স্বর্ণলিপ্সা – ৯

কাজী আনোয়ার হোসেন

নয়

মাত্র একমিনিটের জন্যে কাঁচের ওদিক থেকে পিটারকে দেখতে দিয়েছেন ডাক্তার লরেন। এখন ওই কেবিন থেকে বেরিয়ে ভাতিজার ভয়ঙ্কর আহত চেহারাটা চোখের সামনে ভাসছে বেন হ্যাননের। পিটারের চারপাশে ছিল টিউব ও মেশিন। তবে কয়েক মুহূর্তে যা বুঝবার বুঝে গেছে বেন। ফলে মনে জন্ম নিয়েছে প্রচণ্ড ঝড়ের মত ভয়ঙ্কর আক্রোশ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পার্কিং লটে বৃষ্টির ভেতর থেমে টম ম্যাকলিনের ট্যাক্সিটা খুঁজল সে। ওটা নেই। অপেক্ষা করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে চলে গেছে লোকটা।

এখন দুপুর একটা। খিদে লাগলেও তিক্ত হয়ে গেছে বেন হ্যাননের মন। ভাবছে, এবার কী করবে। প্রথমেই চাই নিজস্ব একটা যানবাহন। তারপর…

‘মিস্টার হ্যানন? একমিনিট! আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

কথাগুলো এসেছে পেছন থেকে। ঘুরে দাঁড়াল বেন হ্যানন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসেছে এক মেয়ে। তার বয়স বড়জোর পঁচিশ। পরনে জিন্সের জ্যাকেট ও প্যান্ট। জ্যাকেটের ওপর চাপিয়ে নিয়েছে রেইনকোট। তাকে খুব হতাশ বলে মনে হলো বেন হ্যাননের। মেয়েটার নাম জানে না সে। আগে কখনও দেখেওনি।

‘আমি বেন হ্যানন,’ বলল সে। ‘তোমার জন্যে কী করতে পারি, ল্যাসি?’ বেনের এখন যে বয়স, পঁয়তাল্লিশের চেয়ে কমবয়সী যে-কাউকে ল্যাসি বা ল্যাডি বলে সম্বোধন করে সে।

‘আমি জেসিকা থমসন,’ বলল মেয়েটা, ‘পিটারের ছোটবেলার বান্ধবী। হাসপাতালে এসেছি ওকে দেখতে। তবে পরিবারের বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেছে।

দাঁড়িয়ে ছিলাম ইন্টেনসিভ কেয়ার রুমের বাইরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলল, এইমাত্র পিটারকে দেখে গেছেন ওর চাচা।’

‘তুমি তোমার বন্ধুকে দেখতে এসেছিলে বলে ধন্যবাদ, ল্যাসি,’ গম্ভীর কণ্ঠে বলল বেন। ‘খুব বাজেভাবে আহত হয়েছে পিটার।’

‘ও… কী… মানে, সুস্থ হয়ে উঠবে তো?’

‘এখনও বেঁচে আছে। তবে জ্ঞান ফিরলে ওর জীবনটা কেমন হবে, কেউ জানে না। ওকে সুস্থ করতে সাধ্যমত করছেন ডক্টর লরেন। তাঁকে দায়িত্বশীল মানুষ বলেই মনে হয়েছে।’ বেন হ্যাননের মুখ থেকে এ-কথা বের হওয়া মানেই বিশাল এক প্রশংসা।

আবেগ সামলে নিতে গিয়ে কয়েক মুহূর্ত পেরিয়ে গেল জেসিকা থমসনের। ভিজে গেছে লালচে দুই চোখ। ‘আমি আসলে মেনে নিতে পারছি না, পিটারের এমন হবে।’

‘আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলব,’ জানাল বেন হ্যানন। ‘তুমি কি পুলিশ স্টেশনটা কোথায় সেটা চেনো?’

‘চিনি। আমি ওখানেই চাকরি করি।’

‘তুমি মহিলা পুলিশ?’ জানতে চাইল বেন। তার মনে হয়নি এত মিষ্টি মেয়ে পুলিশ বাহিনীতে লেফ্‌ট-রাই করে। তবে হতে পারে কত কিছুই।

মৃদু মাথা দোলাল জেসিকা। ‘আপাতত অফ ডিউটিতে আছি। একঘণ্টা পর শিফট শুরু হবে। ডাক্তার তো পিটারকে দেখতে দিল না, তাই এখন ফিরব পুলিশ স্টেশনে। আপনি চাইলে আমার গাড়ির পিছু নিয়ে আসতে পারেন।’

পারতাম, যদি আমার কোনও গাড়ি থাকত।’

‘তা হলে বরং আমার সঙ্গেই চলুন?’

প্রাচীন এক বাদামি ল্যাণ্ড রোভার ব্যবহার করে জেসিকা থমসন। ওটার বড়িতে থকথকে কাদা। ভেতরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই। বেন হ্যানন জিপে ওঠার পর নরম সুরে বলল জেসিকা থমসন, ‘ঠিক বিলাসবহুল নয় আমার গাড়িটা।’

ল্যাণ্ড রোভারটা পছন্দ হয়েছে বেন হ্যাননের। ‘ডিউটির সময় বছরের পর বছর এই গাড়ি ব্যবহার করেছি। কখনও খারাপ লাগেনি।’

‘আপনি তা হলে আর্মিতে ছিলেন?’ আন্দাজ করল জেসিকা থমসন।

‘অনেক দিন আগের কথা, ল্যাসি। আমি এখন বাস করি ইতালিতে।’

‘অবসর নিয়ে ওই দেশে থাকতে নিশ্চয়ই খুব ভাল লাগে?’

‘অবসর? ….আমি? না, ল্যাসি, জীবনেও অবসর নেব না।’,

‘দুঃখিত। আমি ভেবেছিলাম…’

‘ভেবেছিলে বুড়ো হয়ে গেছি।’ আনমনে ভাবল বেন হ্যানন, সত্যিই হয়তো বুড়ো হয়ে গেছে সে, কে জানে!

‘কথাটা বলেছি বলে আমি লজ্জিত। তো এখন কী করেন আপনি?’

‘টমেটো চাষ করি,’ বলল বেন হ্যানন। কয়েক মুহূর্ত পর অন্য প্রসঙ্গে গেল, ‘তা হলে পিটারের কেসের তদন্তে যেসব অফিসার আছে, তাদের একজন তুমি?’

‘পিটার আমার ছোটবেলার বন্ধু, তাই এই কেসে আমাকে কাজ করতে দেয়া হয়নি,’ দুঃখিত কণ্ঠে বলল জেসিকা। ‘তা ছাড়া, আমি তো মাত্র কনস্টেবল পদে আছি। ওই কেস নিয়ে কাজ করছেন ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর মুরে আর ডিটেকটিভ সার্জেণ্ট রিড।’

‘তো তাদের সঙ্গেই কথা বলব,’ জেসিকা থমসনের দিকে তাকাল বেন হ্যানন। ‘ছোটবেলা থেকেই পিটারের সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব?’

‘একেবারেই ছোটবেলা থেকে,’ বলল জেসিকা। ‘তারপর চলে গেলাম গ্লাসগো শহরে লেখাপড়া করতে। গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি নিলাম পুলিশ বাহিনীতে। এদিকে ফিরেছি মাত্র কয়েক মাস আগে।’

‘আমি জন্মেছিলাম ওই গ্লাসগো শহরেই।

বিষণ্ণ হাসল জেসিকা থমসন। ‘তা-ই?’ ওর ওই হাসি ম্লান হলেও মেঘের মাঝে ঝিকিয়ে ওঠা রোদের মত মিষ্টি। ‘আমার অবশ্য এদিকটাই সবসময় বেশি ভাল লাগে। তবে ভাবতেও পারি না গ্রাম্য এই পরিবেশে পিটারকে এভাবে আহত করা হবে। ও তো ছোটবেলা থেকেই মিশুক আর হাসিখুশি ছেলে।’

‘তা ঠিক।’

কিছুক্ষণ পর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে গেল ওরা। ডিউটি অফিসারের সঙ্গে বেন হ্যাননের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বিদায় নিল জেসিকা থমসন। বেনকে নেয়া হলো ইন্টারভিউ রুমে। চেয়ারে না বসে পায়চারি করতে লাগল সে। মিনিট পাঁচেক পর ঘরে ঢুকল ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর জন মুরে আর ডিটেকটিভ সার্জেন্ট ডানকান রিড। দুই অফিসার চেয়ারে বসতে বললেও বসল না বেন হ্যানন। দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে আছে জেসিকা থমসন। পরনে এখন ইউনিফর্ম। বেন হ্যানন অস্বস্তির ভেতর পড়বে ভেবে ঘরে ঢুকে তার বাহুতে হাত রাখল মেয়েটা। যেন জুগিয়ে দেবে সাহস ও আত্মবিশ্বাস। জেসিকা যে সবসময় ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, আর কঠিন তদন্তের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে যাবে না, কী করে যেন বুঝে গেল বেন হ্যানন। কোনও ভণিতা ছাড়া কাজের কথায় এল সে, ‘তো আপনারা সন্দেহভাজন কাউকে পেয়েছেন?’

‘এখনও না, মিস্টার হ্যানন। মাত্র তদন্ত শুরু করেছি আমরা।’

‘নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, একইসঙ্গে দুটো কেসে কাজ করতে হবে?’ বলল বেন হ্যানন। ‘পিটারের ধারণা, খুন হয়েছে ওর ব্যবসায়িক পার্টনার রবার্ট উইলসন। আর ওই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছিল বলে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ওকে।’

‘মিস্টার উইলসনের মৃত্যুর ব্যাপারে আপনার ভাতিজা কী ধারণা পোষণ করতেন, তা জেনেছি,’ বলল ডিটেকটিভ সার্জেন্ট ডানকান রিড। ‘দু’দিন আগে এখানে এসেছিলেন। সবই খুলে বলেন তখন। দীর্ঘ কাহিনী। রবার্ট উইলসন খুনের সময় লকের তীরে নাকি ছিল স্যামন মাছ-শিকারি এক পোচার। সে দেখেছে সে দেখেছে ওই হত্যাকাণ্ড। ওই হত্যাকাণ্ড। পরে মিস্টার উইলসনের কাছে পাওয়া গেছে সোনার কয়েন।’ ভুরু উঁচু করে বেন হ্যাননকে দেখল সার্জেন্ট। চোখের চাহনিতে প্রচ্ছন্ন আগ্রহ।

পিটার ফোর্ট উইলিয়ামের পুলিশ স্টেশনে ঢুঁ মেরেছে, এটা নতুন খবর বেনের কাছে। আরও বিস্মিত হয়েছে সোনার মোহরের কথা শুনে। আপাতত চুপ করে থাকল। ভাবছে, স্বর্ণমুদ্রার কথা আমাকে বলেনি কেন পিটার? অবশ্য, ওই বিষয়টা হয়তো এসেছে ওদের ফোনে আলাপের পর। তখন সব গুছিয়ে ইতালি ত্যাগের কাজে ব্যস্ত ছিল সে নিজে।

‘আপনারা নিশ্চয়ই নিজেরা আলাপ করেছেন?’ বলল ইন্সপেক্টর মুরে। ‘তখন নিশ্চয়ই সোনার কয়েনের কথাও আপনাকে বলেছেন পিটার হ্যানন—তাই না? সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এ-ও জানেন: কোথায় সোনার কয়েন পেয়েছিলেন মিস্টার উইলসন?’

তদন্তের ছলে সোনার মোহরের খবর জানতে চাইছে পুলিশ অফিসার, ভাবল বেন হ্যানন। তবে ওই ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। সেই কথাই বলল, ‘না, এই প্রথম শুনলাম সোনার মোহরের কথা। ওটার সঙ্গে পিটারের আহত হওয়ার কোনও সম্পর্ক আছে?’

‘আপাতত জরুরি তদন্তের খাতিরে কিছুই জানাতে পারব না,’ মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে বলল ইন্সপেক্টর মুরে।

তেত্রিশ বছর আর্মিতে চাকরি করেছে বেন হ্যানন। ছাব্বিশ বছর তার পদবী ছিল এসএএস ফোর্সে নন-কমিশণ্ড অফিসার হিসেবে। ভাল করেই চেনে নানান ধরনের মানুষকে। ইন্সপেক্টর মুরে বা সার্জেন্ট রিডকে বাজে লোক বলেই মনে হচ্ছে তার। কী যেন গোপন করছে তারা। চিরকাল অন্ধকারে থাকতে ঘৃণা করে বেন। ‘তদন্তের ব্যাপারে আপনারা কী ভাবছেন?’ বলল সে। ‘আপনাদের তো বোঝার কথা, ওই দুই কেস একই সুতোয় গাঁথা।’

কেসের প্রাথমিক এই অবস্থায় কিছুই ধরে নেয়া ঠিক হবে না, মিস্টার হ্যানন,’ স্মার্ট ভঙ্গিতে বলল সার্জেন্ট রিড। ভাতিজার আহত, অসুস্থ চেহারাটা মনে পড়তেই রাগে পিত্তি জ্বলে গেল বেনের। তবে সে কিছু বলার আগেই সার্জেন্ট আবারও বলল, ‘আমরা তদন্তের সময় সাধারণ মানুষকে আগেভাগে কিছুই জানাই না। তবে নিশ্চিত থাকুন, ঠিকভাবেই তদন্ত করা হবে। ঠিকই আমাদের হাতে ধরা পড়বে অপরাধীরা। সুতরাং আপনি নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।’

মেঘের ডাকের মত গুড়গুড় করে উঠল হ্যাননের কণ্ঠ, ‘আগেও এই ধরনের কথা শুনেছি।’

‘আপনি আসলে কী বলতে চান?’ বিরক্ত হয়ে জানতে চাইল ইন্সপেক্টর মুরে।

‘বলতে চাইছি, এখন হাসপাতালে মারাত্মক আহত হয়ে পড়ে আছে আমার অচেতন ভাতিজা। আর আপনারা তদন্তের নামে অলস সময় কাটাবেন, সেটা জানার জন্যে এত দূরের ইতালি থেকে এমনি এমনি বেড়াতে আসিনি আমি। আপনারা পুরো দুটো দিন হাতে পেয়েও এই কেস নিয়ে কোনও কাজ করেননি। আমার ভাতিজার কাছে শুনেছি, এক স্যামন- পোচার রবার্ট উইলসনের হত্যাকাণ্ড দেখেছে। অথচ, মোটা একখানা পাছা নিয়ে এখনও অফিসে গ্যাট মেরে বসে আছেন আপনি, তাকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে কিছুই করেননি।’ প্রথমে ইন্সপেক্টর মুরের বুকে, তারপর সার্জেন্ট রিডের বুকের দিকে তর্জনী তাক করল বেন হ্যানন। তার আঙুল যেন টারেট মাউন্টেড ফিফটি ক্যালিবারের ব্রাউনিং মেশিনগান। ‘আর আপনার শুঁটকি পাছাটাও নড়েনি চেয়ার ছেড়ে।’

এতই হতবাক হয়েছে দুই পুলিশ অফিসার, রেগে উঠতেও ভুলে গেছে তারা। চোখে আগুন নিয়ে তাদেরকে দেখছে বেন হ্যানন। ‘এসবের ভেতর কোনও ষড়যন্ত্র আছে। ঠিক আছে, পুলিশ এই কেস নিয়ে এগোতে রাজি না হলে, আমি নিজেই তদন্ত করে দেখব।’

ঘরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে জেসিকা থমসন। তার চোখে মুহূর্তের জন্যে বিস্ময় দেখল বেন হ্যানন।

গম্ভীর হয়ে গেছে দুই পুলিশ অফিসার। তাদের ভেতর প্রথমে মুখ খুলল ইন্সপেক্টর মুরে, ‘আপনি দেখছি পুলিশ অফিসারদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে শেখেননি, মিস্টার হ্যানন।’

‘বাছা, তোমরা যা করছ, এর বেশি কিছু তোমাদের প্রাপ্য হয় না।

সস্তা ওয়াইনের মত লালচে হলো সার্জেন্ট রিডের দুই গাল। ‘আশা করি নিজে থেকে তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়টাকে আরও জটিল করে তুলবেন না আপনি,’ বলল সে। ‘সে ধরনের কিছু ঘটলে পুলিশ হিসেবে সেটা বরদাস্ত করব না আমরা।’

‘তোমরা বরং আমার পথ থেকে দূরে থেকো,’ চাপা স্বরে বলল বেন হ্যানন। ‘নইলে বিপদে পড়বে। এরপর থেকে আমি যা করব, তা পেশাদার মানুষ হিসেবেই করব। এসবের ভেতর তোমাদের মত অপেশাদার কারও নাক না গলানোই ভাল।’

‘আমরা কিন্তু আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি,’ চেয়ার ছেড়ে সটান উঠে দাঁড়াল ইন্সপেক্টর মুরে। দৈর্ঘ্যে সে বেন হ্যাননের চেয়ে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উঁচু। প্রস্থে দুই গুণ। কঠোর চোখে প্রতিপক্ষকে দেখছে, ভঙ্গি করছে যে-কোনও সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে খেপা গরিলার মত। সাধারণ কেউ তাকে খেপে উঠতে দেখলে আতঙ্কে অস্থির হয়ে ওঠে। অথচ শান্ত, শীতল চোখে তাকে দেখছে বেন। একমিনিট চোখে চোখ রেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল ইন্সপেক্টর মুরের। ধপ্ করে বসল চেয়ারে। শব্দ করছে না।

আসলেই শেষ হয়ে গেছে ইন্টারভিউ।

‘তোমার সামনে এসব কথা বলতে হলো, তাই দুঃখিত, ল্যাসি,’ জেসিকা থমসনকে এটুকু বলেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল বেন হ্যানন।

সকল অধ্যায়

১. স্বর্ণলিপ্সা – ১
২. স্বর্ণলিপ্সা – ২
৩. স্বর্ণলিপ্সা – ৩
৪. স্বর্ণলিপ্সা – ৪
৫. স্বর্ণলিপ্সা – ৫
৬. স্বর্ণলিপ্সা – ৬
৭. স্বর্ণলিপ্সা – ৭
৮. স্বর্ণলিপ্সা – ৮
৯. স্বর্ণলিপ্সা – ৯
১০. স্বর্ণলিপ্সা – ১০
১১. স্বর্ণলিপ্সা – ১১
১২. স্বর্ণলিপ্সা – ১২
১৩. স্বর্ণলিপ্সা – ১৩
১৪. স্বর্ণলিপ্সা – ১৪
১৫. স্বর্ণলিপ্সা – ১৫
১৬. স্বর্ণলিপ্সা – ১৬
১৭. স্বর্ণলিপ্সা – ১৭
১৮. স্বর্ণলিপ্সা – ১৮
১৯. স্বর্ণলিপ্সা – ১৯
২০. স্বর্ণলিপ্সা – ২০
২১. স্বর্ণলিপ্সা – ২১
২২. স্বর্ণলিপ্সা – ২২
২৩. স্বর্ণলিপ্সা – ২৩
২৪. স্বর্ণলিপ্সা – ২৪
২৫. স্বর্ণলিপ্সা – ২৫
২৬. স্বর্ণলিপ্সা – ২৬
২৭. স্বর্ণলিপ্সা – ২৭
২৮. স্বর্ণলিপ্সা – ২৮
২৯. স্বর্ণলিপ্সা – ২৯
৩০. স্বর্ণলিপ্সা – ৩০
৩১. স্বর্ণলিপ্সা – ৩১
৩২. স্বর্ণলিপ্সা – ৩২
৩৩. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৩
৩৪. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৪
৩৫. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৫
৩৬. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৬
৩৭. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৭
৩৮. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৮
৩৯. স্বর্ণলিপ্সা – ৩৯
৪০. স্বর্ণলিপ্সা – ৪০
৪১. স্বর্ণলিপ্সা – ৪১
৪২. স্বর্ণলিপ্সা – ৪২
৪৩. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৩
৪৪. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৪
৪৫. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৫
৪৬. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৬
৪৭. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৭
৪৮. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৮
৪৯. স্বর্ণলিপ্সা – ৪৯
৫০. স্বর্ণলিপ্সা – ৫০
৫১. স্বর্ণলিপ্সা – ৫১
৫২. স্বর্ণলিপ্সা – ৫২
৫৩. স্বর্ণলিপ্সা – ৫৩
৫৪. স্বর্ণলিপ্সা – ৫৪

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন