৩২. লম্বা একটা মানুষ

হুমায়ূন আহমেদ

লম্বা একটা মানুষ বসার ঘরে।

কেমন অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছে। গায়ে হলুদ রঙের চাদর। কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনী ব্যাগ। লোকটা বসে আছে মূর্তির মতো। যেন সে আসলেই একটা মূর্তি, মানুষ নয়।

টুনি অনেকক্ষণ ধরেই লোকটিকে দেখছে। এক বার তার চোখের উপর চোখ পড়ল। তবু লোকটা নড়ল না। টুনি সাহসে ভর করে বলল, আপনি কে?

লোকটি হেসে ফেলল। হাত ইশারা করে কাছে ডাকল। টুনি পর্দার আড়াল থেকে বেরুল না। তার কেমন যেন ভয়-ভয় লাগছে। লোকটি বলল, তোমার নাম টুনি?

হ্যাঁ। আপনার নাম কী? আমার নাম সোভাহান। তোমাদের বাসায় বাবলু থাকে?

হ্যাঁ, থাকে।

তাকে ডেকে আনতে পারবে?

না, পারব না। বাবলুছাদে। আমি ছাদে যাই না।

যাও না কেন? ছাদে কি ভূত আছে?

আছে। দিনের বেলা থাকে না। রাতে আসে।

তাই নাকি?

ই। রাতের বেলা এরা ছাদে লাফালাফি করে।

তুমি শুনেছ?

হুঁ।

ভেতর থেকে নীলু বলল, কার সঙ্গে কথা বলিস রে? টুনি বলল, সোভাহানের সঙ্গে। এই কথায় লোকটি শব্দ করে হেসে উঠল। নীলু পর্দার ফাঁক দিয়ে বসার ঘরের দিকে তাকাল। তার চোখেমুখে বিস্ময়। সে কঠিন গলায় বলল, আপনি কী মনে করে?

তোমাদের দেখতে এলাম। ভালো আছ নীলু?

আমাদের দেখতে এসেছেন?

হ্যাঁ।

দুলাভাই, আপনার অসীম দয়া। আমরা ধন্য হলাম।

কেন ঠাট্টা করছ নীলু?

ঠাট্টা? ঠাট্টা করব কেন? আপনার সঙ্গে ঠাট্টা করবার মতো সাহস কি আমার আছে? আপনি হচ্ছেন মহাপুরুষ ব্যক্তি। সাধারণ প্রেম-ভালোবাসা আপনাকে আকর্ষণ করে না। আপনার ছেলে কোথায় আছে, কী করছে, তা জানারও আপনার আগ্রহ নেই। আপনার মতো মহাপুরুষকে ঠাট্টা করব?

বস নীলু বস আমার সামনে।

নীলু বসল না। তার রাগ সামলাবার চেষ্টা করতে লাগল। সোভােহান বলল, একসঙ্গে অনেকগুলি কথা বলে মনে হয়। হাঁপিয়ে গেছে।

চা খাবেন?

যদি দাও, তাহলে খাব।

নীলু রান্নাঘরে আসতে আসতে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল। এই লোকটির সঙ্গে রাগার।াগি করা অর্থহীন। রান্নাঘরের সামনে রফিক দাঁড়িয়ে আছে। সে কৌতূহলী গলায় বলল, কার সঙ্গে কথা বলছিলে ভাবী?

কারে সঙ্গে না।

স্বাগত ভাষণ? কিন্তু আমি যেন পুরুষের গলা শুনলাম।

আমার বড়ো দুলাভাই।

বাবলুসাহেবের গ্রেট ফাদার?

হ্যাঁ।

আমি কি ওনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? মনে হচ্ছে ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার।

এটা আবার কী ধরনের কথা রফিক? তোমার কথা বলতে ইচ্ছে করলে তুমি কথা বলবে।

মেজাজ মনে হচ্ছে নট, গুড।

নীলু রান্নাঘরে ঢুকল! শুধু চা দিতে ইচ্ছে করছে না, অথচ ঘরে কিছু নেই। বিসকিটের টিনে আধা খানা বিসকিট, সেখানে পিঁপড়া ধরেছে। অথচ দুলাভাইকে শুধু চা দিতে ইচ্ছে করছে না। নীলু আনিসের খোঁজে দোতলায় গেল। আনিস নেই। বাবলু ছাদে একা একা কী যেন করছে। হাত-পা নাড়ছে। নিজের মনে বিড়বিড় করছে।

বাবলু।

কী?

কত বার বলেছি, জ্বি বলবে। একটা জিনিস ক বার বলতে হয়? যাও, নিচে যাও। তোমার আব্ৰা এসেছে। এক্ষুণি নিচে যাও। এই শার্টটা বদলে একটা ভালো শাট পরে যাও।

একটা মানুষ নেই, যাকে পাঠিয়ে দোকান থেকে কিছু আনাবে। এত দিন পর এসেছে মানুষটা, শুধু চা খাবে? নিজে গিয়ে নিয়ে এলে কেমন হয়? শফিক বাসায় নেই, নয়তো শফিককে বলা যেত। দুলাভাইয়ের সঙ্গে একটু আগেই খুব কড়া-কড়া কথা সে বলেছে। মনটা এই জন্যেই বেশি খারাপ লাগছে। এই দুঃখী মানুষটিকে সে খুব পছন্দ করে।

 

বসার ঘরে রফিক খুব জমিয়ে গল্প করছে। সোভাহান কিছু বলছে না। তবে তার মুখও হাসি—হাসি। রফিক বলল—

তারপর ভাই, কিছু মনে করবেন না, একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি।–আপনি করেন কী?

কিছুই করি না।

বলেন কী। না-করলে আপনার চলে কী করে? আপনি কি সন্ন্যাসী? অবশ্যি তারাও তো কিছু একটা করেন। ভিক্ষা করেন।

আমি মানুষের হাত দেখে ভাগ্য বলি।

ভাগ্য বলেন?

হ্যাঁ।

আপনি একজন পামিস্ট?

জ্বি।

বিশ্বাস করেন এসব?

জ্বি-না। বিশ্বাস না করেও তো আমরা অনেক কিছু করি।

উদাহরণ দিন।

দেশের কিছু হবে না, এই জেনেও আমরা দেশের জন্যে জীবন দিয়ে দিই। দিই না?

গুড। আপনি তো ভাই ফিলাসফার কিসিমের মানুষ। নিন, আমার হাত দেখে নিন।

আজ থাক। আরেক দিন দেখব।

অসম্ভব, আজই দেখতে হবে। হাত দেখে শুধু বলুন-টাকা পয়সোহবে কিনা। আর কিছু জানতে চাই না। সুখ-টুখ কিছু আমার দরকার নেই, টাকা থাকলেই হল।

সোভাহান রফিকের হাতের দিকে তাকাল। মৃদুস্বরে বলল, বুধের ক্ষেত্র প্রবল। চন্দ্র শুভ মঙ্গলে আছে ত্রিভুজ চিহ্ন। আপনি অত্যন্ত ধনবান হবেন। তবে তা নিজের চেষ্টায় হবে না। হৃদয়রেখা থেকে একটি রেখা ভাগ্যরেখাকে স্পর্শ করেছে। কাজেই আপনি ধনবান হবেন স্ত্রীভাগ্যে।

বেইজাতি কথা বলছেন ভাই।

স্ত্রীভাগ্যে ধন?

হ্যাঁ, তাই। একটু আগে বললেন আপনি হাত দেখায় বিশ্বাস করেন না, কিন্তু এখন এত জোরের সঙ্গে কথা বলছেন কেন?

জোর দিয়ে বলারই নিয়ম। যে হাত দেখাতে আসে, সে এতে মনে করে এই লোক বড়ো জ্যোতিষী।

তার মানে এটা হচ্ছে আপনার একটা ব্যবসায়িক চাল?

হ্যাঁ, তাই।

তাহলে আমি কি ধরে নিতে পারি যে নিজের ভাগ্যেও আমি বড়োলোক হতে পারব?

না, পারবেন না। আপনার যা হবার তা হবে স্ত্রীভাগ্যে।

আরে, আপনাকে নিয়ে তো মহা মুশকিল!

হাতে যেমন দেখছি তেমনি বলছি।

এক মিনিট দাঁড়ান, আমার স্ত্রীর হাতটা দেখে দিন। পালিয়ে যাবেন না যেন।

রফিক সাহেব, আজ থাক।

অসম্ভব। আজই দেখবেন। এক্ষুণি নিয়ে আসছি। যাব আর আসব।

শারমিন ভেতরের বারান্দায় চুপচাপ বসে আছে। গতকাল সকালে সে একটি চিঠি পেয়েছে। আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছে সাব্বির। চিঠির বিষয়বস্তু হচ্ছে নতুন জীবন কেমন লাগছে তাই জানতে চাওয়া এবং সে যে একটি চাকরি পেয়েছে, এই খবর জানানো। চিঠি পাওয়ার পর থেকে শারমিন অস্বাভাবিক গভীর। রাতে রফিকের সঙ্গে একটি কথাও বলে নি। রফিক একবার হাত ধরতেই ঝাঁকি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলেছে, হাত ধরবে না।

রফিক বিস্মিত হয়ে বলল, হাত ধরব না কেন? এই হাত কি আমেরিকায় বন্ধক?

কী কুৎসিত কথা। এর জবাব দিতে ইচ্ছা করে নি। আজ বারান্দায় এক-একা বসে তার রীতিমতো কান্না পাচ্ছে। কাঁদতে পারলে মন হালকা হত, কিন্তু বাড়িটা এত ছোট যে কাঁদবার জন্যে গোপন জায়গাও নেই।

এই যে শারমিন, এখানে বসে আছ? আসি আমার সঙ্গে।

কোথায় যাব?

এক গ্রেট পামিস্ট এসেছে। ভূত-ভবিষ্যৎ-বৰ্তমান সব ফড়ফড় করে বলে দেয়। তাকে হাত দেখাবে।

আমাকে বিরক্ত করবে না, একা থাকতে দাও।

সে কী! তুমি তোমার ভবিষ্যৎ জানতে চাও না?

না।

জানতে চাও না যে, স্বামীর সঙ্গে জীবন কেমন কাটবে?

কেমন কাটবে তা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। তার জন্যে জ্যোতিষীকে হাত দেখাতে হবে না।

তোমার হয়েছে কী বল তো?

কিছুই হয় নি।

এটা তো সত্যি বললে না। কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। আমেরিকার চিঠি আসার পর থেকেই মেজাজ ফোর্টিনাইন।

শারমিন কড়া গলায় বলল, কী হয়েছে সত্যি জানতে চাও?

হ্যাঁ, চাই।

তাহলে এস আমার সঙ্গে, ঘরে এস। এখানে বলব না।

কী এমন কথা যে মন্দিরের ভেতর গিয়ে বলতে হবে। চল যাই।

শারমিন দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে কঠিন গলায় বলল, বস এখানে।

রফিক বসল। তার বেশ মজা লাগছে। শারমিনের প্রচণ্ড রাগের কারণটা ধরতে পারছে না। রাগে শারমিনের মুখ লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেঁদে ফেলবে।

তুমি আমেরিকার চিঠিটা গতকাল আমাকে দিয়েছ।

হ্যাঁ। কিন্তু তার আগে খাম খুলে তুমি চিঠি পড়েছি।

মুখবন্ধ খামই তোমাকে দিয়েছি।

তা দিয়েছ। কিন্তু খাম খুলে চিঠি পড়ে তারপর আবার মুখ বন্ধ করেছ।

এ-রকম সন্দেহ হবার কারণ?

কারণ খামের মুখ ভাত দিয়ে বন্ধ করা ছিল। আমেরিকা থেকে কেউ ভাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে খাম পাঠায় না।

রফিক চুপ করে রইল। কথা সত্যি। শারমিন বলল, আমার চিঠি তুমি কেন পড়লে?

হাসবেণ্ড তার স্ত্রীর চিঠি পড়তে পারবে না?

নিশ্চয়ই পারবে। কিন্তু চুরি করে না।

আমার ভুল হয়েছে, এ-রকম আর হবে না।

শারমিন ফুলে ফুলে কাঁদতে লাগল। শোকের এমন তীব্র প্রকাশ রফিক আগে দেখে নি। তার লজ্জার সীমা রইল না। সে নরম স্বরে বলল, শোন শারমিন, এই যে, তাকাও আমার দিকে।

প্লিজ, আমার সঙ্গে কথা বলবে না।

কথা না-বলে আমি থাকতে পারি না।

শারমিন জবাব না দিয়ে উঠে চলে গেল।

 

বাবুলকে কোথাও পাওয়া গেল না। ছাদে ছিল, এখন নেই। আশেপাশে কোনো বাড়িতেও নেই। টুনি খুঁজে এসেছে।

সোভাহান বলল, থাক, বাদ দাও। আরেক দিন নাহয় আসব।

নীলু বলল, ঢাকাতেই থাকেন তো?

হ্যাঁ।

তাহলে নাহয় ছেলের জন্যেই আরেক বার কষ্ট করে আসুন। দেখে যান সে কেমন আছে!?

সে ভালোই আছে। ওকে নিয়ে আমি ভাবি না।

কাউকে নিয়েই ভাবেন না। এটা কোনো গুণ না দুলাভাই।

সোভাহান তার ঝুলির ভিতরে হাত দিয়ে প্লাস্টিকের সস্তা ধরনের একটা খেলনা বের এগিয়ে দিল টুনির দিকে। নীলু বলল, টুনিকে দিতে হবে না দুলাভাই। বাবলুর জন্যে এনেছেন, রেখে দিন, বাবলুকেই দেবেন।

সোভাহান হেসে ফেলল। হাসতে-হাসতেই বলল, এইখানে তুমি একটা ভুল করলে নীলু এটা আমি টুনির জন্যেই এনেছি। দেখ, এটা একটা পুতুল। মেয়েরাই পুতুল খেলে। বাবলুর জন্যে আমি একটা পিস্তল এনেছি। নাও, এটা ওকে দিও।

নীলু বেশ লজ্জা পেল। সোভাহান হাসছে। নীলুর এই লজ্জা সে যেন উপভোগ করছে।

যাই, নীলু।

আমার কথায় কিছু মনে করবেন না, দুলাভাই।

যাদের আমি পছন্দ করি, তাদের খুব কড়া কথাও আমার ভালো ब्लाटुনা।

সোভাহান রাস্তায় নেমে গেল। নীলু অনেকক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইল। তার খুব খারাপ লাগছে। শুধু—শুধু এতগুলি কঠিন কথা বলা হল। সে কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না। ভেতর থেকে মনোয়ারা ডাকছেন, বৌমা, ও বৌমা।

কোন বৌকে ডাকছেন কে জানে। দুই ছেলের বৌকেই তিনি বৌমা ডাকেন–বড়ো বৌমা বা ছোট বৌমা নয়। কিন্তু এক জনের জায়গায় অন্য জন এলে রেগে আগুন হন। বিরক্ত গলায় বলেন-তোমাকে তো ডাকি নি বৌমা। তুমি এসেছি কেন?

এখন তিনি কাকে ডাকছেন কে জানে? নীলু ক্লান্ত পায়ে ভেতরে ঢুকল। মনোয়ারা বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁর মুখ থাথম করছে।

আমাকে ডেকেছেন মা?

হ্যাঁ। কে এসেছিল?

আমার বড়ো দুলাভাই, বাবলুর বাবা।

আমাকে ডাকলে না কেন? আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে না যে! নাকি আমাকে তোমরা মানুষ বলে মনে কর না।

আপনি শুয়ে ছিলেন, তাই।

শুয়ে ছিলাম–মরে তো যাই নি? নাকি তোমার ধারণা মরে গিয়েছি?

ছিঃ মা, কী বলছেন এসব!

আত্মীয়স্বজন এলে দেখাসাক্ষাতের একটা ব্যাপার আছে!

তা তো আছেই।

ঠিক আছে মা, তুমি যাও। বেশি দিন বেঁচে থাকার এইটাই সমস্যা। কেউ মানুষ মনে করে না। মনে করে ঘরের আসবাবপত্র। ছিঃ ছিঃ! ছিঃ ছিঃ। দাঁড়িয়ে আছ কেন, যাও।

মনোয়ার রাগ করে রাতের বেলা ভাত খেলেন না।

সকল অধ্যায়

১. ০১. নীলুর কেমন যেন লাগতে লাগল
২. ০২. বাবু হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছে
৩. ০৩. পুরানো ঢাকার ঘিঞ্জির মধ্যে
৪. ০৪. শাহানার স্যার
৫. ০৫. রফিকের মনে ক্ষীণ আশা
৬. ০৬. কেনাকাটা করতে নীলু
৭. ০৭. বুধবারটা রফিকের জন্যে খুব লাকি
৮. ০৮. টুনির বয়স এখন ন মাস
৯. ০৯. এয়ারপোর্টে সাব্বিরকে রিসিভ
১০. ১০. মনোয়ারার গাল ফুলে
১১. ১১. কবির সাহেব
১২. ১২. দুপুরবেলা পিওন
১৩. ১৩. মনোয়ারা গম্ভীর মুখে বললেন
১৪. ১৪. রহমান সাহেব খেতে এসে দেখেন
১৫. ১৫. সন্ধ্যা মিলিয়ে গেল
১৬. ১৬. একটা সই লাগবে
১৭. ১৭. শফিক অফিসে এসে শুনল
১৮. ১৮. বৈশাখ মাস
১৯. ১৯. নীলু খুব লজ্জিত
২০. ২০. দীর্ঘদিন পর উত্তেজনা
২১. ২১. তিন লাইনের একটা বিজ্ঞাপন
২২. ২২. শারমিনের গায়ে-হলুদ
২৩. ২৩. রফিক বিয়ে করেছে
২৪. ২৪. একটা অদ্ভুত কাণ্ড
২৫. ২৫. কবির মাস্টারের শরীর
২৬. ২৬. গায়ে হলুদের দিন-তারিখ
২৭. ২৭. বাহান্নটা কার্ড
২৮. ২৮. শাহানার বিয়ে হয়ে গেল
২৯. ২৯. বিয়ের প্রথম কিছুদিন
৩০. ৩০. টলম্যান শফিককে ডেকে পাঠিয়েছে
৩১. ৩১. প্রথম প্লেনে চড়া
৩২. ৩২. লম্বা একটা মানুষ
৩৩. ৩৩. বায়োডাটা দিয়ে চাকরির দরখাস্ত
৩৪. ৩৪. সাত দিন হাসপাতালে
৩৫. ৩৫. কবির মাস্টারের ঘুম
৩৬. ৩৬. আজ শাহানা এসেছে
৩৭. ৩৭. মাতাল অবস্থায়
৩৮. ৩৮. কবির মামা বাড়ি ফিরে এসেছেন
৩৯. ৩৯. কবির মাস্টারের মৃত্যু
৪০. ৪০. নীলু হা করে তাকিয়ে আছে
৪১. ৪১. নীলগঞ্জ থেকে বাবলুর একটা চিঠি
৪২. ৪২. আনিস গিয়েছিল দিনাজপুরের পঞ্চগড়ে
৪৩. ৪৩. শারমিন বিকেলে বাগানে হাঁটছিল
৪৪. ৪৪. কল্যাণীয়াসু নীলু
৪৫. ৪৫. নিমের পাতা তিতা তিতা
৪৬. ৪৬. নীলুরা ঢাকায় পৌঁছাল
৪৭. ৪৭. ডাক্তার সাহেবের চেহারা
৪৮. ৪৮. কিছু কিছু গল্প আছে

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন