দুর্গের মতো সেই বাড়িটা

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

দুর্গের মতো সেই বাড়িটা

কেউ আমার কথা বিশ্বাসই করতে চায় না৷ অথচ আমি কি নিজের চোখকে অবিশ্বাস করব?

ব্যাপারটা একটা বাড়ি নিয়ে!

এই বাড়িটা আমি প্রথম যখন দেখি, তখন আমার বয়েস ছিল বারো৷ বয়েজ স্কাউট থেকে আমরা ক্যাম্প করতে গিয়েছিলাম গঙ্গানগরে৷ তিন দিন ধরে দারুণ হৈচৈ হয়েছিল সেখানে৷

তারই মধ্যে একদিন বিকেলবেলা ছিল আমাদের ‘যে-দিকে খুশি যাও’ প্রোগ্রাম৷ সবাইকে একা একা আলাদা যে-কোনো দিকে চলে যেতে হবে, ফিরতে হবে ঠিক দু’ঘণ্টা পরে৷ দু’ঘণ্টা পাঁচ মিনিটের বেশি দেরি হলেই শাস্তি৷ আর ফিরে এসে সেদিন রাত্তিরের ক্যাম্প ফায়ারে বলতে হবে সেদিনের অভিজ্ঞতা৷

অনেকে বানিয়ে বানিয়ে কতরকম গল্পই যে বলেছে! একজন নাকি গঙ্গাসাগরের কাছেই বাঘের পাল্লায় পড়েছিল৷ একজন দেখেছিল একটা পাইথন৷ দু’জন পড়েছিল ডাকাতের পাল্লায়৷ গুলতাপ্পি মারার ব্যাপারে কোনো নিষেধ ছিল না৷ একজনের গল্প শুনতে শুনতে আমরা হাসতে হাসতে খুন৷

আমার অবশ্য ওরকম কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি৷ বানাতেও হয়নি৷ আমি দেখেছিলাম একটা দারুণ বাড়ি৷ ওরকম জমকালো বাড়ি আমি আগে কখনো দেখিনি৷

গঙ্গানগর ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আমি একলা হাঁটা দিলাম অনেকক্ষণ৷ সঙ্গে ঘড়ি নেই, ঠিক দু’ঘণ্টার মধ্যে ফিরতে হবে, সেই চিন্তা সব সময় মাথার মধ্যে৷

হাঁটতে হাঁটতে মনে হল রাস্তার পাশে একটা জঙ্গল৷ ঢুকে পড়েছিলুম সেই জঙ্গলের মধ্যে৷

সেটা আসলে একটা বাগান৷ খুব বড় বড় আম জাম কাঁঠালের গাছ৷ বাগানটার মধ্যে খানিকটা যেতেই চোখ পড়ল সেই বাড়িটা৷

সেই বারো বছর বয়সে আমার মনে হয়েছিল ঠিক যেন একটা রূপকথার বাড়ি দেখছি! রূপকথার কিংবা ইতিহাসের৷ বাড়িটা ঠিক একটা দুর্গের মতন৷ তাও আমাদের দেশে ওরকম দুর্গ হয় না৷ ছবির বইতে কিংবা ইওরোপের অন্য দেশে ওরকম ছোট ছোট দুর্গের ছবি দেখেছি৷

সামনে একটা দু’মানুষ উঁচু লোহার গেট৷ তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু’জন বন্দুকধারী পাহারাদার৷ গেটের দু’পাশে দুটো লম্বা গম্বুজ, তাদের মাথায় একটা করে বড় ঘড়ি৷ ঘড়ি দুটো চলছে৷

প্রথমেই ঘড়ি দুটো দেখে আমার খুব ভালো লাগল৷ এরকম জঙ্গলের মধ্যে এসে যে ঘড়ি দেখতে পাবো, তা আশাই করিনি৷ তাহলে আমার ঠিক সময় ফেরার কোনো অসুবিধে হবে না৷

গেটের সামনে দাঁড়াতেই একজন প্রহরী জিজ্ঞেস করল, কেয়া মাংতা? আমি বললুম, কুছ নেই, দেখতা হ্যায়৷

প্রহরী দু’জন খুব রাগী নয়৷ বেশ হাসিখুশি মুখ৷ আমার সঙ্গে আলাপ করবার জন্য জিজ্ঞেস করল, নাম কেয়া? কাঁহাসে আতা হ্যায়?

সব উত্তর দিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলুম, ভিতরে একটু যেতে পারি?

কাহে?

ভিতরে ঘুমকে দেখে গা৷

প্রহরী দু’জন নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করল একটু৷ তারপর একজন ঘাড় নেড়ে বলল, নেহি, হুকুম নেহি৷

তাতে আমি খুব একটা দুঃখিত হইনি৷ হুকুম নেই যখন, তখন আর কী করা যাবে!

প্রহরীদের সঙ্গেই গল্প করতে লাগলুম কিছুক্ষণ৷ ভেতরে কী কী আছে জিজ্ঞেস করলুম৷

তাতে জানতে পারলুম যে, ওটা একটা জমিদারের বাড়ি৷ স্কটল্যান্ডের একটা দুর্গের অনুকরণে বাড়িটা বানানো হয়েছে, সাহেব মিস্তিরিরা বানিয়েছে৷

বাড়িটার পেছনে একটা পুকুর আছে, সেটার চারপাশ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো৷ সেখানে নাকি এত মাছ আছে যে হাত দিয়েই ধরা যায়৷ বাড়ির মধ্যে আছে অনেক ভালো ভালো মূর্তি৷ আর দু’খানা ঘর ভর্তি আছে অনেক রকম অস্ত্র-শস্ত্র৷ জমিদারবাবুর অস্ত্র-শস্ত্র জমাবার শখ খুব৷ দেশ-বিদেশ থেকে তিনি অনেকরকম বন্দুক-তলোয়ার কিনে এনেছেন৷ এর মধ্যে অনেক ঐতিহাসিক অস্ত্রও আছে৷

গম্বুজের ঘড়ির দিকে বার বার চোখ রেখেছিলাম৷ এক ঘণ্টা পার হবার পর ফিরব ভাবছি, এমন সময় ধুতি-পাঞ্জাবি পরা একজন লোক সেই বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন গেটের কাছে৷

আমার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কী চাই?

আমার হয়ে প্রহরীরাই বলল, এই খোকাবাবু এই কোঠি দেখতে এসেছে৷

ধুতি পরা ভদ্রলোকটি বললেন, বেশ তো, ভেতরে এসো৷

ভদ্রলোক আমাকে খুব যত্ন করে সারা বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালেন৷ যা কিছু দেখি, তাতেই মুগ্ধ হয়ে যাই৷ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো পুকুর আমি আগে দেখিনি৷ তাতে সত্যিই কিলবিল করছে অনেক মাছ৷ বাড়ির উঠানে আর দোতলার বারান্দায় অনেকগুলো শ্বেত পাথরের মূর্তি৷

কিন্তু অস্ত্রের ঘরটা আমার দেখা হয়নি৷ সেই ভদ্রলোক বলেছিলেন, ও ঘরের চাবি তো থাকে না আমার কাছে৷ দাদা নেই; এসে যাবেন একটু পরেই৷ তুমি একটু অপেক্ষা করো ভাই, দাদা এলেই তোমায় দেখিয়ে দেবো৷

কিন্তু তক্ষুনি গম্বুজের ঘড়িতে ঢং ঢং করে পাঁচটা বাজল৷ আর দেরি করার উপায় নেই৷ আমি ছুট দিলাম ক্যাম্পের দিকে৷

সে রাত্রে ক্যাম্প ফায়ারে আমি শুনিয়েছিলাম ওই বাড়িটির কথা৷

তখন আমি ডাইরি লিখতাম, তাতেও ওই অভিজ্ঞতার কথা লিখব ভেবেছিলাম৷

এর পর দশ বছর কেটে গেছে৷

আমি কলকাতা থেকে বাসে যাচ্ছিলাম শিলিগুড়ি৷ হঠাৎ একসময় চমকে উঠেছিলুম৷

তখন প্রায় সন্ধে৷ এদিকের রাস্তা ভেঙে নতুন করে সদ্য চওড়া করা হয়েছে৷ আমি বসেছিলাম জানালার ধারে৷

একসময় চমকে উঠে দেখি, রাস্তার ঠিক পাশেই সেই দুর্গের মতন বাড়িটা৷ সেই দুটো গম্বুজের মাথায় ঘড়ি রয়েছে৷ গেটের পাশে অবশ্য বন্দুকধারী প্রহরী নেই৷

এ বাড়ির এত কাছ দিয়ে তো রাস্তা ছিল না৷ এখানে ছিল বাগান৷ সেই বাগান কোথাও উধাও হয়ে গেছে, এখন সেখানে রাস্তা৷ গম্বুজ দুটোও অনেকটা ভাঙা ভাঙা৷ দূরে বাড়িটাকেও বেশ জরাজীর্ণ মনে হল৷

চলন্ত বাস থেকে আর কতখানিই বা দেখা যায়! একটু বাদেই বাড়িটা মিলিয়ে গেল৷ আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললুম৷ মাত্র দশ বছর আগেও বাড়িটা কত টাটকা ছিল!

কিন্তু দুঃখ করেই বা কী হবে! এখন জমিদারের দিন চলে গেছে৷ এসব বড় বড় বাড়ি টিকিয়ে রাখাই শক্ত৷ ওই রকম কত বাড়ি এখন হাসপাতাল কিংবা কলেজ হয়েছে৷

তারপর আরও পাঁচ বছর কেটে গেছে৷

আমি গিয়েছিলাম কোচবিহারে৷ সেখান থেকে একটা বাসে এলাম নিউ জলপাইগুড়ি৷ দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরব৷ হঠাৎ ঘোষণা শোনা গেল যে কিছু দূরে রেললাইনে একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে, সে রাতে আর দার্জিলিং মেল যাবে না৷

মহা মুস্কিল! অথচ সে রাতে আমায় কলকাতায় ফিরতেই হবে৷

তক্ষুনি চলে এলুম শিলিগুড়ি৷ সেখান থেকে রকেট বাস তক্ষুনি ছাড়বে, ঝট করে উঠে পড়লুম৷

রকেট বাস চলে সারা রাত ধরে৷ যাত্রীরা সবাই ঘুমিয়ে আছে৷ আমিও খানিকবাদে ঘুমিয়ে পড়েছিলুম৷

হঠাৎ একসময় ঘুম ভেঙে গেল৷ দেখি যে বাসটা থেমে আছে রাস্তার পাশে৷

কী ব্যাপার?

জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখলুম, ড্রাইভার-কন্ডাক্টর নেমে ঘোরাঘুরি করছে৷ বাসটা খারাপ হয়ে গেছে৷

আমিও নেমে পড়লুম৷ গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা হয়ে গেছে৷ সেই আড়ষ্টতা কাটাবার জন্য দু’এক পা এগিয়েছি৷ হঠাৎ দেখি সামনে একটা গম্বুজের মাথায় ঘড়ি৷

আরে, এ তো সেই বাড়িটা!

পাশাপাশি দুটো গম্বুজই রয়েছে, ঘড়ি দুটোও চলছে৷ দূরে সেই বাড়িটা!

আমি গেটের কাছে এসে দাঁড়ালাম৷ সেখানে প্রহরী নেই, কেউ নেই৷ একটু ঠেলা দিতেই গেটটা খুলে গেল৷

ভেতরে ঢুকবো কি না ভাবছি, এমন সময় একটা হ্যারিকেন নিয়ে এগিয়ে এলো একটা লোক৷ ধুতি আর পাঞ্জাবী পরা৷

লোকটি কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার?

আমি বললুম, আমাদের বাস খারাপ হয়ে গেছে৷ তাই একটু ঘোরাঘুরি করছি৷

লোকটি বললেন ও তাই আওয়াজ শুনলাম বটে৷ সেই আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেল!

আমার মনে হল, এই লোকটিকেই কি আমি পনেরো বছর আগে দেখেছিলুম? হতেও পারে৷ ভদ্রলোকের বয়েস এখন পঞ্চাশের কাছাকাছি৷

ভদ্রলোক বললেন, এই শীতের রাতে আপনাদের বাস খারাপ হয়ে গেল, আপনাদের তো খুবই অসুবিধে হচ্ছে৷

আমি বললুম, যা মনে হচ্ছে, সারারাতেও ঠিক হবে কিনা ঠিক নেই৷

ভদ্রলোক বললেন, আপনারা ভেতরে এসে বিশ্রাম নিন না৷ আমাদের অতিথিশালা আছে, সেখানে অনায়াসেই চল্লিশ-পঞ্চাশজন লোক থাকতে পারে৷

আমি বললুম, তাই নাকি?

উনি বললেন, বাসের অন্য যাত্রীদের ডাকুন!

আমি ফিরে গিয়ে বাসের যাত্রীদের ডাকাডাকি করে ওই কথাটা বললুম৷ কেউ কোনো সাড়া দিল না৷ কেউ বাস থেকে নামল না৷ ড্রাইভার আর কন্ডাক্টর কেমন যেন অদ্ভুতভাবে তাকাল আমার দিকে৷

তখন আমি একাই ফিরে গেলুম৷ ভদ্রলোক হ্যারিকেন নিয়ে তখনো দাঁড়িয়ে আছেন৷

আমি বললুম, কেউ আসতে চাইল না৷

ভদ্রলোক হাসলেন৷ তারপর বললেন, আমাদের এতবড় অতিথিশালা পড়ে আছে, আজকাল কেউ আসে না৷ আপনি একাই আসুন, তাহলে!

আমি বললুম, একা যাব! যদি হঠাৎ বাসটা ছেড়ে যায়?

উনি বললেন, আপনাকে না নিয়ে যাবে, তা কি হয়! আসুন, ভেতরে এসে এক কাপ চা খেয়ে যান৷

ভদ্রলোক এমন আন্তরিক ভাবে ডাকলেন যে আমি আর না বলতে পারলুম না৷ গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলুম৷

তারপর বললুম, জানেন, আমি ছোটবেলায় অনেক বছর আগে আপনাদের এই বাড়িটা দেখতে এসেছিলুম৷

উনি বললেন, তাই নাকি? তখন জমজমাট ব্যাপার ছিল, এখন আর কিছুই নেই৷ এ বাড়িতে লোকই নেই তেমন৷ বলতে গেলে আমি একাই টিঁকে আছি৷

আমি বললুম, আপনাদের একটা অস্ত্র ঘর আছে শুনেছিলাম৷ সেটা সেবার দেখা হয়নি৷ সেই অস্ত্রগুলো এখনো আছে?

উনি বললেন, হ্যাঁ, কোনোক্রমে রেখে দিয়েছি আমি৷ আপনি দেখবেন?

হ্যাঁ৷

আসুন তা হলে৷

ভদ্রলোক আমায় নিয়ে উঠে এলেন দোতলায়৷ একটা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে দরজায় ঠেলা দিলেন৷ কোনো তালা ছিল না দরজায়, আপনি খুলে গেল৷

হ্যারিকেনের আলোয় দেখলুম ভেতরে সাজানো রয়েছে অনেক তলোয়ার, বন্দুক, ছুরি, রিভলবার, ঢাল বর্ম৷

উনি বললেন, ওই যে বড় বাঁকা তলোয়ারটা দেখছেন, ওইটা শিবাজির তলোয়ার৷ আমার ঠাকুর্দা ওটা কিনে এনেছিলেন লন্ডন থেকে৷

আমি চমকে উঠে বললুম, তাই নাকি? তা হলে তো একটা অমূল্য জিনিস৷

ঘরের মধ্যে ঢুকে তলোয়ারটা ভালো করে দেখতে গেছি, এমন সময় বাইরের গম্বুজের ঘড়িতে পরপর পাঁচবার ঘণ্টা বাজল৷ সঙ্গে সঙ্গে শোনা গেল খুব জোরে বাসের হর্ন৷

আমি বললুম, এই রে বাস ছেড়ে যাচ্ছে৷

তখুনি দৌড় মারার জন্য তৈরি হয়ে বললুম, আজ ভালো করে দেখা হল না, আর একদিন আসব, অ্যাঁ?

ভদ্রলোক ফ্যাকাশে ভাবে হেসে বললেন, আসবেন৷

আমি প্রাণপণে দৌড়ে রাস্তায় এসে দেখলুম, বাসটা চলতে শুরু করেছে৷ উঠে পড়লুম একলাফে৷ কন্ডাক্টর আমায় কিছুই বলল না৷

একসময় পৌঁছে গেলুম কলকাতায়৷

এর দু’দিন বাদে কফি হাউসে বন্ধুদের বললুম, জানিস, গঙ্গানগরের কাছে একটা জমিদার বাড়িতে দারুণ দামি জিনিস আছে৷ শিবাজির তলোয়ার, লর্ড ক্লাইভের পিস্তল—দেখতে যাবি?

বন্ধুদের মধ্যে একজন খবরের কাগজে কাজ করে৷

সে হো-হো করে হেসে উঠে বলল, তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে? গঙ্গানগরের কাছে জমিদার সিংহদের বাড়িটার কথা বলছিস তো? সে বাড়ি তো গভর্নমেন্ট নিয়ে ভেঙে ফেলেছে গত মাসে৷ সেখানে অনেকগুলো ফ্ল্যাট বাড়ি হবে৷

আমি রেগে উঠে বললুম, তোরা খবরের কাগজের লোকেরা যা শুনিস তাই বিশ্বাস করিস৷ মিলিয়ে দেখিস না! আমি নিজের চোখে পরশুদিন দেখে এলুম৷

তারপর এমন তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গেল যে অন্য বন্ধুরা থামাতেই পারে না৷ শেষ পর্যন্ত আর এক বন্ধুর কাছ থেকে একটা গাড়ি জোগাড় করে আমরা তক্ষুনি বেরিয়ে পড়লুম গঙ্গানগরের দিকে৷

সেই ঘড়িওয়ালা গম্বুজ দুটোর পাশে বসে আমার বুক ঢিপ ঢিপ করতে লাগল৷ গম্বুজ দুটো আর লোহার গেটটা ঠিকই আছে৷ কিন্তু দুর্গের মতো বাড়িটা নেই৷ সেখানটা একদম ফাঁকা!

সাংবাদিক বন্ধুটি বলল, দেখলি, বাড়িটা ভেঙে ফেলা হয়েছে কিনা?

আমি ক্ষীণভাবে বলতে চাইলুম, পরশুদিনও ছিল, বোধহয় তারপর ভেঙেছে—৷

বন্ধুটি বলল, ধ্যাৎ! অতবড় বাড়ি ভাঙতেই তো তিন-চার মাস লাগে!

আমার সারা গা কাঁপতে লাগল, দর দর করে ঘাম বেরিয়ে এল৷

সেদিন ভোর পাঁচটার সময় তাহলে আমি কি দেখলাম?

সকল অধ্যায়

১. কে দেখা দিল না
২. আমাদের জিপসি
৩. বন্দিনী
৪. একটি হাঁসের পালক
৫. নাম বদল
৬. কঠিন শাস্তি
৭. যদি
৮. তেপান্তর
৯. গঙ্গার ধারে চৌধুরী বাড়ি
১০. ছবি পাহাড়
১১. চার নম্বর ডাকাত
১২. চায়ের দোকানের সেই ছেলেটি
১৩. রেললাইনের পাহারাদার
১৪. বিল্টুর বন্ধু
১৫. ছোটমাসির মেয়েরা
১৬. ভরত ডাক্তারের ঘোড়া
১৭. উলটো কথা, কিন্তু সত্যি
১৮. ভূতুড়ে ঘোড়ার গাড়ি ও কালো বাক্স
১৯. পরি? না পরি না?
২০. পানিমুড়ার কবলে
২১. রাত্তিরবেলা, একা একা
২২. ভূত-ভবিষ্যতের গল্প
২৩. একটি মেয়ে, অনেক পাখি
২৪. বিল্টুদের বাড়ির সবাই
২৫. যে গল্পের শেষ হল না
২৬. তিনটি ছবির রহস্য
২৭. সোনামুখির হাতি ও রাজকুমার
২৮. সময় যখন হঠাৎ থেমে যায়
২৯. নিয়তি পুরুষ
৩০. ক্ষতিপূরণ
৩১. ডাকবাংলোর হাতছানি
৩২. ভয়ংকর প্রতিশোধ
৩৩. মানিকচাঁদের কীর্তি
৩৪. মায়াবন্দরের ঐরাবত
৩৫. পুপলু
৩৬. রাক্ষুসে পাথর
৩৭. দুর্গের মতো সেই বাড়িটা
৩৮. পিরামিডের পেটের মধ্যে
৩৯. হিরে উধাও রহস্য
৪০. রায়বাড়ির কালো চাঁদিয়াল
৪১. সেই অদ্ভুত লোকটা
৪২. মাঝরাতের অতিথি
৪৩. হুপা
৪৪. জল চুরি
৪৫. মহাকাশের যাযাবর
৪৬. যাচ্ছেতাই ডাকাত
৪৭. সুশীল মোটেই সুবোধ বালক নয়
৪৮. সত্যিকারের বাঘ
৪৯. পার্বতীপুরের রাজকুমার
৫০. চোর আর সাধু

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন