গান্ধী হত্যা বিচার স্বাধীন ভারতে প্রথম রাজনৈতিক বিচার এবং এই বিচার অনেকটা যীশুখ্রিষ্টের বিচার পর্বের সঙ্গে তুলনীয় যা ঘটেছিল বহু শতাব্দী আগে। এই হত্যা বিচারের সঙ্গে অনেকে তুলনা করেন এই দেশেরই বহু দশক আগে ঘটে যাওয়া এক বিচার পর্বের সঙ্গে যা ভারতের জনমনে এবং তৎকালীন সংবাদ মাধ্যমে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল। তা হল ভাওয়াল সন্নাসী বিচার। গান্ধীহত্যা বিচার ছিল এদেশের সবথেকে ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘায়িত বিচার। শুধু তাই নয় এই গান্ধীহত্যা বিচারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারত ইতিহাসও। জড়িয়ে রয়েছে দেশভাগ, দাঙ্গা, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রসঙ্গ, কংগ্রেস দলের ভূমিকা এবং সর্বোপরি সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং আরও অনেক বিষয় ঘটনার আলেখ্য। যা আমরা টেনে নিয়ে চলেছি বর্তমানেও এটা নিছক খুনের ইতিহাস নয়, এটা একটা সামাজিক ইতিহাসের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই নাথুরাম গডসে-কে শুধু খুনের নিক্তিতে মাপা সঠিক ইতিহাসের অঙ্গ হতে পারে না। তাই প্রয়োজন বিশ্লেষণের। কারণ কেন এক দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদক এমন কঠিন, অপ্রিয় এবং একই সঙ্গে কঠোর কাজে ব্রতী হলেন? কেন বিচার সভায় তার বক্তব্যকে এক রাজনৈতিক থিসিস হিসেবে আখ্যাত করা হল এবং কেন নাথুরাম বিচার সভায় বললেন যে গান্ধীর স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটতে দেওয়া উচিত নয়? কেন নাথুরাম বলেছেন আমি প্রার্থনা করি যে ঈশ্বর তাকে ক্ষমা করুন তার সৃষ্ট এই পবিত্র ভূমিকে কলুষিত করার অপরাধ থেকে।
এই বিষয়ে তৎকালীন এলাহাবাদ হাইকোর্টের আইনজীবী শ্রী তপন ঘোষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি, গান্ধীহত্যা সংক্রান্ত এক নিরপেক্ষ গবেষণা গ্রন্থ রচনার জন্য। যে গবেষণা গ্রন্থটি আমাদের এই বইয়ের যাবতীয় তথ্যের মূল উৎস।

ষড়যন্ত্রের গন্ধ, গান্ধী হত্যার ফাইল পুনরায় খোলার আর্জি সুব্রহ্মণিয়ম স্বামীর(দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার ১৫ই নভেম্বর ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি)
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন