ধ্বংসপুরী

প্রমথ চৌধুরী

দিন পনেরো আগে একটি পরিচিত ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হল। তিনি বছরখানেক আগে কোনো কাজে বিলেত গিয়েছিলেন দিন দশ-বারোর জন্য। কিন্তু এক বছর সেখানে ছিলেন ফেরবার জাহাজ পান নি বলে।

আমি পুরানো বিলেত-ফেরত, তাই তিনি বললেন, “আপনি আবার গেলে সে দেশ চিনতে পারবেন না। যে শহরেই যান— চোখে পড়বে শুধু ধ্বংসপুরী। বড়ো বড়ো ইমারত সব ভূমিসাৎ হয়েছে, না হয় তো ভাঙাচুরো অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে; কারো ছাদ নেই, কারো আধখানা আছে—বাকি আধখানা মাটিতে মিশিয়ে গেছে। সবচেয়ে আশ্চর্য এই যে, ইংরেজজাত আজও দাঁড়িয়ে আছে। যদিচ লোক মরেছে অসংখ্য। লণ্ডন শহরে নাকি হতাহতের দৃশ্য ভীষণ। বিশেষত গরিব লোকদের পাড়ায়। শয়ে শয়ে আবালবৃদ্ধবনিতার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অবশ্য সব সরিয়ে নেবার বন্দোবস্তও আছে। ইংরাজরা যে বাহাদুর জাত, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।”

এ কথা শুনে আমার মনে পড়ে গেল যে, পঁয়তাল্লিশ বৎসর পূর্বে বিলেতে আমি একটি ধ্বংসপুরী দেখে চমকে উঠি। তার মর্মস্পর্শী স্মৃতি আমার মনে আজও টাটকা রয়েছে। সে বাড়ি যেন একটি ইট-কাঠের tragedy।

আমি তখন ছিলুম পোলক্ নামে একটি ছোটো গ্রামে। তার এক পাশে ছিল সমুদ্র আর-এক পাশে পাহাড়-অর্থাৎ কিছু উঁচু জমি। মধ্যে যেটুকু সংকীর্ণ জমি, তার উপরে ছিল কতকগুলি ছোটো ছোটো cottage। বিলেতে cottageও দিব্যি বাসযোগ্য। যে cottageএ আমি ছিলুম, তার গৃহকর্ত্রী ছিলেন অতি অমায়িক, মিষ্টভাষী এবং ব্যবহারে মোলায়েম। আর খেতে দিতেন সকালে রুটিমাখন, চাকভাঙা মধু ও গৃহজাত cream ও strawberry। সে তো খাদ্য নয়—অমৃত। উপরন্তু গ্রামটি ছিল নির্জন ও শান্ত। কোনো কারণে তখন আমার মনে অশান্তি ছিল, তাই শান্তশিষ্ট গ্রামটি আমার বড্ড ভালো লাগল। যে দেশের নিম্নশ্রেণীর লোকরাও ভদ্র, সেই দেশই সভ্য।

পোলক্ থেকে দুবার অন্যত্র গিয়েছিলুম, একবার fox-hunting দেখতে—আর- এক বার একটি পাড়াগেঁয়ে মেলা দেখতে।

উক্ত গ্রামে একটি ভদ্র পরিবার বাস করতেন, যাঁদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ বন্ধুত্ব জন্মেছিল। তাঁদের সঙ্গেই আমরা fox-hunting দেখতে যাই।

ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে দেখি, অনেক স্ত্রী পুরুষ বড়ো বড়ো ঘোড়ায় চড়ে শিকারে যাবার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছেন। দেখলুম স্ত্রীলোকরাও পুরুষদের মতো ঘোড়ার দু পাশে পা ঝুলিয়ে অশ্বারূঢ় রয়েছে আর তাদের গায়ে লম্বা লম্বা কোট। এঁরা সকলেই বিলেতের অভিজাত সম্প্রদায়ের লোক। এঁদের ভিতর আমার একটি মহিলার মুখ চেনা ছিল। বৎসর আগে এই অঞ্চলের একটি হোটেলে তাঁকে দেখি ও শুনি যে তিনি একটি Lordএর স্ত্রী। মহিলাটি যেমন লম্বা তেমনি চওড়া আর ঘোড়ার মতো তাঁর মুখ। আর তাঁর মুখের রঙও লাল। তিনি যথেষ্ট whiskey পান করতেন।

এ শিকার ছেলেমানুষী। কুকুরে খুঁজে খ্যাকশেয়ালী বার করে, আর সকলে মিলে তাকে তাড়া করে—পগার ডিঙিয়ে, বেড়া টপ্‌কে। আর কুকুরেই সেই খ্যাকশেয়ালী মারে। এ শিকার ইংরাজ জাতির আদিম বর্বরতার পরিচায়ক। আমি এই শিকার দেখে বিরক্ত হয়েছিলুম। হাসিও পেয়েছিল এই আবিষ্কার করে যে, জাতির সভ্যতা একটি মিশ্র সভ্যতা; অর্থাৎ আদিম প্রাকৃত বর্বরতার উপরে সংস্কৃত সভ্যতা আরোপিত হয়েছে।

আর-এক বার পূর্বোক্ত ইংরাজ বন্ধুদের অনুরোধে একটি পাড়াগেঁয়ে মেলা দেখতে যাই। এ দেশের পাড়াগেঁয়ে মেলার সঙ্গে বিলেতের গ্রাম্য মেলার বিশেষ কোনো প্রভেদ নেই। সেখানেও দেখলুম নাগরদোলা আছে আর ঘোড়ার দোলা। বহু স্ত্রীপুরুষ সেই- সব কাঠের ঘোড়ার উপর আসোয়ার হয়ে চক্রাকারে ভ্রমণ করছে। আর বিক্রি হচ্ছে টিনের ভেঁপু, চীনে মাটির খেলনা আর চার পাশে খাটানো হয়েছে কতকগুলি ছোটো ছোটো তাঁবু, যার ভিতর বোধ হয় জুয়াখেলা চলছে আর সস্তা মদ বিক্রি হচ্ছে— যে মদ লোকের পেট ভরে কিন্তু হঠাৎ মাথায় চড়ে না।

নতুনের মধ্যে দেখলুম স্ত্রীস্বাধীনতার দেশে মেয়েদের অবাধ স্বাধীনতা—অর্থাৎ ছুটোছুটি করবার, চীৎকার করবার, চেঁচিয়ে হাসবার বে-পরোয়া স্বাধীনতা। ছেলেদের আনন্দ ও মেয়েদের আমোদের ঝড় যেন ঐ মেলায় বয়ে যাচ্ছে। আমরা এ দেশে স্ফূর্তি করে আমোদ করতেও ভুলে গিয়েছি। জনগণের এই উদ্দাম আমোদ দূর থেকে দেখতে আমার ভালো লাগে, যদিচ এ আমোদে আমি যোগ দিতে পারি নে।

আমাদের দেশে সেকালে এই ধরনের উৎসব ছিল, তার পরিচয় পাওয়া যায় হর্ষবর্ধনের রত্নাবলী নাটকে। সেকালে যা বসন্তোৎসব ছিল, তার অপভ্রংশ হচ্ছে একালের ‘হোরী’। আর বাঙলার বাইরে ‘হোরী’ খেলা জনগণের একটি শিকল-ছেঁড়া উৎসব।

সে যাই হোক, বেশিক্ষণ এ নাটকের দর্শক হওয়া যায় না। পুরুষের মত্ততা ও স্ত্রীলোকের তাণ্ডবনৃত্য সভ্যতার নিদর্শন নয়, মানবপ্রকৃতির আদিমতার লক্ষণ। জনগণের বারোমেসে জীবন নিরানন্দ, তাই খাটুনি থেকে ছুটি পেলে তারা এইরকম স্বতঃস্ফূর্ত আমোদ করে থাকে।

আমি বেহারে মহরম দেখেছি। সেখানে আমার বাল্যকালে হিন্দু-মুসলমান নির্বিচারে সকলে একত্র মিলে এই জাতীয় আমোদ করত। এখন হয়তো করে না; কেননা ইতিমধ্যে আমরা সভ্য হয়েছি, আর এ-হেন ব্যাপার সভ্যতার একটি অঙ্গ নয়।

অতঃপর ইংরাজ বন্ধুদের অনুরোধে মাইল-দুয়েক দূরে একটি ধ্বংসপুরী দেখতে গেলুম। সে বাড়িটা প্রায় সমুদ্রের ধারে-আর সমুদ্রের গায়ে এক সার willow গাছ আছে। আমরা যখন সেখানে উপস্থিত হলুম, তখন সমুদ্র থেকে জোর হাওয়া বইছে আর তার সোঁ সোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, যেমন এ দেশের ঝাউ গাছের মধ্যে দিয়ে বাতাস এলে শোনা যায়। এই নির্জন পুরী দেখে ও এই আওয়াজ শুনে মন উদাস হয়ে গেল।

বাড়িটি প্রকাণ্ড ও পাথরে গড়া। ঐ পুরী জীর্ণ নয়, কিন্তু কতক অংশ ভাঙাচোরা। বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখি যে তার ঘরগুলো মস্ত মস্ত—আজও তার দেয়াল ওক-কাঠে মোড়া। একটি ঘর দেখলুম যার ছাদ ভেঙে পড়েছে, উপরে আকাশ দেখা যাচ্ছে। এ কালে হলে বলতুম যে জার্মানরা বোমা মেরে ভেঙে দিয়েছে। শুনলুম এইটিই ছিল বাড়ির মালিকের Banqueting Hall। যাঁর এ বাড়ি ছিল, তাঁর কোনো ওয়ারিশ নেই। এই পরিত্যক্ত বাড়ি কেন আজও যে দাঁড়িয়ে আছে বুঝতে পারলুম না অর্থাৎ কেন যে ভূমিসাৎ করা হয় নি। বাড়িটির পাথর সব যেখানে যে ভাবে ছিল, সেখানে সেই ভাবেই আছে; বড়ো বড়ো চৌকোষ থাম সেকালের স্মৃতি বহন করছে। কিন্তু দোর-জানালায় কবাট কমই। ঝড়বৃষ্টির সে বাড়িতে অবাধ প্রবেশ। বাড়িটি তো আগাগোড়া হাঁ হাঁ করছে, আর তার অন্তরে সমুদ্রের বাতাস হু হু করছে। বাড়িটি যেন অভিশপ্ত আর এখন সেখানে ভূতপ্রেত বাস করছে। শুনলুম রাত্তিরে সে বাড়ির ভিতরে শোনা যায় শুধু চীৎকার আর কান্নার আওয়াজ। তাই এ বাড়িতে ভয়ে কেউ আসে না।

এই কিছুক্ষণ পূর্বে দেখে এসেছি জনগণের এই উদ্দাম আমোদ—তাই এই ধ্বংসপুরীর ইতিহাস শোনবার জন্য কৌতূহল হল। মেলা থেকে দু-চার জন এই ভুতুড়ে বাড়ি দেখতে এসেছিল। তাদের মুখে শুনলুম এ বাড়ি এককালে ছিল সবরকম পাপের আড্ডা–তাই ভগবানের শাপে তার এই দুর্দশা।

বাঙলাদেশে—বিশেষত এ অঞ্চলের পাড়াগাঁয়ে দুটি একটি আকারে-বিরাট পুরী দেখেছি। সে-সব বাড়ি তৈরি হয়েছিল ইংরাজ আমলের প্রথম দিকে— যে সময় জন কতক লোক অনেক জমির মালিক হন ও প্রকাণ্ড ধনী হয়ে ওঠেন। এ-সব বাড়ি মনোরম নয়, আর তাদের কোনো কারুকার্য নেই— আর পাথরে নয়, ইঁটে তৈরি বলে বহুদিন টিকে থাকবারও কথা নয়। কিন্তু এ-সব বাড়ি বিধ্বস্ত নয়—জীর্ণ। জরাজীর্ণ স্ত্রীপুরুষ দেখলে দুঃখ হয়—ভয় হয় না। কিন্তু যুদ্ধে আহত পুরুষ দেখলে ভয় হয়; তাদের হাত- পা ভাঙা ও বিকট চেহারা; অর্ধেক শরীরে যৌবন আছে—বাকি অর্ধেক খণ্ডিত; এমন- কি, মুখের আধখানা আছে, বাকি আধখানা বিনষ্ট। যারা এককালে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তারা যে এখন অন্নের জন্য ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে—এ কথা মনে করে আতঙ্ক হয়। বিলেতে বোধহয় এখন এরকম বিকলাঙ্গ ও অপ্রিয়দর্শন বহু লোক আছে। যুদ্ধরূপ পাপ করে দেশের প্রভুরা, আর তার প্রায়শ্চিত্ত করে দেশের দাসসম্প্রদায়।

সে যাই হোক—এই মর্মন্তুদ ধ্বংসপুরীর ইতিহাস কেউ জানে না। স্থানীয় লোক যাদের জিজ্ঞাসা করলুম, তারা বললে তারা গ্রামবৃদ্ধদের কাছে এর ইতিহাস শুনেছে; আর সেই গ্রামবৃদ্ধরা যখন ছোকরা ছিল, তারাও তাদের গ্রামবৃদ্ধদের কাছে শুনেছে। অতএব এ পুরীর ধ্বংসের একটি কিম্বদন্তি আছে। সে কিম্বদন্তি এই–

এ পুরী ছিল সেই সম্প্রদায়ের একটি বড়োলোকের— যে সম্প্রদায় এখন fox- hunting করেন। সেকালে তাঁরা রাজার হয়ে যুদ্ধ করতেন। ফলে তাঁরা ছিলেন নিষ্ঠুর, নির্মম এবং যথেচ্ছাচারী।

এখন শৃগাল বধ করা যে-সম্প্রদায়ের হয়েছে নেশা ও পেশা, সেকালে মানুষ বধ করা ছিল তাদের ধর্ম ও কর্ম।

এ বাড়ির মালিক ছিলেন একটি নামজাদা যোদ্ধা; তিনি বছর দু-তিন অন্য কোনো দেশে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। আর তাঁর পরমাসুন্দরী স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণের ভার তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু একটি Lordএর হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি একদিন না-বলাকওয়া হঠাৎ রাত দুপুরে বাড়ি ফিরে এলেন। ফিরে এসে দেখেন যে তাঁর বন্ধুটি শয়নমন্দিরেও তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছে।

পরস্বাপহরণ যাঁদের ধর্ম, পরস্ত্রীহরণও তাঁদের নিত্যকর্ম। মানুষের আদিম প্রবৃত্তির তাঁরা অবাধ চর্চা করতেন।

ফলে দুই বন্ধুতে সেই রাত্রিতে Banqueting Hallএ duel হল। দুজনের কাছেই তরবারি ছিল—লর্ডের স্ত্রী তাঁদের এ যুদ্ধ থেকে বিরত করতে অনেক চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি এ মারামারি কাটাকাটি ঠেকাতে পারলেন না।

বাড়ির মালিক তাঁর বন্ধুটিকে বধ করলেন ও নিজে আহত হয়ে ভূমিশায়ী হলেন। তখন তাঁর স্ত্রী একটি বল্লম নিয়ে তাঁর স্বামীর বুকে বসিয়ে দিলেন।

যে বিকট চিৎকার ও কান্না আজও শোনা যায় সে ঐ লাটপত্নীর প্রেতাত্মার চীৎকার ও কান্না।

তার পর নাকি এই ভ্রষ্টা ও পতিহন্ত্রী মহিলাটি ঘোর ধার্মিক হলেন। আর দিনরাত ধ্যানধারণা করতে আরম্ভ করলেন। তাঁর একটি খঞ্জ ও কুব্জ গুরু জুটল। লোকটি যেমন কুৎসিত তেমনি গুণী—আর মদ্যপান করত প্রচুর। তিনি নাকি মন্ত্রবলে ভূত নামাতে পারতেন। আর ঐ Banqueting Hallএই নানারূপ ক্রিয়াকর্ম হত।

কিন্তু যাকে তিনি পরলোক থেকে টেনে নামাতেন সে হচ্ছে মহিলাটির পতি—উপপতি নয়। মহিলাটি কিন্তু তাঁর উপপতিকেই দেখতে চাইতেন। তাঁর মৃত স্বামীর প্রেতাত্মা দেখে তিনি চীৎকার করতেন ও উপপতিকে দেখতে না পেয়ে কাঁদতেন। তিনিই ও-ঘরের ছাদ উপড়ে ফেলেছিলেন মাথায় একটি চুড়া বসিয়ে দিয়ে ঘরটিকে গির্জায় পরিণত করতে।

শেষটা তিনি পাগল হয়ে গেলেন এবং অতঃপর আত্মহত্যা করলেন। সুতরাং বাড়িটিকে যিশুখৃস্টের নয়, ভূতপ্রেতের মন্দির আর করা হল না। অমনি পড়ে রয়েছে। আর তার গায়ে জড়িয়ে রয়েছে হত্যা ও পাগলামির স্মৃতি।

এ গল্প শুনে আমার মন আরো খারাপ হয়ে গেল। যদি প্রকৃতির কোনো উপদ্রবের—যথা ঝড় কিম্বা ভূমিকম্পের ফলে ও-পুরী ধ্বংস হত তা হলে আমার মন অত খারাপ হত না। কিন্তু মানুষের পাপের শাস্তির নিদর্শন বলেই আমার মন এত আহত হয়েছিল।

জনগণের মুখে শোনা এ গল্প ইতিহাস নয়—কিম্বদন্তি মাত্র। আর এ কিম্বদন্তির স্রষ্টা হচ্ছে জনগণের কল্পনা। সেই জনগণের—যারা মেলায় মদ্য পান করে, নৃত্য করে আর অবাধে স্ত্রীলোকদের চুম্বন ও আলিঙ্গন করে “।

আর এ জাতীয় কল্পনা মানুষের যত বুক চেপে ধরে, কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা ততদূর করে না।

উপরে যা লিখলুম তা গল্প হল কি না বলতে পারি নে, কিন্তু realityর এক টুকরো চিত্র। বলা বাহুল্য যাকে আমরা reality বলি, তা আছে একমাত্র মানুষের কল্পনায় অর্থাৎ মনে—তার বাইরে নেই। বাইরে যা আছে, তা realityর কঙ্কাল মাত্র। এ ধ্বংসপুরী আমি আজও ভুলতে পারি নি, তার স্মৃতি মধ্যে মধ্যেই আমার মনকে পীড়িত করে। বিশেষত আজকের দিনে।

১৩৪৮

সকল অধ্যায়

১. প্রবাসস্মৃতি
২. আহুতি
৩. বড়োবাবুর বড়োদিন
৪. একটি সাদা গল্প
৫. ফরমায়েশি গল্প
৬. ছোটো গল্প
৭. রাম ও শ্যাম
৮. অদৃষ্ট
৯. নীল-লোহিত
১০. নীল-লোহিতের সৌরাষ্ট্র-লীলা
১১. প্রিন্স
১২. বীরপুরুষের লাঞ্ছনা
১৩. গল্প লেখা
১৪. ভাববার কথা
১৫. সম্পাদক ও বন্ধু
১৬. পূজার বলি
১৭. সহযাত্রী
১৮. ঝাঁপান খেলা
১৯. নীল-লোহিতের স্বয়ম্বর
২০. ভূতের গল্প
২১. দিদিমার গল্প
২২. অবনীভূষণের সাধনা ও সিদ্ধি
২৩. নীল-লোহিতের আদিপ্রেম
২৪. অ্যাডভেঞ্চার : জলে
২৫. ট্রাজেডির সূত্রপাত
২৬. মন্ত্রশক্তি
২৭. যখ
২৮. ঘোষালের হেঁয়ালি
২৯. বীণাবাই
৩০. ঝোট্টন ও লোট্টন
৩১. মেরি ক্রিসমাস
৩২. ফার্স্ট ক্লাস ভূত
৩৩. সল্পগল্প
৩৪. জুড়ি দৃশ্য
৩৫. পুতুলের বিবাহবিভ্রাট
৩৬. চাহার দরবেশ
৩৭. সারদাদাদার সন্ন্যাস
৩৮. ধ্বংসপুরী
৩৯. সারদাদাদার সত্য গল্প
৪০. সরু মোটা
৪১. সোনার গাছ হীরের ফুল
৪২. সীতাপতি রায়
৪৩. সত্য কি স্বপ্ন?
৪৪. অ্যাডভেঞ্চার : স্থলে
৪৫. প্রগতিরহস্য
৪৬. প্রফেসারের কথা
৪৭. চার-ইয়ারি কথা
৪৮. প্রসঙ্গকথা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন