ছায়ামুখ – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায়

ছায়ামুখ – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

বইমেলায় আজ বেশ ভিড়। অন্যান্য কিছু শিল্পীর মতো সায়রও মেলার মাঠে ক্রেতা বা দর্শকদের পোর্ট্রেট আঁকে, পেনসিল স্কেচ। বিনিময়ে টাকা নেয়। গত ক—দিন ধরে কেউ তেমন আঁকাতে আসছিল না। দিনে দুটোর বেশি পার্টি জোটেনি। আজ বিকেল পড়তে—না—পড়তেই দ্বিতীয়জনের ছবি আঁকছে সায়র, বছরছয়েকের মেয়ে। তার মা সায়রের চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে ড্রয়িংটা দেখছেন।

বাচ্চা বলেই মেয়েটি একটু চঞ্চলতা প্রকাশ করে ফেলছে। ইতিমধ্যে ওর মা দু—বার ধমকেছেন, ‘স্থির হয়ে বোসো। একদম নড়বে না।’

আর—একজন মহিলা পায়ে—পায়ে এসে সায়রের আঁকা দেখতে দাঁড়ালেন। চোখ তুলেছিল সায়র, মহিলার পরনে সালোয়ার কামিজ, চোখদুটো বাদ দিয়ে গোটা মুখটা ওড়নায় ঢাকা। বেশ অবাক হয়েছে সায়র। আজ মোটেই বইমেলায় ধুলোধোঁয়া নেই। রোদের তেজও কমে আসছে। মুখটা ওভাবে ঢেকে রাখার কী দরকার, কে জানে! এ নিয়ে অবশ্য এখন মাথা না ঘামানোই ভালো। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। সায়র আঁকায় মন দেয়।

মিনিটপাঁচেক বাদে আঁকা শেষ হল। ক্লিপআঁটা বোর্ড থেকে ড্রয়িংশিটটা খুলে নিয়ে বাচ্চা মেয়েটির মায়ের হাতে দেয় সায়র। জানতে চায়, ‘ঠিক আছে?’

বাচ্চাটি টুল ছেড়ে উঠে আসে মায়ের কাছে। বলে, ‘দেখি—দেখি কেমন হয়েছে?’

মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়ের ছবি পছন্দ হয়েছে মায়ের। তিনটে একশো আর একটা পঞ্চাশের নোট বাড়িয়ে দিলেন সায়রের দিকে। সায়র বলল, ‘আপনাকে তো তিনশো বললাম।’

‘এক্সট্রাটা ছবি ভালো হয়েছে বলে দিচ্ছি, ‘খুশি হওয়ার গলায় বললেন ভদ্রমহিলা। হাসিমুখে বিনয়ের সঙ্গে টাকাগুলো নেয় সায়র। এরকম ঘটনা নতুন নয়, ছবি দেখে খুশি হয়ে এর আগেও অনেকে টাকা বেশি দিয়েছে। আর্ট কলেজে পড়া হয়নি সায়রের। সাধারণ কলেজও শেষ করতে পারেনি। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বাবা মারা গিয়েছেন। মা রান্নার কাজ করেন, ঠোঙা বানান। সায়র টুকটাক আর্টের কাজ করে। পোর্ট্রেট আঁকার হাত তার বরাবরই ভালো। স্কুলে পড়াকালীনই চেনাজানাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সেরকম কিছু পরিচিতজনের মুখের ছবি সায়র নিজের আশপাশে টাঙিয়ে বসছে মেলার মাঠে।

ওড়নায় মুখঢাকা মহিলা এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। সায়র ওঁর দিকে তাকাতেই বলে উঠলেন, ‘আমার পোর্ট্রেট আঁকতে হবে।’

উচ্চারণ শুনে বোঝা গেল বাঙালি নন। সায়র বলল, ‘শিওর। বসুন টুলটায় গিয়ে। পার পোর্ট্রেট আমি নিই…’

সায়রকে কথা শেষ করতে না দিয়ে মহিলা বললেন, ‘জানি। একটু আগে তো দেখলাম।’

টুলে গিয়ে বসলেন। এবার তো ওড়না সরাতেই হবে। মুখে নিশ্চয়ই কোনো খুঁত আছে, সায়রকে হয়তো বলবেন সেটা ঢেকে ছবিটা আঁকতে। এমন অনেকেই বলেন।

মুখ থেকে ওড়না সরিয়ে দিলেন মহিলা। খুঁত আছে বটে, এভাবে ঢাকা দিয়ে রাখার মতো কিছু নয়। চিবুকের নীচে কাটা দাগ।

‘দাগটা যেন ছবিতে থাকে,’ বললেন মহিলা। ভিতর থেকে চমকে উঠল সায়র, উনি কি মনের কথা পড়তে পারছেন? না—না, নেহাতই কাকতালীয়। ভাবনা ঝেড়ে ফেলে পেনসিল চালাতে শুরু করে সায়র। মহিলার নাক—মুখ বেশ শার্প। এধরনের মুখের ছবি আঁকা সহজ এবং বেশ ভালোও হয়।

বেশি সময় লাগল না পোর্ট্রেটটা আঁকতে। মহিলা যথেষ্ট সহায়তা করেছেন, একটুও নড়েননি। মনে হচ্ছিল চোখের পাতাও ফেলছেন না। সায়র বোর্ডসুদ্ধ ড্রয়িংটা মহিলার দিকে ঘুরিয়ে বলে, ‘দেখুন তো কেমন হয়েছে।’

মহিলা আঁকাটার দিকে একপলক দেখে নিয়ে টুল ছেড়ে উঠে পড়লেন। বললেন, ‘ছবিটা আপনি রাখুন। হ্যাজব্যান্ডের থেকে টাকাটা নিয়ে আসি।’

মুহূর্তের মধ্যে ভিড়ে মিশে গেলেন মহিলা। সায়র তো অবাক, এ আবার কী! উনি তো বাচ্চা নন যে, খেয়াল হয়েছে বসে পড়েছেন আঁকাতে। টাকা রয়েছে গার্ডিয়ানের কাছে। ব্যাপারটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আশা করা যায় ছবিটা নিতে আসবেন শীঘ্রই।

তা কিন্তু হল না। ঘণ্টাখানেক কেটে গেল মহিলা এখনও আসেননি ছবিটা নিতে। অদ্ভুত লাগছে সায়রের, ছবিটা যদি না—ই নেবেন, আঁকালেন কেন? ওঁর ছবি কার কাজে লাগবে?

আপাতত অবশ্য সায়রের কাজে লাগছে, পোর্ট্রেটটা বেশ সুন্দর এবং জীবন্ত হয়েছে। সায়র টাঙিয়ে দিয়েছে ওঁর আঁকা প্রদর্শিত ছবিগুলোর পাশে। বিজ্ঞাপনের কাজ করছে ছবিটা।

আর কেউ ছবি আঁকাতে আসেনি। সায়র ফাঁকা বসে রয়েছে। চোখ বোলাচ্ছে বইমেলার ভিড়ে। কত মানুষ! কত ধরনের পোশাক! কত রকম মুখ!

সায়রের সামনে দিয়ে যেতে—যেতে এক ভদ্রলোক থমকে দাঁড়ালেন। ওঁর দৃষ্টি আটকেছে সায়রের প্রদর্শিত ছবিগুলোর কোনো একটায়। বছর চল্লিশের লোকটির মুখে প্রবল বিস্ময়। আঙুল তুলে সায়রকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওটা কবে আঁকা?’

ঘাড় ঘুরিয়ে সায়র দেখে, সদ্য আঁকা পোর্ট্রেটটার কথা বলছেন ভদ্রলোক। উত্তরে বলে, ‘একটু আগেই এঁকেছি। ম্যাডাম হ্যাজব্যান্ডের থেকে টাকা আনতে গিয়েছেন।’

‘আমিই ওর হ্যাজব্যান্ড। আমাকে আনতে পাঠাল ছবিটা। কত দিতে হবে?’ জানতে চাইলেন ভদ্রলোক। সায়রের খটকা লাগে, ভদ্রলোক প্রথমে কেন জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছবিটা কবে আঁকা?’

স্ত্রী যদি ছবিটা নিয়ে আসতে বলেন, তা হলে তো ওঁর জানার কথা, ছবিটা আজই আঁকা। কত দিতে হবে, সেটাও নিশ্চয়ই মহিলা বলে দিয়েছেন। তবু কেন ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করছেন টাকার অঙ্ক?

সায়র অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলে, ‘আমি খুব সরি। ভদ্রমহিলা যদি আপনার সঙ্গে আসেন, তবেই ছবিটা দেব।’

‘আরে ভাই, সে এখন বই কিনতে স্টলে ঢুকেছে। আসতে পারবে না। কত দেব, পাঁচশো?’

বেশি পেলেও সায়র দেবে না। কেস গড়বড় মনে হচ্ছে। মাথা নেড়ে সায়র বলে, ‘বললাম তো সরি। ওঁকে আসতে হবে।’

‘ঠিক আছে, আরও দু—শো টাকা বেশি নাও। সাতশো। দারুণ হয়েছে ছবিটা!’ বললেন ভদ্রলোক। এর পরও সায়রের থেকে সাড়া না পেয়ে চাপা গলায় বলতে থাকেন, ‘ঠিক করে বলো তো কততে দেবে, এক হাজার, দু—হাজার, পাঁচ হাজার…’

‘বললাম তো দেব না আপনাকে সে আপনি যত টাকাই দিতে চান,’ চেঁচিয়ে ওঠে সায়র। উত্তেজনায় চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছে সে। চিৎকার পথচলতি দর্শক, আশপাশে বসে থাকা সায়রের মতো আর্টিস্টদের কানে গিয়েছে। তাদের মধ্যে এক—দু—জন এগিয়ে এসে জানতে চাইল, ‘কী ব্যাপার, কী হয়েছে?’

ভদ্রলোক এবার পিছু হটার তাল করছেন। নিরীহ গলায় বললেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। ওকেই পাঠাচ্ছি।’

কেউ এল না ছবিটা নিতে। বইমেলা আজকের মতো শেষের পথে। ঝাঁট দেওয়া শুরু হয়েছে মেলার মাঠ। টাঙানো ছবিগুলো রোল করে ব্যাগে পোরে সায়র। নিজের চেয়ার আর মডেলের বসার টুলটা উলটো দিকের বইয়ের স্টলে রেখে আসতে যায়।

মেলার মাঠ থেকে বেরিয়ে এসেছে সায়র। হাঁটতে হাঁটতে বড়ো রাস্তার দিকে চলেছে। ওখান থেকে বাস ধরবে। পাশে হাঁটছে মেলাফিরতি মানুষ। আচমকাই একজন বাঁ হাত দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরল সায়রের। বুকের কাছে কিসের যেন খোঁচা। ঘাড় ফেরাতে সায়র দেখে, সেই লোকটা। যিনি ওড়নাওয়ালা মহিলার ছবিটা কিনতে এসেছিলেন। এখন বলে উঠলেন, ‘চুপচাপ ছবিটা দিয়ে দাও। বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে রেখেছি। বেগরবাঁই করলেই ট্রিগার টেনে দেব।’

কিছুই করার নেই সায়রের। ঝোলা ব্যাগ থেকে রোল করা ছবিটা খুঁজে বের করতে থাকে। ভদ্রলোকের এভাবে বন্ধুর মতো গলা জড়িয়ে থাকার কারণ, পথচলতি মানুষ যাতে টের না পায় রীতিমতো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছবিটা হ্যান্ডওভার করার সময় ভদ্রলোকের মুখটা স্মৃতিতে স্থায়ী করার জন্য কয়েক পলক তাকিয়ে থাকে সায়র। দৃষ্টিটা সহ্য হল না লোকটার, সায়রের গাল আর চোখের কাছে নেমে এল চড়। বললেন, ‘কী দেখছ কী! যাও, সোজা চলে যাও। একদম পিছনে ফিরে দেখবে না।’

আঘাতটা সায়রের শরীরে যতটা না লাগল, মনে লাগল বেশি।

পরের দিন বইমেলায় ঢোকার আগে সংলগ্ন থানায় এসেছে সায়র। চড় খাওয়ার অপমানে সারারাত ঘুমোতে পারেনি। পুলিশ অফিসারকে ছিনতাইয়ের ঘটনাটা জানাতে, উনি সবিস্ময়ে বললেন, ‘সামান্য একটা ছবির জন্য বন্দুক দেখাল! তুমি তো ছবি আঁকো, পারবে লোকটার মুখ আঁকতে?’

‘নিশ্চয়ই পারব,’ বলে অফিসারের টেবিলের উপর আর্টপেপার রেখে লোকটার মুখটা এঁকে দিয়েছে সায়র। এরপর অফিসার বললেন, ‘এবার ওই মহিলার ছবি আঁকো, যেটা ছিনতাই হয়েছে।’

ভদ্রমহিলার পোর্ট্রেট শেষ করে এনেছে সায়র, চেয়ার থেকে প্রায় লাফিয়ে উঠে পড়লেন অফিসার। বললেন, ‘এ কার ছবি আঁকলে? দু—দিন আগে বাইপাশের ধারে এই মেয়েটির ডেডবডি পাওয়া গিয়েছে। কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। সঙ্গে পার্স, মোবাইল কোনো কিছুই ছিল না। বডি এখন মর্গে।’

গলা শুকিয়ে গিয়েছে সায়রের। মহিলার ছবি হাতে তুলে নিয়ে অফিসার বলছেন, ‘যমজ বোন ছবি আঁকিয়ে গিয়েছে বলা যাবে না। চিবুকের তলার দাগটা পড়ে গিয়ে হয়েছে। ডেডবডির মুখে দাগটা আছে। পড়ে গিয়ে দু—বোনের এক জায়গায় কাটবে না। লোকটা বইমেলায় আসবে মেয়েটি জানত। তাহলে কি অপরাধীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই…’

অফিসারের আর কোনো কথা কানে ঢোকে না সায়রের। একজন অশরীরী শরীর ধারণ করে তাকে দিয়ে ছবি আঁকিয়ে নিয়েছে। এতটুকু টের পায়নি সায়র! ভেবে এখন হাত—পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। আগেও কি এরকম ঘটেছে? পরেও যদি ঘটে, সায়র কীভাবে ঠাহর করবে মানুষটা সত্যিকারের, নাকি…

সকল অধ্যায়

১. পূজার ভূত – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
২. সে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩. কার্তিক-পুজোর ভূত – হেমেন্দ্র কুমার রায়
৪. ঘাড় বেঁকা পরেশ – মনোজ বসু
৫. রাত তখন এগারোটা – বিমল মিত্র
৬. খুঁটি দেবতা – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৭. রামাই ভূত – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৮. টিকটিকির ডিম – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
৯. মারাত্মক ঘড়ি – প্রমথনাথ বিশী
১০. পালানো যায় না – বনফুল
১১. গোলদিঘির ভূত! – শিবরাম চক্রবর্তী
১২. রক্তের ফোঁটা – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
১৩. দিন-দুপুরে – বুদ্ধদেব বসু
১৪. ভূতুড়ে বই – শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
১৫. নিশুতিপুর – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৬. পাশের বাড়ি – লীলা মজুমদার
১৭. চাঁদের আলোয় তাজমহল দেখা – আশাপূর্ণা দেবী
১৮. ভয় ও ভূত – সুকুমার সেন
১৯. তৃষ্ণা – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
২০. কুয়াশা – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
২১. ভূতচরিত – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
২২. পুষ্করা – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
২৩. ডুব – কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
২৪. ফ্রিৎস – সত্যজিৎ রায়
২৫. অমলা – বিমল কর
২৬. শতাব্দীর ওপার থেকে – সমরেশ বসু
২৭. বাচ্চা ভূতের খপ্পরে – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
২৮. সাতভূতুড়ে – মহাশ্বেতা দেবী
২৯. চাবি – আশা দেবী
৩০. লোকটা কে – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
৩১. মোতিবিবির দরগা – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
৩২. ভয়ের দুপুর – আলোক সরকার
৩৩. ধোঁয়া – শোভন সোম
৩৪. চোখ – আনন্দ বাগচী
৩৫. জানলার ওপাশে – অশেষ চট্টোপাধ্যায়
৩৬. ক্ষতিপূরণ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৩৭. কার হাত? – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৮. পুনার সেই হোটেলে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৯. কুকুর-বাংলো – অজেয় রায়
৪০. ভূত-অদ্ভুত – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৪১. মুখ – মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
৪২. চাঁপাফুলের গন্ধ – সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৩. আলো নিভে গেলে বুঝবে – অনীশ দেব
৪৪. দরজা খুলে গিয়েছিল – পার্থ চট্টোপাধ্যায়
৪৫. এ কী আজব গল্প – শৈলেন ঘোষ
৪৬. বিলাপী আত্মা – মঞ্জিল সেন
৪৭. ঘণ্টা – অদ্রীশ বর্ধন
৪৮. নিশীথ দাসের ভেলকি – বাণীব্রত চক্রবর্তী
৪৯. মোচার ঘণ্ট – বাণী বসু
৫০. পণ্ডিত ভূতের পাহারায় – শেখর বসু
৫১. কেপ মে’-র সেই বাড়ি – শমীতা দাশ দাশগুপ্ত
৫২. মায়ামাধুরী – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৫৩. নিমন্ত্রণ – মনোজ সেন
৫৪. অদ্ভুত এক হাওয়া – বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
৫৫. ঘোড়ামারায় একটি রাত – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫৬. ভূত ও মানুষ – অমর মিত্র
৫৭. অলীক প্রেমিক – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৮. একমুঠো ছাই – হর্ষ দত্ত
৫৯. এ পরবাসে – মধুময় পাল
৬০. রসগোল্লার গাছ – শ্যামলকান্তি দাশ
৬১. ভূতের গল্প – পৌলোমী সেনগুপ্ত
৬২. পাতালরেলের টিকিট – রতনতনু ঘাটী
৬৩. ও করকমলেষু – তিলোত্তমা মজুমদার
৬৪. হ্যাঁ-ভূত, না-ভূত – চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
৬৫. ছায়ামুখ – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
৬৬. ভূতের কাছারি – রূপক চট্টরাজ
৬৭. দেখা হবে মাঝরাতে – শুভমানস ঘোষ
৬৮. এসো গো গোপনে – প্রচেত গুপ্ত
৬৯. গাঁ-এর নাম ছমছমপুর – গৌর বৈরাগী
৭০. ডবল রোল – উল্লাস মল্লিক
৭১. সেই ছবি – সিজার বাগচী
৭২. দিনেমার বাংলোর নর্তকী – সসীমকুমার বাড়ৈ
৭৩. ভূতুড়ে বিজ্ঞাপন – কল্যাণ মৈত্র
৭৪. দাদামশায়ের বন্ধু – হিমানীশ গোস্বামী
৭৫. আলো-আঁধারির গল্প – সুবর্ণ বসু
৭৬. ভূতবাবার মেলায় – জয়দীপ চক্রবর্তী
৭৭. বিদিশার প্রেমিক – সুস্মেলী দত্ত
৭৮. জোছনার আড়ালে – অমিতকুমার বিশ্বাস
৭৯. ওপাশে – অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়
৮০. অতৃপ্ত আত্মা – তাপস কুমার দে

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন