২০
সেই বিশ বছর আগে হেঁটে পায়ে পায়ে,
সেদিন সকাল থাকতে থাকতেই সে,
ফিরে এসেছিল কামির ঘরে ওই গাঁয়ে,
ঘুমিয়ে পড়েছিল বারান্দায় বসে বসে।
দুপুর গড়িয়ে গেলে ফিরে এলো কামি,
মোষটাকে ঘুমাতে দেখে সে বারান্দায়,
কী যে হল মনে তার জানে অন্তর্যামী,
ঘুমন্ত মোষটাকে লাঠি দিয়ে পেটায়।
সেই দিন আশ্চর্য আরও বাকি ছিল,
নিরীহ চোখ দুটো উঠল যেন জ্বলে,
চুল ধরে টেনে তার পেটে লাথি দিল,
ভয়ংকর গর্জনে নাক উঠল ফুলে।
সর্বংসহা বসুন্ধরা ক্রোধে কম্পমান,
আর্তজন পরিত্রাহি ডাকে ভগবান।
২১
সেদিন রবির মা একটুও কাঁদেনি,
অবাক বিস্ময়ে সে অভিকে দেখছিল,
মহিষাসুরের মার একটুও লাগেনি,
জন্তুটা জেগেছে রবির মা ভাবছিল।
তার দু-পায়ে কামি অজস্র চুমু খায়,
তার বিশাল বুকে দু-হাতে কিল মারে,
তার মুখের দিকে নতুন চোখে তাকায়,
তার চোখ দুটো থেকে ভালোবাসা ঝরে।
সেদিন অভিরামের নবজন্ম হল,
পৌরুষ কেড়ে নিল কামির স্ত্রী সত্ত্বাকে,
সেদিন কামি নিজেকে বিলিয়েই দিল,
দু-হাতে তুলে দিল নিজের হৃদয়টাকে।
বৈষ্ণবেরা দু-জনে নুয়ে প্রণাম করে,
ঔদ্ধত্য নত হয় ভালোবাসার ভারে।
২২
তার পর থেকে সব কিছু বদলেছে,
অভি আর বেরোয়নি খুঁজতে চাকরি,
কামির সঙ্গেই সে সব কাজে থেকেছে,
জঙ্গলে গিয়েছে এনেছে বয়ে লাকড়ি।
একদিন হাটে কে মশকরা করেছিল,
অভির হাতটা ছিল একটা চারাগাছে,
একটানে গাছটা উপড়ে নিয়েছিল,
দেখেই লোকটা এক দৌড়ে পালিয়েছে।
আর কোনোদিন কেউ বিরক্ত করেনি,
চারাগাছ গুজবে বড়ো গাছ হয়েছে,
ধীরে ধীরে রবির মা হয়েছে কামিনী,
অভিরামের উপরে ‘সর্দার’ জুটেছে।
গা ঘিন ঘিন শুঁয়াপোকা বিশ্রী চেহারা,
তারাই জন্ম দেয় প্রজাপতি রং ভরা।
২৩
নির্বাচনের সময় সকলে ধরেছে,
অভিরাম সর্দার হল গাঁও প্রধান,
যার যা কাজ সর্দার তার তা করছে,
ডুকলী বাধারঘাটে দেখবে প্রমাণ।
কামিনী সর্দারনি একটুও বদলেনি,
চুলের গোছে রূপার রংটুকু ছাড়া,
সবার ডাকে সবার আগে ওই কামিনী,
আর্ত ত্রাণে দুইজনে একপায়ে খাড়া।
এখনও কামিনী রোজ ঘুরে ঘুরে ফিরে,
এখনও সর্দার সকলের খোঁজ লয়,
এখনও কামিনী থাকে নিশ্চিন্ত অন্তরে,
এখনও সর্দার নিজেদের বোঝা বয়।
আদম কাটত মাটি ঈভ করত রান্না,
ভদ্রলোক কে ছিল তোরা ভাই বল না।
২৪
তবে এসব পরের কথা অনেক পরে,
এই জায়গায় এসে তাদের পৌঁছুতে,
মানব-মানবী দুটি বহু কষ্ট করে,
তবে পেরেছে এই জায়গাটাকে ছুঁতে।
শ্যামলারা সহজে ছাড়েনি এই স্থান,
আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এদের থামাতে,
নিতে চেষ্টা করেছে দু-জনেরই জান,
টানাটানি কতবার, নিয়েছে থানাতে।
শ্যামলার বাপটা মরেছে মদ খেয়ে,
কোথায় হারিয়ে গেছে মা-টা একদিন,
কিন্তু শ্যামলা বড়ো হয়েছে আগের চেয়ে,
মন্ত্রীর গাড়ি আসে বাড়িতে প্রতিদিন।
পুরোনো প্রবাদগুলো বদলে তো নেবে,
বড়ো যদি হতে চাও ছোটো মারো তবে।
২৫
সুরেশ মন্ত্রী হলে তার ভাইকে ধরে,
শ্যামল নেতা হয় ডুকলী এলাকায়,
প্রথম শিকার সে বুড়ো মধুকে ধরে,
যে মধু একবার শ্যামলাকে বাঁচায়।
সেদিন ভয়ংকর কান্ডই হয়েছিল,
ধনুর মেয়েটাকে একা পেয়ে রাস্তায়,
শ্যামলা জানি কী কথা বলেছিল,
কথাটা আবার গৌরাঙ্গর কানে যায়।
মাতাল গৌরাঙ্গটা ছিল তো তক্কে তক্কে,
ধনুর জামাই হওয়ার যে আশায়,
সারাক্ষণ কাজ করত ধনুর পক্ষে
শ্যামলার কথা গৌরাঙ্গ শুনতে পায়।
এক বাঘে রক্ষা নেই সঙ্গে আসে ফেউ,
কে কারে রক্ষা করে জানতে পারে কেউ?
২৬
এই বিপদে শ্যামলা মধুর পায়ে পড়ে,
‘কাকাগো বাঁচাও’ মধুর পায়ে ধরে বলে,
মধু ছোট্টো মুদি-দোকান একটা করে,
কিন্তু বোকা মধু সদা সত্য কথা বলে।
ধনু এলো শ্যামলার মুন্ডু কেটে নিতে,
সঙ্গে গৌরাঙ্গ আর নন্দী-ভৃঙ্গীর দল,
মধু তখন শ্যামলকে রক্ষা করতে,
চালিয়েছিল একটা মিথ্যার কৌশল।
সারাটা বিকাল শ্যামল এখানে ছিল,
সে কী করে ওই রাস্তায় কিছু কথা বলে,
সত্যবাদী বলে মধুর সুখ্যাতি ছিল,
তার কথা শুনে ধনু ফিরে গেল চলে।
মিথ্যা একটা বললে খুব শাস্তি হয়,
কেন মিথ্যা বলে, যে উকিল মন্ত্রী নয়?
২৭
সারাজীবন ধরে মিথ্যা বলছে যারা,
বিষ্ঠা-ক্ষেত্রেই করছে তারা বিচরণ,
ধনে জনে মানে বাড়ছে কেবল তারা,
বিষ্ঠা-সারে বেড়ে উঠা শব্জীর মতন।
কিন্তু যারা সত্যের পথে কেবল চলে,
শীতের দেশের লতা-গুল্মেরই মতো,
একটু মিথ্যার পরশেই ওরা গলে,
মরশুমি ফুলের কেবল চাই শৈত্য।
বেচারা মধু এসব কথা জানত না,
একটা মিথ্যা কথায় বাঁচল শ্যামল,
জানলেই কি সে শ্যামলকে বাঁচাত না,
গরিবদের যে ওই আবেগটাই প্রবল।
বিধাতার বিধান গরিবকেই ধরে,
রাজপথের আগুনে পতঙ্গই পুড়ে।
২৮
নতুন নেতা হয়ে কিছু করতে হয়,
বউনির জন্য শ্যামল মধুকে ধরে,
এমন নিশ্চিত শিকার আর কেউ নয়,
শ্যামলের অভিষেকে মধু বলি চড়ে।
শ্যামলের তখন শিষ্য আধডজন,
নেতার উপাধি তখন কেবল গুরু,
কাজ পরস্পরকে তর্জন ও গর্জন,
বৃহৎ কাজ এই ভাবেই হয় শুরু।
একদিন বিকালে হঠাৎ গুরু বলে,
কথা শুনে শিষ্যগণে সবে চমকায়,
‘ডুকলীতে যার যা খুশি করলেই চলে,
ভাবে যদি কোনো শুয়োরের বাচ্চায়’;
বহু নেতার শেষবাণী তোমরা জানো,
কোনো নেতার প্রথম কথা প্রথম শোনো।
২৯
ডুকলী কোনো শ্যালার জমিদারি নয়,
যা খুশি আর এখানে করা চলবে না,
চলো দেখে আসি শুয়োরটা কী কয়’
শিষ্যগণ উঠল তাইরে নাইরে না।
এরা সব দলের শিষ্য কায়দা জানে,
টেনিসন না পড়েও সেইমতো চলে,
এরা বিনা প্রশ্নে এদের গুরুকে মানে,
বিনা শত্রুতায় দুর্বলকে এরা দলে।
শ্যামলের আজ্ঞায় আধ ডজন বীর,
কোথায় যে যাবে জিজ্ঞেসও করল না,
কিছু একটা করতে ওরা যে অধীর
কী কাজ করবে দরকার নেই জানা।
গড্ডলিকা প্রবাহে মধ্যিখানের মেষ,
জানে না কোথায় যায় দেশ না বিদেশ।
৩০
‘শ্যালা আমাদের নামে যা তা বলছিস?’
শ্যামলের সাথে শিষ্যরাও ধুয়া ধরে,
‘আমাকে তো বাবা তোরা সকলে চিনিস,
আমি এমন বলি কেউ বলতে পারে?’
কিন্তু কে শোনে কার কথা লাঠি উঠল,
মধু তো কাত একবার ‘মাগো’ বলেই,
দোকানের পণ্য মুহূর্তে হাওয়া হল,
বীরেরা সরে পড়ল কাজটা হলেই।
পরদিন বড়ো নেতা এলেন ডুকলী,
মধুকে অনেক সান্ত্বনা তিনি দিলেন,
আধঘণ্টা বর্ষালেন নেতা হেন বুলি,
অজানা মস্তানকে একহাত নিলেন।
আগে শাস্তি পরে বিচার সুন্দর প্রথা,
সেই শুরু এখনও চলছে যথা তথা।
৩১
তারপর আর পিছু ফিরতে হয়নি,
ডুকলী বাধারঘাট আর আগরতলা,
সাধুটিলা মলয়নগরের কলোনি,
যোগেন্দ্রনগর আর ওই ভইসখলা।
একচ্ছত্র সম্রাট শ্যামল মালাকার,
চেহারা পালটে গেল দেখতে দেখতে,
বিশাল মোটরসাইকেলে সওয়ার,
আয়নার মতো কালো চশমা চোখেতে।
বারান্দা লাগানো গোল টুপি ঢাকে মাথা,
পকেট থেকে দামি সিগ্রেট উঁকি মারে,
কালভার্টের কিনারায় পা রেখে কথা,
মন্ত্রীর নামের সাথে দা যোগ বারে বারে।
বীরভোগ্যা বসুন্ধরা আপ্তবাক্য খাঁটি,
গায়ের জোর দেখলে কেউ কাড়ে না রা-টি।
৩২
তবে মা-টা তার কথা মোটেও শোনেনি,
সারাক্ষণ ভ্যানর ভ্যানরই করত,
ইলেকশানের সময় ভোট দেয়নি,
ক্ষণে ক্ষণে গলা তার উপরে চড়ত।
একদিন ধরে তারে খুব মার দিল,
ঘাড় ধরে করে দিল ঘরের বাহির,
বাপকেও সোজা কথা পুত্র বলে দিল,
থাকতে পারলে থাকো নয়তো বাহির।
বাপ তার বুদ্ধিমান মানিয়ে চলেছে,
খবর রাখত বাপ ছেলের খ্যাতির,
দোকানে বসে বসে মদ্যপান করেছে,
পয়সা লাগে না আছে ছেলের খাতির।
কেউ কেউ বিখ্যাত বড়ো বাপের ছেলে,
কেউ কেউ খ্যাত বড়ো ছেলের বাপ বলে।
৩৩
সুরেশের দল যখন গদি হারাল,
রাজনীতির অ আ ক খ যারা জানে না,
সেই অর্বাচীনেরা সকলকে জানাল,
আবার শ্যামলবাবু হবে রে শ্যামলা।
মেসোর পাড়াতুতো ভাই মন্ত্রী এখন,
তারও দরকার ডুকলীকে কবজার,
শ্যামল গুটিসুটি উপস্থিত তখন,
কুর্তা আর পাজামায় সজ্জার বাহার।
শ্যমলদা এখন শুধু গাড়ি চড়েন,
মন্ত্রীদের সঙ্গেই থাকেন সারাক্ষণ,
খোয়াই থেকে সাব্রুম সর্বত্র ঘুরেন,
মাঝে-মধ্যে ডুকলীতেও করেন ফোন।
অভাগা বর্ষাকালে হরিণ চাটে গাল,
রোগা বাঘে বলে সব আমার কপাল।
৩৪
তখন অভি ডুকলীতে এসে পড়েছে,
কিন্তু তখনও সে অবোধ জন্তু প্রায়,
অন্যের ইচ্ছায় কেবল পথ চলেছে,
প্রচন্ড শক্তি তবু সে কত অসহায়।
রোজ রোজ বের হত চাকরি খুঁজতে,
রোজ রোজ আসত ফিরে শুকনো মুখে,
রোজ রোজ গালি শুনত মুখটি বুজে,
রোজ রোজ গিলত পিন্ডি বড়োই দুখে।
তখন রবির মা অভিকে খাওয়াত
বাঁজা বকনাকে লোকে যেমন খাওয়ায়,
ঘরের মেনিটাকে দু-মুঠো দেওয়াতো
সৎ গৃহস্থের কাছে কর্তব্যই প্রায়।
পাথরের সাথেও থাকলে দীর্ঘ সময়,
পাথরও জেগে উঠে ফেরায় প্রণয়।
৩৫
অভি তখন কথা বলত বড়ো কম,
বেশি প্রয়োজন না হলে বলতই না,
চ্যাংড়ারা যারা নিরীহ লোকের যম,
অভিকে কেন জানি তারাও খেপাত না।
বলিষ্ঠ বলীবর্দ একা পথ চলত
চোখ খোলা রেখেও কিছু দেখত না,
কারো কারো কাছে চাকরির কথা বলত,
‘না’ শুনলে সেখানে আর সে থাকত না।
কেন ওকে খাওয়াত তখন রবির মা,
জিজ্ঞেস করলে রবির মা শুধু হাসে,
‘ও ছিল আমার শালগেরামের শিলা’
ধুয়ে মুছে রাখতাম ওকে একপাশে।’
পীরিতির কী রীতি ব্যাখ্যা করা যায় না,
ইচ্ছেমতো দেখো ছবি জাদু করা আয়না।
৩৬
ভাবাবার জবাব আছে অভির কাছে,
বলে, ‘ঘুমোলে লোকে কত স্বপন দেখে,
স্বপনে আনন্দ দুঃখ-সুখ সব আছে,
স্বপন যে ঘুমে হয় তা কে মনে রাখে।
আসলে স্বপ্নে মানুষ ঘুমে জেগে রয়,
তবে এর উলটোটাও কিন্তু হতে পারে,
দীর্ঘকাল কেউ কেউ জেগে ঘুমোয়,
তখন তার খোঁজ থাকে না সে কী করে।
এই যে বীজটা, এতে যে জীবন আছে,
দেখলে বোঝা যায় না দেখতে নিষ্প্রাণ,
মানুষ-জীবনেও কিছু সময় আসে,
যখন সে থাকে ঘুমন্ত ঠাণ্ডা কামান’
দার্শনিক কারে কয় আমরা জানি না,
পন্ডিতই দার্শনিক আমরা মানি না।
৩৭
তার পর একদিন অভি জেগে উঠে,
ব্রহ্মপুত্র জেগে উঠে আসন্ন আষাঢ়ে,
বিরল ক্যাকটাসে সুন্দর ফুল ফোটে,
অকস্মাৎ একবার দ্বাদশ বৎসরে।
বদলে যায় রবির মা-র জীবনটা,
বদলে যায় ডুকলীর একঘেয়েমি,
তার পর কামির কামিনী হয়ে উঠা,
তার পর কবে জানি কামিনী সর্দারনি।
এসব সাধারণ কথা কে রাখে খোঁজ,
ব্রহ্মশক্তি ক্ষাত্রশক্তি সংঘশক্তি না হলে,
সাধারণ ঘটনা যা ঘটে চলে রোজ,
তা চারণে বলে না ইতিহাস কী বলে?
কুকুরে কামড়েছে কিছু নয় ঘটনা,
মানুষে কামড়ালে তবে হয় বর্ণনা।
৩৮
হাওড়া ও বঙ্গেশ্বরের সঙ্গম স্থলে,
রামঠাকুর স্কুল ও কলেজের কাছে,
(আগে কলেজটাও এইখানেই ছিল)
ঝোপের মাঝে একটা পোড়া ঘর আছে।
ঘর কী? দু-তিনটে পোড়া কাঠের গোড়া,
টিনের একটা চোঙা উনুনের কাছে,
দু-দশটা ইট, টিন ক-টা বাঁকা-তেড়া,
একটা সিঁদুরের কৌটাও পড়ে আছে।
কুড়োনিরা এসব জিনিস ফেলে রাখে!
কবে নিয়ে নিত এসে সব কিছু তোলে।
কিন্তু এখানে জিনিসগুলো পড়ে থাকে,
কুড়োনিরা ওখানে যায় না কেউ ভুলে।
কিছু কিছু কথা আছে ফোটে না যা মুখে,
কিছু কিছু ব্যথা আছে বিঁধে থাকে বুকে।
৩৯ টাউনে আসতে-যেতে হেঁটে চলা লোকে,
দৈবাৎ যদি বা কেউ ওদিকে তাকায়,
ব্যথার মোচড় লাগে তৎক্ষণাৎ বুকে,
দুইটা জলের বিন্দু চোখে দেখা যায়।
সহসা বদলায় কথা মুছে সে চোখ,
গামছায় কপাল মুছে হাঁটে সে জোরে,
চারদিকে দৃষ্টি ফেলে দেখে নেয় লোক,
ব্যথাটাকে ঝেড়ে ফেলে সে বাক্যের তোড়ে।
জায়গাটা নিয়ে কোনো কথা কয় না,
আকুলি-বিকুলি কিন্তু মনে তার হয়,
হৃৎপিন্ডের ক্ষত কেউ চুলকায় না,
অসহ্য যন্ত্রণা তবু মুখ বুজে সয়।
মানুষ আর জন্তুতে পার্থক্যটা কীসে,
কান্না লুকাতে পারে আর মানুষ হাসে।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন