অধ্যায় ০১: ২৫ শে মার্চের প্রাক্কাল

মঈদুল হাসান

অধ্যায় ১: ২৫ শে মার্চের প্রাক্কাল

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের দূরবর্তী কারণ অনেক ছিল। এর মাঝে সর্ববৃহৎ কারণ ছিল ১৯৪৭ সালে–বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তিকালে–ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভৌগোলিক অবস্থানের সকল বিরুদ্ধতাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠন পরিকল্পনার অভিনবত্বে। দ্বিতীয় বৃহৎ কারণ ছিল ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন নানা ভাষাভাষীদের নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের উপযোগী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো অন্বেষণে পাকিস্তানী নেতৃবর্গের সম্যক ব্যর্থতা। ফলে পাকিস্তানের কাঠামোগত স্ববিরোধিতার সমাধান না ঘটে বরং দ্বন্দ ও সংঘাতের স্রোত উত্তরোত্তর প্রবল হয়ে ওঠে। পাকিস্তান গঠনের পর থেকেই বাঙালীরা রাষ্ট্র জীবনের সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত,বঞ্চিত ও শোষিত হতে শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা কখনো রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন,কখনো স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন,কখনো জনসংখ্যাভিত্তিক আইন পরিষদ গঠনের দাবী এবং কখনো অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের দাবী করে এসেছে।

পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে পূর্ব বাংলার মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস দীর্ঘ। নানা জোয়ার ও ভাটা,ঐক্য ও বিভেদ সত্ত্বেও এই সংগ্রামের ধারা সর্বদা প্রবহমান ছিল। পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে পূর্ব বাংলার মানুষের সুস্পষ্ট অভিমত প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে সংঘটিত প্রাদেশিক সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। বিরোধীদলীয় যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী কর্মসূচী ‘একুশ-দফায় বলা হয়, দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত অপর সকল বিষয় প্রাদেশিক সরকারের অধীনে আনা প্রয়োজন। নব নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদে যুক্তফ্রন্ট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু অচিরেই পাকিস্তানের শাসকবৃন্দ যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দিয়ে পূর্ব বাংলায় কেন্দ্রের শাসন আরোপ করে ব্যাপক দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর পর শুরু হয় স্বায়ত্তশাসনকামী দলসমূহের মধ্যে দ্বন্দ্ব,বিভেদ ও তাদের একাংশের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইতিহাস।

প্রায় একই সময়ে আন্তর্জাতিক ঠাণ্ডাযুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রসারিত হয় এবং পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার এক পর্যায়ে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়ুব খান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। ফলে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সমস্যা নিরসনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। সামরিক আইনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ১৯৬০ সাল থেকে পূর্ব বাংলার অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করার উপায় হিসেবে পূর্ব বাংলার সম্পদের একতরফা পাচার রোধ এবং সেই সম্পদ সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রদেশের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবী ক্রমশ প্রবল হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর তার একনিষ্ঠ অনুগামী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৩ সালে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করেন এবং এই দলকে পুনরায় পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষাবলম্বী করে তোলেন। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার যুদ্ধ অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানে যে তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়, সেই পটভূমিতে শেখ মুজিব তার বিখ্যাত ছ’দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা ছিল পাকিস্তানী রাষ্ট্রকাঠামোর অধীনে বাঙালীর স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ দাবী।

পূর্ব ও পশ্চিমের এই বিরোধ ছাড়াও সামরিক বনাম বেসামরিক শাসনের বিষয় ছিল দেশের আর একটি প্রধান রাজনৈতিক বিতর্ক। এই শেষোক্ত বিতর্কের সূত্র ধরে ১৯৬৮ সালের অক্টোবরে পশ্চিম পাকিস্তানে আইয়ুবের ১০ বছর স্থায়ী স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণ আন্দোলন শুরু হয়। তার কিছু পরে পূর্ব পাকিস্তানে যখন এই আন্দোলনের ঢেউ এসে লাগে,তখন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক স্বাধিকারের দাবী সম্বলিত ছ’ দফা কর্মসূচীর প্রবক্তা শেখ মুজিব বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

আইয়ুবের পতনের পর সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য সরাসরি দায়িত্বভার গ্রহণ করলেও গণ-অভ্যুত্থানের ব্যাপকতাদৃষ্টে একথা তাদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে দেশে প্রত্যক্ষ সামরিক শাসনের পুনঃপ্রবর্তন অসম্ভব এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবী অপ্রতিরোধ্য। এই অবস্হায় সেনাবাহিনী রাজনৈতিক দলসমূহের এক দুর্বল যুক্ত সরকার গঠন করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সচেষ্ট হয়। কেন্দ্রে একটি বেসামরিক কোয়ালিশন সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীন সামরিকচক্র বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নানা দ্বিপাক্ষিক গোপন সমঝোতা গড়ে তুলতে থাকে। তারই ভিত্তিতে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের অনন্যসাধারণ গঠন-কাঠামোর দরুন এবং বিশেষত পূর্ব বাংলার উপর অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক নিপীড়নের ফল হিসেবে এই অঞ্চলে নির্বাচনের রায় প্রায় সর্বাংশে যায় আওয়ামী লীগের ছ’দফার পক্ষে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন দখল করে আওয়ামী লীগ ৩১৩ আসন-বিশিষ্ট পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং সরকার গঠনে ও শাসনতন্ত্র প্রণয়নের যোগ্যতা অর্জন করে। ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে সমূহ আঘাত।

পাকিস্তানের স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলঃ (১) পূর্ব বাংলার উপর পাঞ্জাবের তথা পশ্চিম পাকিস্তানের সার্বিক আধিপত্য এবং (২) আর্থিক বরাদ্দ লাভের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর নিরঙ্কুশ অধিকার। ছ’দফায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বিজয়ে এই দুটি স্বার্থই সমূলে বিপন্ন হয়ে পড়ে। কেন্দ্রে একটি দুর্বল বেসামরিক কোয়ালিশন সরকার গঠনের পূর্ববর্তী পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতাসীন জান্তা পরোক্ষ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের আশা ত্যাগ করে এবং তৎপরিবর্তে প্রত্যক্ষ সামরিক পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার পরিকল্পনা তৈরিতে উদ্যোগী হয়।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ তেইশ বছর পর প্রাপ্তবয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন ছিল এই প্রথম। নির্বাচনী ফলাফল থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের গঠন ও ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারার প্রশ্নে দেশের দুই অংশের জনমত সম্পূর্ণ বিভক্ত ও পরস্পরবিরোধী; এই পরস্পরবিরোধী জনমতকে একত্রিত বা নিকটবর্তী করার ক্ষমতা কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই। পাকিস্তানের এই সুগভীর রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার জন্য ক্ষমতাসীনদের সামনে ছিল মূলত দুটি বিকল্পঃ ছ’দফা কর্মসূচী অনুসারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দুই অঞ্চলের লুপ্ত প্রায় পারস্পরিক আস্থা পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা করা; অথবা, নির্বাচনের রায় অগ্রাহ্য করে নগ্ন সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় সরাসরি ঔপনিবেশিক শাসন প্রবর্তন করা। ১৯৭১ সালে কোন বিকল্প পন্থাই দেশ বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি থেকে পুরোপুরি মুক্ত ছিল না। তবে, প্রথম বিকল্পে যেমন রক্তপাত ও প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল তুলনামূলকভাবে কম, তেমনি উভয় অংশের পূর্ণ বিচ্ছেদ বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল অপেক্ষাকৃত বেশী।

পাকিস্তানী জান্তা তাদের পেশাগত প্রবণতার দরুন সামরিক শক্তি প্রয়োগের পথকে বেছে নেয়। পাকিস্তানের দুরারোগ্য রাজনৈতিক সঙ্কটের ওপর এহেন সামরিক সমাধান চাপিয়ে দেবার সাথে সাথে পাকিস্তানের বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন ছিল কিছু সময়ের। কাজেই জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বানে নানা গড়িমসির পর ভুট্টোর মাধ্যমে কিছু শাসনতান্ত্রিক বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতীয় পরিষদের বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। জান্তা পরোক্ষভাবে এ কথাই জানিয়ে দেয় যে, ছ’দফার ভিত্তিতে রচিত শাসনতন্ত্র তাদের গ্রহণযোগ্য নয় এবং আওয়ামী লীগ ছ’দফার সংশোধনে সম্মত না হলে পরিষদ অধিবেশনের কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ছ’দফার পক্ষে পূর্ব বাংলার মানুষের সর্বসম্মত রায়ের ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষে এমন আপোসরফা ছিল রাজনৈতিক আত্মহত্যার নামান্তর।

তা ছাড়া জাতীয় পরিষদ বৈঠক বাতিলের সাথে সাথে সারা পূর্ব বাংলায় স্বতঃস্ফুর্ত গণ-বিস্ফোরণ ঘটে। এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানকে একটি অসহযোগ আন্দোলনে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ অসামান্য সাফল্য অর্জন করে। গণ-আন্দোলনের উত্তাল জোয়ারে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশের সমগ্র প্রশাসন বিভাগ কার্যত এক বিকল্প সরকারে পরিণত হয়। তৎদৃষ্টে সামরিক জান্তা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে একমাত্র চূড়ান্ত আঘাতের মাধ্যমেই বাঙালীদের এই নতুন আত্মপ্রত্যয় প্রতিহত করা সম্ভব।

জানুয়ারী বা সম্ভবত তার আগে থেকেই যে সমর প্রস্তুতির শুরু হয়েছিল, তার অবশিষ্ট আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইয়াহিয়া-মুজিব আলোচনার ধূম্রজাল বিস্তার করা হয়। এই আলোচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে যুগপৎ সন্দিহান ও আশাবাদী থাকায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের পক্ষে আসন্ন সামরিক হামলার বিরুদ্ধে। যথোপযোগী সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত একই কারণে ২৫/২৬শে মার্চের মধ্যরাতে টিক্কার সমর অভিযান শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব স্বাধীনতার স্বপক্ষে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উঠতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মী যারা তার সাথে দেখা করেছিলেন, তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েও তাদের সকল অনুরোধ উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ

নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ মুজিব রয়ে যান নিজ বাসভবনে। সেখান থেকে গ্রেফতার হন হত্যাযজ্ঞের প্রথম প্রহরে। কিন্তু যেভাবেই হোক, ঢাকার বাইরে একথা রাষ্ট্র হয়ে পড়ে যে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন এবং পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের নেতৃত্ব দান করে চলেছেন। সম্ভবত তিন সপ্তাহাধিক কালের অসহযোগ আন্দোলনের জোয়ারে বাংলার সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক চেতনায় এমন এক মৌল রূপান্তর ঘটে যে পাকিস্তানীদের নশংস গণহত্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাংলার স্বাধীনতাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। পাকিস্তানী আক্রমণের সাথে সাথে অধিকাংশ মানুষের কাছে শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ঘোষণা হয়ে ওঠে এক অভ্রান্ত পথ–নির্দেশ।

অধ্যায় ১ / ২২

সকল অধ্যায়

১. অধ্যায় ০১: ২৫ শে মার্চের প্রাক্কাল
২. অধ্যায় ০২: মার্চ-এপ্রিল
৩. অধ্যায় ০৩: এপ্রিল
৪. অধ্যায় ০৪: মে – জুন
৫. অধ্যায় ০৫: মে – জুন
৬. অধ্যায় ০৬: মে – জুন
৭. অধ্যায় ০৭: জুন – জুলাই
৮. অধ্যায় ০৮: জুলাই – নভেম্বর
৯. অধ্যায় ০৯: জুলাই – আগষ্ট
১০. অধ্যায় ১০: আগষ্ট
১১. অধ্যায় ১১: আগষ্ট – সেপ্টেম্বর
১২. অধ্যায় ১২: সেপ্টেম্বর
১৩. অধ্যায় ১৩: সেপ্টেম্বর – অক্টোবর
১৪. অধ্যায় ১৪: সেপ্টেম্বর – অক্টোবর
১৫. অধ্যায় ১৫: সেপ্টেম্বর – অক্টোবর
১৬. অধ্যায় ১৬: অক্টোবর
১৭. অধ্যায় ১৭: অক্টোবর
১৮. অধ্যায় ১৮: অক্টোবর – নভেম্বর
১৯. অধ্যায় ১৯: নভেম্বর
২০. অধ্যায় ২০: নভেম্বর – ডিসেম্বর
২১. অধ্যায় ২১: ডিসেম্বর
২২. অধ্যায় ২২: ডিসেম্বর – জানুয়ারি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন