১.০৪ ছেলেধরা

কালীপ্রসন্ন সিংহ

ছেলেধরা

আমরা ভূমিষ্ঠ হয়েই শুলেম, সহরে ছেলেধরার বড় প্রাদুর্ভাব! কাবুলি মেওয়াওয়ালারা ঘুরে ঘুরে ছেলে ধরে কাবুলে নিয়ে যায়। সেথায় নানাবিধ মেওয়া ফলের বিস্তর বাগান আছে, ছেলেটাকে তারি একটা বাগানের ভিতর ছেড়ে দেয়, সে অনবরত পেটপুরে মেওয়া খেয়ে খেয়ে যখন একেবারে ফুলে উঠে রং দুধে আলতার মত হয়, এমন কি টুস্কি মাল্লে রক্ত বেরোয়, তখন এক কড়া ঘি চড়িয়ে ছেলেটাকে ঐ কড়ার উপর, উপরপানে পা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়; ক্রমে কড়ার ঘি টগবগিয়ে ফুটে উঠলে ছেলের মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে আরম্ভ হয় ও সেই রক্ত টোসা টোসা ঘিয়ের কড়ার উপর পড়ে; ক্রমে ছেলের সমুদায় রক্ত বেরিয়ে এলে নানাবিধ মেওয়া ও মিছরির ফোড়ন দিয়ে কড়াখানি নাবান হয়। নবাব ও বড় বড় মোসলমানরা তাই খান। আমরা এই ভয়ানক কথা শুনে অবধি একলা বাড়ার বাহিরে প্রাণান্তেও যেতাম না, ও সেই অবধি কাবুলীদিগের উপর বিজাতীয় ঘৃণা জন্মে গেল।

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ কলিকাতায় চড়ক পার্ব্বণ
২. ১.০২ কলিকাতার বারোইয়ারি-পূজা
৩. ১.০৩ হুজুক
৪. ১.০৪ ছেলেধরা
৫. ১.০৫ প্রতাপচাঁদ
৬. ১.০৬ মহাপুরুষ
৭. ১.০৭ লালা রাজাদের বাড়ী দাঙ্গা
৮. ১.০৮ কৃশ্চানি হুজুক
৯. ১.০৯ মিউটীনি
১০. ১.১০ মরা-ফেরা
১১. ১.১১ আমাদের জ্ঞাতি ও নিন্দুকেরা
১২. ১.১২ নানা সাহেব
১৩. ১.১৩ সাতপেয়ে গরু
১৪. ১.১৪ দরিয়াই ঘোড়া
১৫. ১.১৫ লক্ষ্ণৌয়ের বাদসা
১৬. ১.১৬ শিবকৃষ্ট বন্দ্যোপাধ্যায়
১৭. ১.১৭ ছুঁচোর ছেলে বুঁচো
১৮. ১.১৮ জষ্টিস ওয়েলস
১৯. ১.১৯  টেকচাঁদের পিসি
২০. ১.২০ পাদ্রি লং ও নীলদর্পণ
২১. ১.২১ রমাপ্রসাদ রায়
২২. ১.২২ রসরাজ ও যেমনকৰ্ম্ম তেমনি ফল
২৩. ১.২৩ বুজরুকী
২৪. ১.২৪ হোসেন খাঁ
২৫. ১.২৫ ভূত-নাবানো
২৬. ১.২৬ নাক-কাটা বঙ্ক
২৭. ১.২৭ পদ্মলোচন দত্ত ওরফে হঠাৎ অবতার
২৮. ১.২৮ মাহেশের স্নানযাত্রা
২৯. ২.১ রথ
৩০. ২.২ দুর্গোৎসব
৩১. ২.৩ রামলীলা
৩২. ২.৪ রেলওয়ে

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন