১৯. নিশাত খুব কাঁদছে

হুমায়ূন আহমেদ

নিশাত খুব কাঁদছে। জহির অবাক হয়ে বলল, তুমি এত কাঁদছ কেন? মামলা তো জিতে গেলে একটা লোককে সারা জীবনের জন্যে জেলে পাঠিয়ে দিলে। আজ তো তোমার আনন্দ করার দিন। ব্যাপারটা কি বল তো?

ব্যাপারটা নিশাত বলতে পারল না। কারণ তা বলার মতো নয়। একই ঘটনা তার জীবনেও ঘটেছিল। সে তখন মাত্র কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। বড় দুলাভাই এক দুপুরবেলা তার ঘরে ঢুকে পড়লেন। কী লজ্জা, কী অপমান, কাকে সে বলবে? মীরু আপাকে? মাকে? বাবাকে? কাউকেই সে বলে নি। বলতে পারে নি। আজো পারবে না।

তবে আজ সে মুক্তি পেয়েছে। মনের একটা বিরাট দরজা এত দিন বন্ধ ছিল। আজ খুলে গেছে। এক ঝলক সূর্যের আলো ঢুকে গেছে। আজ সে কাঁদছে আলোর স্পর্শে।*

 

————-

*উপন্যাসে বর্ণিত প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক।

অধ্যায় ১৯ / ১৯

সকল অধ্যায়

১. ০১. কে যেন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে
২. ০২. রাত আটটা বাজতেই পুষ্পর ঘুম পেয়ে যায়
৩. ০৩. কলিংবেলটা কী সুন্দর করেই না বাজে
৪. ০৪. পুষ্প ঠাণ্ডা মেঝেতে হাত-পা এলিয়ে পড়ে আছে
৫. ০৫. জহিরের দাড়ি শেভ করবার ব্যাপারটা
৬. ০৬. পুষ্পদের বাড়িওয়ালা আওলাদ সাহেব
৭. ০৭. নিশাত বলল, ছটফট করছ কেন
৮. ০৮. মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ
৯. ০৯. রকিব জেগে আছে
১০. ১০. নিশাত খুব ভোরবেলায় তার মার বাড়িতে
১১. ১১. রকিব তিন দিন অফিসে এসেছে
১২. ১২. কোনো কারণে জহির রেগে আছে
১৩. ১৩. বিখ্যাত লোকদেরই কি চেহারা খারাপ
১৪. ১৪. পুষ্প হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে
১৫. ১৫. দুপুরের খাবারের বিশাল এক আয়োজন
১৬. ১৬. টেলিফোন
১৭. ১৭. দুটি গোলাপগাছ মরে গেছে
১৮. ১৮. আসামীর ক্রস একজামামিনেশন
১৯. ১৯. নিশাত খুব কাঁদছে

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন