নবনীতা দেবসেন
‘ছুটিটা কাটিয়ে যাবি তো এখানেই? মাসিমার কাজ তো শেষ হয়ে গেল— দৌড়ে পালাবি না তো এবার নিজের দেশে?’
রিলার প্রশ্নে তিতলি হেসে ফেলে—’কী পাগলামি যে করিস এখনও—নিজের দেশ আবার কী? ওটা মোটেই আমার নিজের দেশ নয়, আমার কর্মস্থল। এটা আমার নিজের দেশ। ফিরতেই তো চেয়েছিলাম, কিন্তু মা আর তা করতে দিলেন কই?’
‘কেন, আর বুঝি কিছু করার নেই? এমন গরিব-দু:খী দেশের জন্যে তুই কিছুই করার কথা ভাবতে পারিস না, অত বড় একটা সায়েন্টিস্ট হয়েও?’
‘বড় সায়েন্টিস্ট আমি হইনি রে রিলা, খুবই অর্ডিনারি একজন।’
‘রাহুলের ব্যাপারটা কী করবি, ও তো ফোন করেছিল, মাসিমার কাজের দিন। হি ক্লিয়ারলি ওয়ান্টস ইউ ব্যাক।’
‘ইটস ওভার।’
‘সেকেন্ড থটস দিবি না?’
‘সেকেন্ড? আ থাউজ্যান্ড থটস দিয়েছি, তারপরেই না বলছি।”
‘একা একা থাকবি?’
‘আপাতত। দেখি না, একা একা থাকতে কেমন লাগে।’
‘একা থাকতে কষ্ট হবে না?’
তিতলি রিলার মুখের দিকে তাকায়। কিছু বলে না।
‘তুই থাম তো রিলা। দু-বেলা আশিখানা পাত না পড়লে তোর যেন প্রাণটা ভরে না।’ মৌ ধমক দেয়।
রিলা তাতে দমে না।
‘না না, সত্যি করে বল। এতদিন একটা ছেলের সঙ্গে ঘর করলি। এখন তাকে ছেড়ে থাকতে খারাপ লাগবে না? এটা তো অর্জুনের মতো নয়, অর্জুনের সঙ্গে তো তুই সংসার করিসনি—একসঙ্গে থাকলে প্রতিদিনের একটা অভ্যেস হয়ে যায়—ওঠা-বসা, খাওয়া-শোওয়া—’
‘ঢের হয়েছে, রিলা স্টপ ইট—তিতলি কি না-ভেবেই এত বড় ডিসিশনটা নিয়েছে? যে-ছেলেটাকে তুই দেখিসনি, চিনিস না, তার হয়ে এত ওকালতি কচ্ছিস কেন? চুপ কর।’
‘আজ্ঞে না, মোটেই তার হয়ে ওকালতি করিনি। তিতলির হয়ে বলেছি। একটা ফ্ল্যাটে একা একা থাকবে। প্রতিপদে মনে পড়বে, যে ছিল, কিন্তু নেই, তার কথা। মন ভালো থাকবে না। ডিপ্রেশন হবে।’
‘কিন্তু যে ছিল, সে থাকলে তো মন আরও খারাপ থাকবে। সে তো আর আমাকে ভালোবাসে না যে রিলা। তুই বুঝতে চেষ্টা কর—শুধু অভ্যাসের জন্যে মানুষ তখন একসঙ্গে থাকে যখন ঘরে বাচ্চাকাচ্চা আছে, বিবাহিত জীবনের অন্যান্য দায়দায়িত্ব আছে—আমি কেন থাকব? আমি তো স্বাধীন! আই অ্যাম আ ফ্রি উওম্যান—রিলা। ট্রাই টু আনডারস্ট্যান্ড। মন খারাপ তো এমনিতেও হচ্ছে, অমনিতেও হবে। বরং একা একা থাকলে একটু চিন্তাভাবনা পরিষ্কার হবে—’
‘অন্যভাবে নতুন করে জীবন শুরু করার কথাও ভাবা যাবে—কীপ দ্যাট অন ইওর মাইনড তিতলি—দিস ইজ নট দি এনড—দি এনড অফ এ রিলেশনশিপ লিডস টু দ্য বিগিনিং অফ অ্যানাদার—’ মৌ মাঝখানে ঢুকে পড়েছে—’আমার মনে হয় তিতলি ঠিকই ডিসিশান নিয়েছে। লেট হার স্টার্ট আফ্রেশ। রাহুল ওয়াজ নট গুড ইনাফ ফর হার। হি হ্যাড লেফট হার ফর অ্যানাদার উওম্যান।’
‘আচ্ছা তিতু অর্জুনের সঙ্গে কি তোর আবার জোড়া লাগতে পারে না? তোরা তো দুজন দুজনকে খুব ভালো করে চিনিস—খুব ভালোওবাসতিস—যা হয়ে গেছে তা ছিল অ্যাকসিডেন্ট—একটা অ্যাকসিডেন্টের জন্য জীবনটাই ওয়েস্টেড হয়ে যাবে, দু-দুটো জীবন? ওর তো খুব ইন্টারেস্ট আছে দেখলাম।’
‘ধ্যুত। অর্জুনের সঙ্গে আর হয় নাকি? সত্যি রিলা! তুই না, ইনকররিজিবল রোমান্টিক একটা। হ্যাঁ, অর্জুনের সঙ্গে আবার দেখা হল, ভালোই হল। ওর কথাগুলো জানা হল। আমার মনটাও অনেকটা হালকা হল, টু টেল দ্য টুªথ। আগে তো একটা অজ্ঞানতার চাপ ছিল বুকের ভেতর, মাথার ভেতরে—কেন, কেন, সেইটে মুছে গেল। ব্যাপারটা ক্লোজড হল এতদিনে।’
‘ক্লোজড কেন? ওপেনড হল না কেন? এই যে তোদের আবার দেখাশুনো হচ্ছে সেইটেও ভালো। একটু কথাবার্তা বললেও তো ভালো লাগে। আফটার অল—ওল্ড ফ্রেন্ডস।’
‘ছেলেটা ভারি সুন্দর হয়েছে, না রে? কী লম্বা, এই বয়সে। এখনও গলার স্বর ভাঙেনি।’
‘গান গাইতে পারে—সেদিন গায়নি ভিড়ে, নেমন্তন্ন বাড়ি ছিল বলে। আরেকদিন ওকে এনেছিল অর্জুন। সুন্দর গান করল অভি। বাংলা ব্যান্ডও গাইতে পারে, রবীন্দ্রসঙ্গীতও গাইতে পারে, আবার নোরা জোনসও গাইল। বেশ হয়েছে ছেলেটা।’
‘মিতুদি কিন্তু আবার যাবার সময়ে আমাদের বলে গিয়েছে তোর দেখাশুনো করতে—মনে হল অর্জুনের ব্যাপারে মিতুদির বেশ আগ্রহ রয়েছে—’
প্লিজ মৌ, প্লিজ রিলা, লেট মি বি। আই অ্যাম জাস্ট কামিং আউট অফ আ পেইনফুল রিলেশনশিপ, আই ডু নট উইশ টু গেট ইনটু অ্যানাদার।—অন দ্য রিবাউন্ড কিছুই করায় আমি বিশ্বাস করি না। গিভ মি সাম টাইম টু সেটল ডাউন উইদিন মাইসেলফ—’ তিতলি হাতজোড় করে ফেলেছে—মৌ ওকে জড়িয়ে ধরে বলল—’ইটস ও কে। ইটস ও কে! তুই নিজের মতো করে বাঁচ। আমরা এখনই তোকে ডিস্টার্ব করব না। চল না ছ’টার শো’তে একটা ছবি দেখে আসি। হল-এ গিয়ে ছবি দেখা তো ভুলেই গেছি।’
‘বাংলা ছবি হচ্ছে নাকি ভালো কিছু?’
‘হচ্ছে তো। একই সঙ্গে দুটো শো-তে দুটো ছবি দেখতে পারিস। ছ’টার সময় সত্যজিতের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ন’টার সময়ে গৌতম ঘোষের ‘আবার অরণ্যে।’ যাবি?’
মৌয়ের উৎসাহে রিলা জল ঢেলে দেয়—চিরদিনের প্র্যাকটিক্যাল রিলা।
‘বা: তাহলে ডিনারটা খাবি কখন, রাত বারোটায়?’
‘না হল খেলি একদিন বারোটায়।’—মৌ বলল।
‘সে যেতে হলে তোরা যা—আমার বরবাবাজি তাড়িয়ে দেবে। আমাকে বাড়ি যেতেই হবে। সারাদিন বাইরে বাইরে। ছ’টার শো-টাও আমার চলবে না। তা ছাড়া দুটো ছবিই তো আমার দেখা।’ রিলা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে—’কিন্তু ”আবার অরণ্যে”-তে কোনও পুরোনো প্রেমিককে খুঁজে পাওয়া নেই—তোর তো ”আবার কলকাতায়”-এর স্ক্রিপ্টটা ঢের ভালো—অনেক বেশি লাইভলি এক্সপিরিয়েন্স। ইউ ফাউন্ড ইওর লস্ট লাভ।’
‘রিলা। ফের ছেলেমানুষি? অর্জুনের সঙ্গে এখন তিতলির প্রেম নেই। দে আর জাস্ট ওল্ড ফ্রেন্ডস। রিমেম্বার?’
‘ঠিক আছে। নাথিং লাইক ওল্ড ফ্রেন্ডশিপস। তাই না? লেটস হোপ সামথিং উইল কাম আউট অফ ইট।’
‘আ-বার? রিলা! তুই না, একটা যা তা! একটা নাছোড়বান্দা ভূত!’
‘সেদিন কিন্তু আমি সত্যি সত্যি অর্জুনকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলুম। অর্জুন বিহেভড সো নর্মালি! যেন কিছুই হয়নি। আবার কাজকর্মও করতে লাগল। কী নির্লজ্জ! না সরল? না পাগল? সংকুদা খুব রেগে যাচ্ছিল ওকে দেখে। কিছুতেই আই-কনট্যাক্ট করছিল না। কথাও বলছিল না। লক্ষ্য করেছিলি?’
‘করিনি আবার?’
তিতলি প্রসঙ্গটা পালটে দিয়ে বলে উঠল, ‘এবারে ভাবছি ক’দিন একটু দিঘাতে বেড়াতে যাব। সে-ই যে সবাই মিলে কলেজ থেকে আমরা দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলাম, কী আনন্দ হয়েছিল—মনে আছে? একা একাই একবার যাব ভাবছি। এবার থেকে একাই জীবনটাকে চেখে দেখতে চাই—দেখি কেমন লাগে—টার্ন আ নিউ লাইফ।’
‘একা একা দিঘা গেলেই খারাপ লাগবে কেন? ইউ মে ফাইনড সামওয়ান দেয়ার। হু নোজ?’ মৌয়ের গলাও এখন স্বপ্নিল!
‘তিতলির জীবনটা যেন একটা গল্পের মতন হয়ে উঠেছে দিনকে দিন,—ভীষণ ড্রামাটিক—নারে মৌ? একদম নাটক—’
‘আমাদের সকলের জীবনেই কিছু নাটক কিছু গল্প থাকে। কেউ কেউ লুকোতে পারে, কেউ পারে না।’
‘অজুর্নের জীবনটা বরং অনেক বেশি বেশি ”গল্পের মতন” না রে? কী অদ্ভুতভাবে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল—একটা ভুলের জন্যে—’
‘অর্জুনের উচিত ছিল না একটা ভুলকে বুকে চেপে ধরে রেখে, সেইটেকে ঘিরে জীবন গঠনের চেষ্টা করা। হি শুড হ্যাভ সিন আ ল’ইয়ার। দ্য প্রেগনেন্সি ওয়াজ দ্য রেজাল্ট অফ টু পার্সন্স ড্রাংকেন রেভেলরি।—দুজনেই বয়স্ক, একজনের দায়িত্ব কেন হবে? মেয়েটি কেন সেই ভ্রূণ অ্যাবর্ট করবে না?’
‘যাক। এখন তো সামলে উঠেছে। হি ইজ ডুইং ওয়েল ইন হিজ কেরিয়ার। ছেলেটাও দিব্যি হয়েছে। মাসিমা কোলে একটা নাতি পেয়েছে। দে হ্যাভ আ কোয়ায়েট ফ্যামিলি লাইফ।—’
‘মাসিমার কাছে যাবি নাকি একদিন? তিতলি?’
তিতলি চুপচাপ শুনছে। আধখানা মন উড়ছে শূন্যে। রিলা আর মৌ গল্প করছে। গল্পের বিষয়বস্তু তারই জীবন। তার নয় তার একদার প্রেমিকের জীবন। এবার নাম ধরে ডাকলে তো সাড়া না দিয়ে উপায় নেই।
‘মাসিমার কাছে?’
তিতলির মনে পড়ে যায় উত্তর কলকাতায় মার্বেলপাথরের মেঝে, বিশাল কাঠের দরজা, অর্জুনদের চক-মেলানো উঠোনের বাড়ি। মাসিমা হয় একতলার রান্নাঘরে, না তো তিনতলায় ঠাকুরঘরে ব্যস্ত থাকতেন। বাড়ির ছেলেরা বেলা বারোটায় উঠে চা খেত। একটায় খেত জলখাবার। বিকেল চারটের সময়ে দুপুরের ভাত। সন্ধেবেলা সাতটা-আটটায় বিকেলের চা-জলখাবার। আবার রাত্তিরে নেশাটেশা করে, রাত দেড়টা-দুটোর সময়ে ডিনার। গিন্নিরা, বউরা সারাদিন খাটত। বিকেলে পিছনে আলতা মেখে মেয়েদের ছাদে-ওঠার কোনও গল্পই ও বাড়িতে দেখেনি তিতলি। নিশ্চয় উনিশ শতকের কলকাতার কায়েতদের বানানো, বেনে-বিরোধী বৈঠকি গুল। এই রুটিনের মধ্যেই অর্জুন পড়াশুনো করত, প্রেসিডেন্সি কলেজের নামকরা ছাত্র ছিল। মাসিমার প্রখর দৃষ্টি ছিল অর্জুনের প্রতি—সেজন্যেই সম্ভব হয়েছিল ওর এইভাবে, অন্যভাবে বেড়ে-ওঠা।
যাবে নাকি একদিন মাসিমার কাছে? কাছে গিয়ে বসলে মনটা স্নিগ্ধ হবে। বড় স্নিগ্ধ স্বভাবটি। খুব মা-ময়। মমতাময়ী মাসিমা।
‘যাবি?’
কিন্তু সেটা কি ভালো দেখাবে, এতবছর পরে? একটু তিতলি চুপ করে থাকে।
‘শোন—তিতলি। আমি তো একটা পুরোনো বাড়ির বউ—আমার বিয়ে তো বাল্যবিবাহ বললেই চলে। আমার এক্সপিরিয়েন্স কী বলে জানিস? বলে, যে সয়, সে রয়। আর বলে, হৃদয়ের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।—শরীরের সয় না, কিন্তু হৃদয়ের সব সয় রে। হৃদয়ের মতো এত কঠিন বস্তু আর নেই। তুই শক্ত হয়ে হৃদয়কে যা বলবি ও তাই শুনবে। মোটেই গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে পড়বে না।—এইটে মনে রাখবি জগতে সব কিছুরই শেষ আছে। সুখেরও, দু:খেরও। তোর যদি মনে হয় দু:খ, অবিচার এসবগুলো তোর ভাগে বেশি বেশি এসে পড়েছে, তাহলে একটু ওয়েট কর। পরিস্থিতি বদলে যাবে। সুখ, সুবিচার এসবেরও দেখা পাবি। জীবনের বৈচিত্র্য এত বেশি, কোনও ব্যাটা কবি-শিল্পীর কল্পনাতে তত বৈচিত্র্য আসতেই পারে না। জীবনে যা ঘটে, তাই লিখলে লোকে বলবে, বাড়াবাড়ি। বলবে সামঞ্জস্য রাখতে পারেনি। কবির কল্পনাতেই শুধু সামঞ্জস্য থাকে রে, জীবন ওসবের ধার ধারে না। সে দু:খীর দু:খের ওপর আরও দু:খ চাপিয়ে যায়, সুখীর সুখের ওপর সুখ। ব্যালান্সের ব্যাপার নেই। আমি এইসব দেখি, আর শিক্ষাগ্রহণ করি, তোকেও বলে দিলাম—জীবনের কাছে ব্যালান্স এক্সপেক্ট করবি না। দুয়ে দুয়ে পাঁচ হয়।’
এত দীর্ঘ লেকচার দেওয়ার মতো স্বভাব নয় রিলার। একসঙ্গে এতগুলি কথা হঠাৎ তার মুখে শুনে মৌ, তিতলি দুজনেই রীতিমতো অবাক। কথা শেষ করেই উঠে পড়ল রিলা। মৌকে, তিতলিকে জড়িয়ে ধরে আদর করে বলল—’তাহলে আমি বাড়ি যাই? তোরা সিনেমার যাবি তো যা? মাসিমার কাছে যেতে হলে বলিস কিন্তু, আমিও যাব! আজই ছ’টার শোতে গেলে টিকিট আনিয়ে রাখ এখনই। ছ’টার আর ন’টার দুটোরই। পরে পাবি না।’
‘প্র্যাকটিক্যাল অ্যাজ এভার’—মৌ হাসে—’থ্যাংকস রিলা। টিকিট আমি ড্রাইভারকে দিয়ে আনিয়ে নিচ্ছি। তুই বরং নীচে থেকে আমার ড্রাইভার বলরামকে একটু ডেকে দিয়ে যাবি? ও নিশ্চয়ই ঘুমোচ্ছে গাড়ির ভেতর।’
.
রিলা চলে গেল বলরামকে পাঠিয়ে দিতে। ওকে টিকিট কিনতে পাঠাতে গিয়ে মৌ বলল—’তিতু, আমি কিন্তু দেবের টিকিটও কিনতে বলছি—অর্জুনও যাবে কিনা, জেনে নিতে বলব? দেবের সঙ্গে ওর বেশ বন্ধুত্ব আছে। ক্লাবে দেখা হয়।’
‘তোর ইচ্ছে করলে বল। আমার আপত্তির কিছু নেই। এবার একটু চা করি? না কফি খাবি?’
‘চা।’
বাইরে তখন সূর্য মধ্য গগনে। তিতলি উঠে পরদাগুলো টেনে দিয়ে জল বসাতে রান্নাঘরে যায়।
এই ভরদুপুরেও কোথায় একটা কুবো পাখি ডাকছে, কুব কুব কুব।
প্রথম সংস্করণ—জানুয়ারি ২০০৪
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন