৪০
ওই পোড়া ঘরটা একদিন ঘর ছিল,
থাকত ওখানে দুটো মানুষ-মানুষী,
শুনিনি কোথা থেকে ও-দুটো এসেছিল,
তবে ছিল ওরা অকারণ হাসিখুশি।
গামছা পরা মরদটার হাতে ছুরি,
মাদিটা একটা ডুরে কাপড় পরত,
দু-জনারই কানে বালি হাতে ছিল চুড়ি,
দু-জনেই একসাথে সর্বত্র ঘুরত।
ঘেন্নার ব্যবসা পশুর চামড়া ছোলা,
শ্মশানের পাশে এইভাবে থাকা,
খল খল কল কল হাসি আর খেলা,
ওদের ওই ছবিটা হয়েছিল পাককা।
আদম ইভ ছিল স্বর্গেতে বহুদিন,
বস্ত্রই ছিল না তাই ছিল বস্ত্রহীন।
৪১
স্বভাবতই অস্পৃশ্য ছিল এই দু-জনা,
দোকানি জিনিসগুলো ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিত,
মাটিতে রাখত ওরা দাম টাকা আনা,
হাসির ঝিলিক তুলে পণ্য তুলে নিত।
গোরুর মালিকের চোখে ছিল সন্দেহ,
গোরুকে বুঝি ওরা বিষ খাইয়ে দেয়,
মুখ ফুটে বলে ফেলতও কেহ কেহ,
সময়ে সুযোগে ওরা গোরুর জান নেয়।
কিন্তু আশ্চর্যের কথা এই কোনোদিন,
এদেরকে কেউ কোনো কথা বলেনি,
এদের চোখে ছিল বিস্ময় সীমাহীন,
সুতরাং কোনো কথা তো বলা চলেনি।
কত কথা বলব বলে ওর কাছে যাই,
চুপচাপ বসে থেকে কী যে সুখ পাই।
৪২
ঈশ্বরের যত দেখি কান্ডকারখানা,
ততই বিস্মিত হই ভরে উঠে মন,
জানা জিনিসগুলো হয়ে উঠে অজানা,
কোনো কিছুই খুঁজে পাই না কারণ।
আমারই জন্য তিনি গড়েছেন পৃথ্বী,
ফল-ফুল লতাপাতা শব্দ গন্ধ যত,
পাহাড় অরণ্য আর প্রস্রবন নদী,
মানুষের জন্য তাঁর দয়া-মায়া কত।
কিন্তু দূর পাহাড়ে শ্যাওলা ধরা গায়ে,
মানুষের দৃষ্টি যেথা কখনো না যায়,
বিচিত্র পুষ্পটি সেথা পাহাড়ের পায়ে,
আপনার মাথাটি কী আনন্দে লুটায়।
যত দেখি তত শিখি তত হই মূর্খ,
ঈশ্বর নেই বলে গো জুড়ে দিই তর্ক।
৪৩
বাড়ির পেছনে একটা পগার ছিল,
যত রাজ্যের নোংরা সেটায় ফেলা হত,
ছোটো-বড়ো ব্যাঙের সেখানে বাসা ছিল,
মাঝে মাঝে সাপ এসে ব্যাঙকে গিলত।
মাঝে মাঝে দেখতাম আলেয়ার আলো,
সন্ধ্যায় জোনাকিরা মিট মিট করত,
একটা বিড়াল ছিল কুৎসিত কালো,
কোনো কোনো দিন নোংরায় বসে থাকত।
দূরে দাঁড়িয়ে নোংরা ছুড়ে ফেলে দেয়া,
পগারটার সাথে সেই ছিল সম্পর্ক,
ঘৃণার ও প্রয়োজনের দেয়া ও নেয়া,
তবু সম্পর্ক, এ বিষয়ে নেই তর্ক।
করুণা করা কি দয়া করলেই হয়,
ঘৃণা না করাটা কি করুণা করা নয়?
৪৪
ওই পগারে শরতে ক-টা ফুল ফুটত,
গাছ নেই পাতা নেই ভুঁইফোড় ফুল;
সোনালি রোদ দেখে মাথাগুলি নাড়ত,
ওইগুলি তুলে আনতে হতাম আকুল।
ঠাকুরমা কিছুতেই আনতে দেবে না,
আমাকে হামি দিয়ে ঠাকুমা বলতেন,
নোংরার ওই ফুল নাকি ঠাকুর নেবে না,
অন্য কিছু বলে-কয়ে আমাকে ভোলাতেন।
সব কিছু ঠাকুর করে তুমি তো বলো,
তা হলে ওই ফুলগুলি ঠাকুরই করেছে,
তবে ওইগুলিতে কী দোষ ঠাকুমা হল,
ঠাকুর নেবে না ফুল কে এটা বলেছে?
ঠাকুমার সঙ্গে ঝগড়ায় সুখ নেই,
নাচতে থাকে তারা হারার আনন্দেই।
৪৫
আমার ঠাকুমা পন্ডিত ছিল না মোটে,
ঈশ্বরের আশীর্বাদ দেখত সর্বত্র,
বুদ্ধিটাও তেমন ছিল না তার ঘটে,
কথায় আটকাত ঠাকুমা যত্র তত্র।
নোংরার ফুলও কি ঈশ্বরের সৃষ্টি?
ঠাকুমা একথার উত্তরটা জানত না,
পাপ ও পুণ্যস্থলে সমান পড়ে বৃষ্টি,
একথাটা আমার ঠাকুমা মানত না।
মুনিঋষি পাপ করে নোংরায় ফুল হয়,
বলেই ফোকলা দাঁতে ঠাকুমা হাসত,
পাপ-পুণ্য মিশে আছে তাই বৃষ্টি হয়,
বলেই ঠাকুমা চোখের জলে ভাসত।
অল্পবুদ্ধি মানুষেরা থাকে বড়ো ভালো,
সাদাকে সাদা দেখে কালোকে শুধু কালো।
৪৬
কনিষ্ঠ কৌন্তেয় কঠোর তপস্যা করে,
অঞ্জলি রাখছিলেন শংকরের পদে,
হিমাদ্রির পুষ্পভার আনি থরে থরে,
সব্যসাচী দিচ্ছিলেন প্রভুর শ্রীপদে।
শংকর শংকরী হয়ে ব্যাধ ও ব্যাধিনী,
পান্ডবের সম্মুখে যখন উপস্থিত,
অর্জুন তখন একবারও ভাবেননি,
এরা তারা, যারা নেন পূজা-পাঠ গীত।
বেদব্যাস বর্ণেছেন তাদের শ্রীরূপ,
কাশীরাম দাসও দিয়েছেন বর্ণনা,
শুনলে শিহরে ভাই প্রতিরোমকুপ,
অনুপম রূপের অতুলন ব্যঞ্জনা।
উদ্দেশ্যে প্রণাম করি তাঁদের শ্রীপদে,
করুণায় করুন রক্ষা অধমে বিপদে।
৪৭
কনক আর কাকলি ছিল দুটো নাম,
যারা বাস করত ওই পোড়া ঘরটাতে,
দেহ ও মনে এমন আশ্চর্য সুঠাম,
দেখিনি আর কোনোদিন কোনোখানেতে।
ওড়িশার মন্দিরে যে পুরুষ-রমণী,
অথবা ইলোরা এবং খাজুরাহোতে,
পাথরের মূর্তি হয়েও তাঁরা যেমনি,
উত্তেজনা তোলে আমাদের বক্ষেতে।
এরাও তেমনি; দুটো পার্থক্য কেবল,
কনক ও কাকলি কষ্টি পাথরে গড়া
মূর্তি গড়েছে মানুষের কলা কৌশল,
ওরা মানুষের গড়া নয় মানুষ যে ওরা।
কে গড়ে অচ্ছুৎ মূর্তি কে নোংরায় ফুল,
কে দেবে উত্তর কে বলবে শুদ্ধ ভুল।
৪৮
সংস্কৃত পন্ডিত লিখেছেন খাঁটি কথা,
ঘৃত লবণ তৈল তন্ডুল বস্ত্র ইন্ধন,
এসব চিন্তা করে ভারী যার মাথা,
বুদ্ধি তার শেষ বসন্তে শিশিরের মতন।
কিন্তু যখন কালেভদ্রে একটু ভাবি,
মাথাটা ঘুরে যায় সব জট পাকায়,
গোলমাল হয়ে যায় সত্যাসত্য সবই,
ধরতে যে পারি না মনটায় যা চায়।
কনক আর কাকলি অচ্ছুৎ দু-জন,
জঘন্য জীবিকা শ্মশানে মশানে বাস,
এমন সৌন্দর্য এদের দিলেন কীজন্য,
কিসের কারণে এমন রে পরিহাস।
মন করে ভন ভন প্রাণ চায় কথা,
তিনি যেন কানে ক’ন তোর কেন ব্যথা।
৪৯
শ্রীকৃষ্ণ আর শ্রীরাধাকে চোখে দেখিনি,
নল দময়ন্তীর কথা শুধু পড়েছি,
পর্দায় দেখেছি প্রেমেরও বিকিকিনি—
ভালোবাসাবাসির কথা বহু শুনেছি।
কিন্তু কনক আর কাকলিরা অনন্য,
এমন আর কেউ দেখেনি সংসারে,
দুই দেহ এক আত্মা বলে এদের জন্য,
এমন ভালোবাসা কে গো বাসতে পারে।
মাদারি চিনে শুনেছি জোড়া হংস-হংসী,
গলাগলি একসাথে জীবন কাটায়,
জলকেলি করে তারা থেকে পাশাপাশি,
দেশ-মহাদেশ তারা একত্রে বেড়ায়।
তাজমহলে দেখো কী প্রেমের কবর,
চারপাশে আছে কত জানো কি খবর।
৫০
কষ্টিপাথরে খোদা ওই মানব যুগল,
স্রষ্টার প্রাণের বিন্দু বিন্দু দিয়ে সৃষ্টি,
মুখ জোড়া দেখি যেন জোড়া নীলোৎপল,
আষাঢ়ে আউস খেতে রেণু রেণু বৃষ্টি।
চোখ তো নয় ওগুলো গভীর আকাশ,
মাথার চুলেতে যেন মেঘের উল্লাস,
মৃণাল করী শুন্ডেতে যেভাবে জড়ায়,
সেভাবে কাকলি কনকে আগুলায়।
পা চারটে হাঁটে না গো নেচে নেচে চলে,
হাতের আঙুলগুলি চম্পকের কলি,
কথা নয় যেন সেতারে তান তুলে,
পক্কবিম্ব ফল দেখি অধরোষ্ঠগুলি।
মনের পর্দায় দেখি নয়া জেরুসালেম,
খৃস্টভক্ত সাধু ভাবে কোথায় এলেম।
৫১
কাকলির অঙ্গে যদি নিস্তব্ধ তরঙ্গ,
কনকের পেশীতে সর্পেরা নৃত্য করে,
নৃত্য ছন্দে কাকলি ক্ষণে ক্ষণে ত্রিভঙ্গ,
মদভরে কনক তো গোবর্ধন ধরে।
সারাদিন দুইজনে কোথা কোথা যায়,
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় ওরা কিছুই মানে না,
সারাদিন হেসে খেলে সময় কাটায়,
সংসারী নয় ওরা সংসারই জানে না।
কনক পুরুষ তার পৌরুষ সর্বত্র,
কাকলি নারী হিল্লোলিত সে নারীত্বে,
মোহিত কনক কাকলি আতপ ছত্র,
বিবশ কাকলি কনকের পুরুষত্বে।
সূর্যপত্নী ছায়া চোখে চোখে রাখে পতি,
এক সঙ্গেই যান তারা আসিলে রাত্রি।
৫২
এই মতো দুই জন থাকে ওইখানে,
হরিণ-হরিণী মতো সদা খেলা করে,
কিন্নর-কিন্নরী মতো সদা নাচে গানে,
একত্রে মিশিয়ে দেয় দিবস-রাত্রিরে।
সুন্দর চন্দ্রের গায়েও আছে কলঙ্ক,
চন্দ্রকলা হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়মিত আছে,
অগ্নিস্রাবী সূর্যদেব নহেন নি:শঙ্ক,
হীন রাহু সূর্যেরে গ্রহণকালে গ্রাসে।
কিন্তু ওদের ওই প্রেমে কালিমা ছিল না,
হ্রাস ছিল না ওদের ওই ভালোবাসায়,
ওদের আনন্দে কোনো বিষাদ ছিল না,
যতি ছিল না ওদের ওই উচ্ছলতায়।
কম-বেশি গোলাপে হয় বর্ণ ও গন্ধ,
পলাশে সমান থাকে রঙের আনন্দ।
৫৩
ডুকলী আগরতলা একটাই রাস্তা,
এই পথ দিয়েই সকলে যায়-আসে,
এখন তো পুল হয়েছে রিকশাও সস্তা,
আগের কথা তো আমাদের মনে আছে।
বর্ষাকালে খেয়া নৌকা যদি বা থাকত,
শীত হেমন্তের কথা ভাবো একবার,
দুই পাড়ে ভেজা বালি চিক চিক করত,
জুতো খুলে কাপড় তুলে নদী হও পার।
মহিলারা মুখ ঢেকে পার হত নদী,
নিজে কিছু না দেখলে অন্যেও দেখে না,
চ্যাংড়া ছোঁড়া কেউ ওই ঘাটে থাকত যদি,
খিল খিল হেসে উঠে বাড়াত যন্ত্রণা।
বায়স খাবার গুঁজে চক্ষু বন্ধ করে,
অন্য সবে দেখে নিজে শুধু পায় না পরে।
৫৪
শ্যামলও আগরতলার নিত্যযাত্রী,
একাকী ওরা কখনো কোথাও যায় না,
সঙ্গে স্তাবকের দল থাকে এক কাঁড়ি,
আশে-পাশে কী ঘটছে ওরা তো দেখে না।
কিন্তু একদিন রাহুর দৃষ্টি পড়ল,
রাক্ষসেরা দেখল ওদের দু-জনকে,
ওরা কারা খবর নিয়ে সব জানল,
সর্বনাশের জালটা বিছাল অলক্ষ্যে।
সৎ গৃহস্থ দরজা বন্ধ করে শোয়,
শোবার সময় ঠাকুরের নাম করে,
কান পেতে চোর শোনে কখন ঘুমায়,
দশ দিন দেখে টেখে পরে ঢুকে ঘরে।
পাপকর্মে অসতেরা যত দেয় নিষ্ঠা,
সৎকর্মে তাহা দিলে পাইত প্রতিষ্ঠা।
৫৫
তারপর তলে তলে কী হল জানি না,
সব কিছু আগের মতোই চলছিল,
ক-টা যেন লোক এলো আমরা চিনি না,
তারা যেন কী কী বলাবলি করছিল।
একদিন বিকেলে কান্ড তো ভয়ংকর,
হরিদাসের জার্সি গাইটা মরে গেল,
গাঁয়ে ঘরে চুপচাপ সব তোড়জোড়,
লাঠি সড়কি রামদা সব তৈরি হল।
সন্ধ্যার অন্ধকারে ওই ছোট্ট ঘরটায়,
ঝাঁপিয়ে পড়ল এসে শকুনির দল,
কনকটা শেষ হল শোয়া অবস্থায়,
তামস উল্লাসে পিশাচ হাসে খলখল।
ধর্মের গ্লানি হলে ভগবান আসবে,
আমরা জিজ্ঞাসি সেটা কবে হবে, কবে?
৫৬
হেক্টরের মৃত্যুতে আন্দ্রোমিদার কান্না,
ইন্দ্রজিতের পতনে বিলাপ প্রমীলার,
অননুকরণীয় ভাষায় তার বর্ণনা,
লিখে রেখে গেছেন কবি বাল্মীকি হোমার।
কাকলির কান্নার কথা আমি কী বলি,
আমাকে সেই শক্তি দেন নাই তো স্রষ্টা,
তবে কান্নার সময় পায়নি কাকলি,
কাঁধে তুলে নিয়ে যায় প্রায় সে বিবস্ত্রা।
বাঁচাও বাঁচাও বলে চীৎকার করে,
দৌড়ে চলে নরপিশাচ ওই দুর্বৃত্তেরা ,
সমাজ বসে কাঁপে অর্গল দিয়ে ঘরে,
হাত-পা ছুড়ে কাঁদে যখন কাকলিরা।
আসুক বজ্র নামুক ধ্বংস ভগবান,
ভেঙে পড়ুক বিলীন হোক ওই আসমান।
৫৭
তবু কিছু ঘটনা আজও ঘটে যায়,
কাকতালীয় বলে উড়ানো তা যায় না,
অঘটন ঘটে যায় অবিশ্বাস্য প্রায়,
কার্যকারণ ব্যাখ্যা বুদ্ধিতে কুলায় না।
সেই ক্ষণে সেই দিন সেই পথ দিয়ে,
অভিরাম একা একা ঘরে ফিরছিল,
ওই পিশাচেরা তখন কাকলিকে নিয়ে,
তটস্থ আনন্দে অতি দ্রুত পালাচ্ছিল।
‘কে রে’ বলে অভিরাম ঝাঁপিয়ে পড়ল,
সে যে নিরস্ত্র ভাবল না একটুও তা,
সুযোগ পেয়েই কাকলি দৌড়ে পালাল,
বীরেরা দৌড়াল অভির ফাটিয়ে মাথা।
ঈশ্বরের কান্ডাকান্ড বোঝা অতি দায়,
মাকড়শার জালে মুহম্মদ বাঁচায়।
৫৮
আহত অভিরাম সে দৌড়ে পিছে চলে,
‘সকলে বেরোও,’ চীৎকার করে ডাকে,
কিছুটা বিলম্বে তারা পৌঁছে অকুস্থলে,
বীভৎস দৃশ্যটা তারা ওইখানে দেখে।
ঘরটা জ্বলছে কাকলি ওইখানে বসে,
পাশে শুয়ে আছে শরীরটা কনকের,
মূহুর্ত খানেক স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ায় সে,
তারপর ঝাঁপ দেয় মাঝে ওই আগুনের।
বার করে নিয়ে আসে উন্মত্ত মেয়েটাকে,
অচেতন হয়ে পড়ে অভি যন্ত্রণায়,
চঞ্চল জনতা সব কিছু দেখে দেখে,
বাকি সব ধরাধরি করে সামলায়।
পর্দা ঘেরা মহিলা সূর্যকেও দেখে না,
ভূমিকম্প হলে পরে পর্দাটা থাকে না।
৫৯ তারপর পুলিশ মর্গ হাসপাতাল,
মাথায় ব্যাণ্ডেজ নিয়ে অভি তো হাজতে,
উকিল শান্ত্রী মন্ত্রী আইনি বেড়াজাল,
উঠে পড়ে লেগে গেল অভিকে ফাঁসাতে।
স্থানীয় সম্বাদপত্র পেয়ে গেল কেচ্ছা,
অভির জন্ম নিয়ে করল গবেষণা,
মহিলা সমিতি মিছিল করল আচ্ছা,
গির্জায় মসজিদে মন্দিরে হল প্রার্থনা।
স্কুলের ছাত্ররা টিফিনের টাকা দিল,
কলেজ-শিক্ষকরা মিনিস্টারের ফাণ্ডে,
বি বি সির রিপোর্টার ইন্টারভ্যু নিল,
বুশ বক্তৃতা দিল নিউফাউণ্ডল্যাণ্ডে।
হরে কৃষ্ণ হরে রাম হরে কৃষ্ণ হরে,
নমস্কার সালাম খুলুম খা কে করে।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন