ বললেন আকুম্বা। ‘জানি, ব্যর্থতাই তোমার নিয়তি। যাক গে, অ্যাযোর্সের কাছে ডেভিল’স্ ডোরওয়ে বলে একটা জায়গা আবিষ্কৃত হয়েছে। শুনেছ?’

‘বাইরের দুনিয়ার খবরাখবর এখানে খুব কমই পৌঁছায়, ‘ ম্যালোন বলল। ‘তবে হ্যাঁ, এ-খবরটা শুনেছি। এক ধরনের ন্যাচারাল সুপারকণ্ডাক্টর নাকি পাওয়া গেছে ওখানে।’

‘ঠিক শুনেছ। ওখানে আমার লোক পাঠিয়েছি। আমার বিশ্বাস, ওখানেই আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাব।’

পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছল ম্যালোন। বলল, ‘আপনার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। জাপানি জাহাজ থেকে আনা তিনশো টন মাল এখানে বসিয়েছি আমরা, এরপর আর কোনও কিছুর জায়গা নেই।’

‘সাবমেরিনের প্রসঙ্গ তুলে ভালই করলে,’ গম্ভীর হলেন আকুম্বা। ‘আকাশ থেকে কোনও স্যাটেলাইটের ক্যামেরা এদিকে তাক করা হলে কী ঘটবে, কিছু আন্দাজ করতে পারো?’

‘কী বলতে চান?’

‘রাশান সাবমেরিনটার কথা বলছি… যেটা থেকে রিঅ্যাক্টর জোগাড় করেছি আমরা। ওটাকে টুকরো টুকরো করে লুকিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল তোমাকে। আমি চাই না স্যাটেলাইটের ক্যামেরায় ওটা ধরা পড়ে যাক।’

‘অযথা ভয় পাচ্ছেন,’ আশ্বস্ত করল ম্যালোন। ‘পানির পঞ্চাশ ফুট তলায় পড়ে আছে ওটা—কাত হয়ে। ওপরটা আবার ঢেকে দেয়া হয়েছে নেট দিয়ে। তা ছাড়া কেউ ওটাকে খুঁজছে না। যাদের মাল… মানে, রাশানরা… তারাই তো বিক্রি করে দিয়েছে। আমেরিকানরাও কোনও বাতিল সাবমেরিন নিয়ে মাথা ঘামায় না। জিনিসটার খবর জানেন কেবল আপনি আর আপনার রাশান বন্ধু। তবে সে-ও জানে না, সাবমেরিনটা আপনি কী কাজে লাগাচ্ছেন।’

‘এত কথা শুনতে চাই না,’ ধমকে উঠলেন আকুম্বা। ‘তোমাকে যা করতে বলা হয়েছে, তা-ই করো। নইলে সাবমেরিনের বদলে তোমাকেই আমি টুকরো টুকরো করব।’

নির্বিকার রইল ম্যালোন। ‘পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। আমাদের হাতে যতগুলো মিনি-সাব আর হার্ড সুট আছে, তা দিয়ে একসঙ্গে দুটো কাজ চালানো সম্ভব নয়। আপনিই বলুন, কোনটা আগে করব। টার্গেট লাইনের কাজ শেষ করব, নাকি ওই রদ্দি সাবমেরিনটার পেছনে লাগব?’

রাগ সামলাতে কষ্ট হলো আকুম্বার। দুটোই চাইছেন তিনি। সেইসঙ্গে চাইছেন ম্যালোনের বদলে আরেকটু সংযত স্বভাবের একটা লোক। কিন্তু সে-আশা পূর্ণ হচ্ছে কই? ইতিমধ্যে খবর পেয়েছেন, আরাতামা মারুর ধ্বংসাবশেষ নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছে আমেরিকান সরকার, বিশ্ব- ব্যাঙ্কও চাপ দিচ্ছে দেনা শোধ করার জন্যে। হাতে সময় নেই তাঁর।

একটু ভেবে সাবমেরিনটা যেভাবে পড়ে আছে সেভাবেই রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রেসিডেন্ট। খুব শীঘ্রি কাজে নামবেন তিনি, তখন এই সাবমেরিন কোথায় আছে না-আছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাবার অবস্থায় থাকবে না কেউ।

‘টার্গেট লাইন আর এমিটারগুলো শেষ করো,’ বললেন তিনি। ‘ওয়াশিংটন, লণ্ডন, মস্কো আর বেইজিং। এক সপ্তাহের মধ্যে এই চারটা রেডি হওয়া চাই, নইলে ঝুঁকিতে পড়ে যাব আমরা।’

ভেবেছিলেন কথাটা শুনেই ঘ্যানঘ্যান করবে ম্যালোন, কেন এত অল্প সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়, সে-বিষয়ে হাজারটা অজুহাত দেখাতে শুরু করবে। কিন্তু তাঁকে অবাক করে দিয়ে চুপ থাকল লোকটা। সংক্ষেপে শুধু বলল, ‘সব রেডি হয়ে যাবে ঠিক সময়ে। আমি কথা দিচ্ছি আপনাকে।’

সকল অধ্যায়

১. ধ্বংসযজ্ঞ – ১
২. ধ্বংসযজ্ঞ – ২
৩. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩
৪. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪
৫. ধ্বংসযজ্ঞ – ৫
৬. ধ্বংসযজ্ঞ – ৬
৭. ধ্বংসযজ্ঞ – ৭
৮. ধ্বংসযজ্ঞ – ৮
৯. ধ্বংসযজ্ঞ – ৯
১০. ধ্বংসযজ্ঞ – ১০
১১. ধ্বংসযজ্ঞ – ১১
১২. ধ্বংসযজ্ঞ – ১২
১৩. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৩
১৪. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৪
১৫. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৫
১৬. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৬
১৭. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৭
১৮. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৮
১৯. ধ্বংসযজ্ঞ – ১৯
২০. ধ্বংসযজ্ঞ – ২০
২১. ধ্বংসযজ্ঞ – ২১
২২. ধ্বংসযজ্ঞ – ২২
২৩. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৩
২৪. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৪
২৫. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৫
২৬. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৬
২৭. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৭
২৮. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৮
২৯. ধ্বংসযজ্ঞ – ২৯
৩০. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩০
৩১. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩১
৩২. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩২
৩৩. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৩
৩৪. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৪
৩৫. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৫
৩৬. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৬
৩৭. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৭
৩৮. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৮
৩৯. ধ্বংসযজ্ঞ – ৩৯
৪০. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪০
৪১. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪১
৪২. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪২
৪৩. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৩
৪৪. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৪
৪৫. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৫
৪৬. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৬
৪৭. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৭
৪৮. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৮
৪৯. ধ্বংসযজ্ঞ – ৪৯
৫০. ধ্বংসযজ্ঞ – ৫০
৫১. ধ্বংসযজ্ঞ – ৫১
৫২. ধ্বংসযজ্ঞ – ৫২

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন