মানুষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি

জীবনানন্দ দাশ

মানুষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি পৃথিবীর পথে এসে — হাসির আস্বাদ
পেয়ে গেছি; দেখেছি আকাশে দূরে কড়ির মতন শাদা মেঘের পাহাড়ে
সূর্যের রাঙা ঘোড়া; পক্ষিরাজের মতো কমলা রঙের পাখা ঝাড়ে
রাতের কুয়াশা ছিঁড়ে; দেখেছি শরের বনে শাদা রাজহাঁসদের সাধ
উঠেছে আনন্দে জেগে — নদীর স্রোতের দিকে বাতাসের মতন অবাধ
চলে গেছে কলরবে; — দেখেছি সবুজ ঘাস — যত দূর চোখ যেতে পারে;
ঘাসের প্রকাশ আমি দেখিয়াছি অবিরল, — পৃথিবীর ক্লান্ত বেদনারে
ঢেকে আছে; — দেখিয়াছি বাসমতী, কাশবন আকাঙ্খার রক্ত, অপরাধ

মুছায়ে দিতেছে যেন বার বার কোন এক রহস্যের কুয়াশার থেকে
যেখানে জন্মে না কেউ, যেখানে মরে না কেউ, সেই কুহকের থেকে এসে
রাঙা রোদ, শালিধান, ঘাস, কাশ, মরালেরা বার বার রাখিতেছে ঢেকে
আমাদের রুক্ষ প্রশ্ন, ক্লান্ত ক্ষুধা, স্ফুট মৃত্যু — আমাদের বিস্মিত নীরব
রেখে দেয় — পৃথিবীর পথে আমি কেটেছি আচঁড় ঢের, অশ্রু গেছি রেখে
তবু ঐ মরালীরা কাশ ধান রোদ ঘাস এসে এসে মুছে দেয় সব।

সকল অধ্যায়

১. সেই দিন এই মাঠ
২. চারিদিকে শান্ত বাতি
৩. তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
৪. বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
৫. যতদিন বেঁচে আছি
৬. একদিন জলসিড়ি নদীটির পারে
৭. আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে
৮. কোথাও দেখিনি আহা এমন বিজন ঘাস
৯. হায় পাখি একদিন কালীদহে ছিল না কি
১০. জীবন অথবা মৃত্যু চোখে রবে
১১. যেদিন সরিয়া যাব তোমাদের কাছ থেকে
১২. পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত
১৩. ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে
১৪. ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন
১৫. যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো
১৬. আবার আসিব ফিরে
১৭. যদি আমি ঝরে যাই একদিন
১৮. মনে হয় একদিন আকাশের
১৯. যে শালিখ মরে যায় কুয়াশায়
২০. কোথাও চলিয়া যাবো একদিন
২১. তোমার বুকের থেকে একদিন চলে যাবে
২২. গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে
২৩. অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয় যখন লেগেছে
২৪. ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ দুপুর
২৫. খুঁজে তারে মরো মিছে
২৬. পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি
২৭. কখন সোনার রোদ নিভে গেছে
২৮. কোথাও মঠের কাছে
২৯. চলে যাব শুকনো পাতা-ছাওয়া ঘাসে
৩০. এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্নে
৩১. শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ
৩২. তবু তাহা ভুল জানি
৩৩. সোনার খাঁচার বুকে রহিব না আমি
৩৪. কতদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে
৩৫. এ-সব কবিতা আমি যখন লিখেছি
৩৬. কতদিন তুমি আর আমি এসে এইখানে বসিয়াছি
৩৭. এখানে প্রাণের স্রোত আসে যায়
৩৮. একদিন যদি আমি
৩৯. দূর পৃথিবীর গন্ধে ভরে ওঠে
৪০. অশ্বত্থ বটের পথে
৪১. ঘাসের বুকের থেকে
৪২. এই জল ভালো লাগে
৪৩. একদিন পৃথিবীর পথে
৪৪. পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস করে
৪৫. মানুষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি
৪৬. তুমি কেন বহু দূরে
৪৭. আমাদের রূঢ় কথা শুনে
৪৮. এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি
৪৯. বাতাসে ধানের শব্দ শুনিয়াছি
৫০. একদিন এই দেহ ঘাস
৫১. আজ তারা কই সব
৫২. কোনোদিন দেখিব না তারে আমি
৫৩. হৃদয়ে প্রেমের দিন
৫৪. ঘাসের ভিতরে সেই চড়ায়ের শাদা ডিম
৫৫. এই সব ভালো লাগে
৫৬. সন্ধ্যা হয়
৫৭. একদিন কুয়াশার এই মাঠে
৫৮. ভেবে ভেবে ব্যথা পাব
৫৯. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
৬০. কত ভোরে-দু’-পহরে
৬১. এই ডাঙা ছেড়ে হায়
৬২. এখানে আকাশ নীল
৬৩. সমুদ্রের জলে আমি দেহ ধুয়ে
৬৪. তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও
৬৫. অনন্ত জীবন যদি পাই আমি
৬৬. ঘরের ভিতরে দীপ জ্বলে ওঠে সন্ধ্যায়
৬৭. কত দিন ঘাসে আর মাঠে
৬৮. গুবরে ফড়িং শুধু উড়ে যায় আজ
৬৯. আকাশে চাঁদের আলো
৭০. কেমন বৃষ্টি ঝরে
৭১. সন্ধ্যা হয়ে আসে
৭২. গল্পে আমি পড়িয়াছি কাঞ্চী কাশী বিদিশার কথা
৭৩. চিরদিন শহরেই থাকি
৭৪. ঘাটশিলা—ঘটশিলা—

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন