শ্রাবণের হানিমুন

প্রচেত গুপ্ত

শ্রাবণের হানিমুন

চমকে উঠল শ্রীময়ী। ওই লোকটা না? হ্যাঁ, তাই তো, ওই লোকটাই! অন্ধকারে মনে হচ্ছে, মানুষ নয় মানুষের ছায়া বসে আছে! ছায়াটা সামান্য নড়ছে।

রাতের সমুদ্র দেখায় আলাদা মজা। আজ বেশি মজা লাগছে। কারণ আজ সন্ধে থেকে অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শ্রীময়ী মুগ্ধ। তার মাথা নীলাদ্রির বাঁ কাঁধের ওপর। ঘরের ঝলমলে আলো নিভিয়ে নরম আলো জ্বালানো হয়েছে। আলোর শেডটা দেখতে ঝিনুকের মতো। মনে হচ্ছে ভেতরের মুক্তো থেকে আলো আসছে! খুব সুন্দর।

সোফার ঠিক সামনেই কাচের বিরাট জানলা। জানলার মুখোমুখি কিছুক্ষণ বসে থাকলে মনে হয়, ঘর নয়, এটাও সমুদ্র। শ্রীময়ীর মনে হচ্ছে, চারতলার এই হানিমুন স্যুইট থেকে অন্ধকার সমুদ্রে বৃষ্টি দেখা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। ভাগ্যিস তার বিয়ে শ্রাবণ মাসে হয়েছে। নইলে এই অভিজ্ঞতা থেকে সে নিশ্চয় বঞ্চিত হত। চমৎকার এই হানিমুন স্যুইট পাওয়াটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। এই হোটেলে মাত্র দুটো এরকম স্যুইট আছে। চারতলার ওপর, হোটেলের ভিড় হট্টগোল থেকে দূরে। ইন্টারকমে না ডাকলে বেয়ারারাও কখনও ওপরে ওঠে না! নীলাদ্রি কলকাতা থেকে ঘর বুক করে এসেছে। হানিমুনের দু’দিন কেটেছে মোটে। শ্রীময়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার যদি মেয়ে হয়, মেয়ের বিয়ে সে শ্রাবণ মাসেই দেবে। মেয়ে যদি আপত্তি করে শুনবে না। বলবে একটা বিশেষ কারণে তার বিয়ে শ্রাবণে ঠিক করা হয়েছে।

‘কী কারণ মা?’

‘কারণ বলা যাবে না। পরে নিজেই জানতে পারবে।’

সত্যি জানতে পারবে। মেয়েও তার মতো হানিমুনের সময় সমুদ্রে বৃষ্টি দেখতে পাবে।

নীলাদ্রি স্ত্রীর থুতনি ধরে নিজের দিকে ফেরাতে চায়। শ্রীময়ী মুখ ঘোরায় এবং তখনই পাশের বারান্দায় চোখ পড়ে।

চমকে উঠল শ্রীময়ী! দ্রুত নীলাদ্রির কাঁধ থেকে মাথা তুলে ফিসফিস করে বলল, ‘অ্যাই দেখো, দেখো, ওই যে লোকটা।’

নীলাদ্রি শ্রীময়ীর মুখের কাছে ঠোঁট নামিয়ে বলল, ‘কোন লোকটা সোনা? উঁ উঁ, এখানে কোনও লোক নেই। এখানে শুধু তুমি আর আমি। আমি আর তুমি। উঁ উঁ…।’

শ্রীময়ী সোজা হয়ে বসেছে। হাত দিয়ে নীলাদ্রির মুখ সরিয়ে চাপা গলায় বলল, ‘আঃ, দেখো না, ওই তো লোকটা। বারান্দায় বসে আছে।’

অনিচ্ছা সত্ত্বেও নীলাদ্রি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। সত্যি লোকটা বারান্দায় বসে আছে। বসে বসে ভিজছে বৃষ্টিতে!

শুধু স্যুইট নয়, হানিমুন স্যুইটের লাগোয়া বারান্দাগুলোও দারুণ। এক টুকরো ছাদের মতো। চারপাশ খোলা, মাথাও খোলা। সবসময় মাথার ওপর আকাশ আর সামনে সমুদ্র। ফাঁকা বারান্দায় লোকটা বসে আছে চেয়ারে। অন্ধকার আর বৃষ্টিতে খানিকটা অস্পষ্ট, খানিকটা আবছা। সামান্য ঝুঁকে আছে সামনের দিকে। যেন উলটো দিকে বসে থাকা কারও সঙ্গে কথা বলছে! কার সঙ্গে কথা বলছে? নীলাদ্রি ভাল করে দেখল। কই আর কেউ নেই তো!

লোকটা যে একটু কুঁজো আগেই খেয়াল করেছে নীলাদ্রি। আজ বিকেলে যখন শ্রীময়ী আর ও সি-বিচে যাচ্ছিল তখন হোটেলের লাউঞ্জে দেখেছে। ঝুঁকে হাঁটছিল। শ্রীময়ী নীলাদ্রির কনুইতে চিমটি কেটে বলল, দেখো দেখো, ওই লোকটার কথাই বলছিল।’

নীলাদ্রি অবাক হয়ে বলল, ‘কে বলছিল?’

শ্রীময়ী বলল, ‘হোটলের ঘর পরিষ্কার করতে যে ছেলেটা আসে সে… তুমি তখন সিগারেট আনতে নীচে গিয়েছিলে। অ্যাই জানো, লোকটা না খুব অদ্ভুত। ঘটনা শুনলে অবাক হয়ে যাবে।’ শ্রীময়ীর গলায় গল্প বলার উৎসাহ।

নীলাদ্রি হাত নেড়ে বলল, ‘সরি শ্রীময়ী, হানিমুনে এসে অন্য পুরুষমানুষের ঘটনা শুনে অবাক হতে পারব না। প্লিজ স্টপ করো।’

শ্রীময়ী ‘স্টপ’ হল না। অন্যমনস্ক গলায় বলল, ‘প্রতি বছরই লোকটা এখানে আসবে একবার করে, এই হোটেলে উঠবে। টানা বারো-তেরো বছর নাকি একই কাণ্ড করছে! ভাবতে পারো? টুয়েলভ ইয়ার্স!’

নীলাদ্রি বিরক্ত হয়ে বলল, “ওঃ শ্রীময়ী, বাড়াবাড়ি কোরো না। জায়গা ভাল লেগেছে, হোটেল ভাল লেগেছে তাই আসে। এতে অদ্ভুতের কী দেখলে? অনেকেরই এই ব্যাড হ্যাবিট আছে। এক জায়গায় একশোবার ঘুরবে। আমার বড়মামা মনে হয় আড়াইশোবার দেওঘর গেছেন। এক হলিডে হোমে উঠেছেন। হলিডে হোম ভেঙেচুরে গেছে তাও ওঠা – চাই। বুড়োটে মার্কা চিন্তা।’ এরপর গলা নরম করে নীলাদ্রি। বলে, ‘আজ কিন্তু বেশিক্ষণ বাইরে থাকব না। তাড়াতাড়ি হোলে ফিরতে হবে। আমার অন্য প্ল্যান আছে।’

‘কী প্ল্যান?’

‘ম্যারাথন আদরের প্ল্যান। গিনেস বুকে আদর সংক্রান্ত যত রেকর্ড আছে সব আজ ভেঙে ফেলব ঠিক করেছি। হা হা।’

নীলাদ্রি গলা খুলে হাসলেও শ্রীময়ী হাসল না। চুপ করে বালির ওপর দিয়ে হাঁটতে লাগল। নীলাদ্রি আড়চোখে তাকিয়ে ভুরু কুঁচকে বলল, ‘কী হল? কী ভাবছ?’

শ্রীময়ী প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল, ‘অদ্ভুত লোকটা প্রতিবারই চারতলার ওই হানিমুন স্যুইটটা-ই নেয়। আমরা যেখানে আছি তার পাশেরটায়। নিউলি ম্যারেড কাপল ছাড়া এই ঘর কাউকে ভাড়া দেওয়ার কথা নয়। একমাত্র এর বেলাতেই ছাড় আছে। ওকে একলা ঘর দেওয়া হয়। বেয়ারা ছেলেটা বলছিল, এই লোক প্রথমবার এখানে এসেছিল হানিমুন করতে। বউকে নিয়ে ওই ঘরে উঠেছিল। সারারাত বারান্দায় বসে গুটুর গুটুর করে গল্প করত। মেয়েটি বছরখানেকের মাথায় মারা যায়। মনে হয় বাচ্চা টাচ্চা হতে গিয়ে কোনও গোলমাল হয়েছিল। অন্যকিছুও হতে পারে। তারপর থেকে লোকটা প্রতিবছর নিয়ম করে একা একা আসে। আসে নিজের সেই হানিমুনের তারিখ মিলিয়ে। দিন তিন-চার থাকে। তারপর চলে যায়। বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকে। বেরোয় না।’

নীলাদ্রির বিরক্তি বাড়ল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল, ‘কী করে? মরা বউয়ের ধ্যান করে?’

শ্রীময়ী এই ঠাট্টায় বিরক্ত হল। ভুরু কুঁচকে বলল, ‘যা ওরকম করে বোলো না। লোকটা স্ত্রীকে নিশ্চয় খুব ভালবাসত। হয়তো ভালবাসার বিয়ে। হানিমুনের দিনগুলো এখানে এসে তাকে মনে করে। শুনতেও ভাল লাগে। তোমার লাগছে না?’

‘না, লাগছে না। যত সব পচা সেন্টিমেন্ট।’

শ্রীময়ী স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “অ্যাই, আমি যদি পট করে মরে যাই তুমি এরকমভাবে আসবে?

নীলাদ্রি আর পারল না। রেগে গেল। নিজের হানিমুনে অন্য মানুষের ভালবাসার কথা শুনলে রাগ হওয়ারই কথা। তারওপর মরা টরার কথা এই সময় মানায় না। সে রাগ হওয়া গলায় বলল, ‘বাজে কথা বোলো না শ্রীময়ী। এই গল্প সব ট্যুরিস্ট স্পটেই চালু আছে। হোটেলওলারাই প্ল্যান করে ছড়ায়। যখন যেমন সুবিধে। হানিমুন কাপল পেয়েছে তাই হানিমুনের গল্প ছড়াচ্ছে। এমনভাবে বলছে যেন এই হোটেলের প্রেম একেবারে বিরাট প্রেম। একেবারে জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে চলে যায়। আহা! শুনে তুমিও দেখছি গলে গেছ।’

স্বামীর ঠাট্টা-যুক্তি কোনওটাই শ্রীময়ীর পছন্দ হল না। বলল, ‘লোকটা যে বছর বছর আসে সেটা তো সত্যি।

নীলাদ্রি ঝাঝিয়ে বলল, ‘সত্যি কি না তুমি জানলে কী করে? হোটেলের রেজিস্ট্রার দেখেছ? বারো বছরের খাতা? আর যদি আসে তা হলে বলব হয় পাগল, নয় অন্য ধান্দা আছে। যত্তসব বাড়াবাড়ি।’

‘অন্য কী ধান্দা?’

‘আমি জানি না। তুমি পারলে ওই প্রেমিক পুরুষকে জিজ্ঞেস করে নিয়ো।’

শ্রীময়ী একটু চুপ করে থেকে ভুরু কুঁচকে বলল, ‘তুমি রাগ করছ কেন? একটা লোক তার বউকে বাড়াবাড়ি ধরনের ভালবাসে শুনলে রাগ করার কী আছে?’

নীলাদ্রি ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে বলে, ‘জ্যান্ত বউ নয়, মরা বউকে ভালবাসে। যত্তসব ফালতু। চলো এবার ফিরে যাই।’

কথা শেষ করে নীলাদ্রি স্ত্রীর হাত ধরল। শ্রীময়ী হাত সরিয়ে নিল। তার হাতের চুড়িগুলো বেজে উঠল রিনরিন করে। আজ সে ড্রেসের সঙ্গে রং মিলিয়ে হাত ভরতি চুড়ি পরেছে। সমুদ্রের দিকে মুখ ঘুরিয়ে শ্রীময়ী বলল, ‘না, এখন যাব না। অন্ধকার নামুক।’

ওরা যখন ফিরল তখন অন্ধকারের সঙ্গে অল্প অল্প বৃষ্টি নেমেছে। সেই বৃষ্টি ক্রমশ বাড়ছে। নীলাদ্রির অস্বস্তি হচ্ছে। এই ভর সন্ধেতে একটা মাঝবয়সি মানুষ একা একা বারান্দায় বসে ভিজছে দেখলে অস্বস্তি হওয়ারই কথা। শুধু ভিজছে না, ফাঁকা বারান্দায় হাত নেড়ে নেড়ে গল্পও করছে! কার সঙ্গে গল্প করছে? মরা বউয়ের সঙ্গে? কথাটা ভেবে বুকটা একটু যেন ছ্যাঁৎ করে উঠল। নিজেকে সামলাতে শ্রীময়ীর মুখটা দু’হাতে ধরল সে। গালে ঠোঁট ছোঁয়াল

হালকাভাবে। শ্রীময়ী ফিসফিস করে বলল, ‘জানলার পরদা টেনে দাও।’

নীলাদ্রি কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল, ‘পাগলটা দেখতে পাবে না। বারান্দা থেকে ঘরের ভেতর দেখা যায় না।

শ্রীময়ী একটু সরে গিয়ে বলল, ‘তাও টেনে দাও। আমার কেমন যেন লাগছে।’

উঠে গিয়ে পরদা টানল নীলাদ্রি। টানার সময় উঁকি মেরে দেখল, লোকটা নেই, উঠে গেছে। বাঁচা গেল। তবে পাশের ঘরে একটা মাথা গোলমালের মানুষ থাকা ঠিক নয়। কালই ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সোফায় ফিরে এসে স্ত্রীর জামার বোতাম খুলল। মুখ নামিয়ে দিল সেখানে। নামিয়ে বুঝতে পারল ঠিক জুত হচ্ছে না। শ্রীময়ী সাড়া দিচ্ছে না। এই সময়গুলোতে মেয়েটা সাধারণত আবেশে চুলের মুঠি চেপে ধরে। নীলাদ্রি মুখ তুলে চাপা গলায় বলল, ‘কী হল?’

‘একটা কথা মনে হচ্ছে সকাল থেকে।’ অন্যমনস্ক গলায় বলল শ্রীময়ী।

‘কী?’ ভুরু কোঁচকাল নীলাদ্রি।

‘বউ-পাগল লোকটা তো আসে, কিন্তু ওর মরা বউও আসে?’ ফিসফিস করে বলল শ্রীময়ী।

‘উফ তুমি দেখছি, মাথা থেকে ফালতু জিনিসটা ফেলবে না।’

‘ধরো আমি মরে গেলে, তুমি এখানে প্রতি বছর আসবে, কিন্তু আমি কি আসব?’

‘উফ থামবে তুমি? পাগলামি বন্ধ করবে? না, দেখছি কালই হোটেল বদলাতে হবে। নইলে তোমার মাথা থেকে এসব যাবে না।’

শ্রীময়ী নিচু গলায় বলল, “তাই ভাল কালই হোটেলটা বদলে নাও।’

নীলাদ্রি স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘নাও এদিকে সরে এসো তো।’

শ্রীময়ী জামার বোতাম লাগাতে লাগাতে চাপা গলায় বলল, ‘এখন নয়, রাতে।’

নীলাদ্রি বুঝল, কোথাও একটা সুর কেটেছে। জোর করে লাভ নেই। শ্রীময়ীর মন সহজ করতে সে ইন্টারকম তুলে ডিনারে খিচুড়ি আর পমফ্রেট ভাজার অর্ডার দিল।

বেশি রাতে ঘুম ভাঙল শ্রীময়ীর। বৃষ্টি বেড়েছে। সমুদ্র গর্জনের সঙ্গে ভেসে আসছে সেই শব্দ। বড় সুন্দর। যেন যুগলবন্দি। জানলার পরদা ভেদ করে বিদ্যুৎ চমকের আলো ঢুকছে অন্ধকার ঘরে। শরীরভরা তৃপ্তি নিয়ে শ্রীময়ী ঘুমন্ত নীলাদ্রিকে জড়িয়ে ধরল। আর ঠিক তখনই পাশের বারান্দা থেকে ভেসে আসা আওয়াজটা শুনতে পেল সে।

হালকা রিনরিন ধরনের আওয়াজ। মেয়েদের হাতের চুড়ির আওয়াজ! নগ্ন শরীরে ধড়ফড় করে উঠে বসল শ্রীময়ী। কার চুড়ির আওয়াজ! নিজের হাত ভরতি চুড়ির দিকে তাকাল অন্ধকারেই।

বৃষ্টি আর সমুদ্রের আওয়াজ ভেদ করে পাশের বারান্দা থেকে ভেসে আসে মেয়ের গলার ফিসফিসানি। শ্রীময়ীর বুঝতে কয়েক মূহুর্ত সময় লাগল। এ গলা তার চেনা!

নিজের গলা চিনতে মানুষের একটু সময় তো লাগবেই।

আনন্দবাজার পত্রিকা, উৎসব ক্রোড়পত্র, ৩১ জুলাই ২০১০

সকল অধ্যায়

১. জ্যোৎস্নার রেল স্টেশন
২. চোরের বউ
৩. ফ্লাইওভার
৪. পেঁচা
৫. নদী
৬. সখী
৭. কথা
৮. হলুদ গোলাপ
৯. নীল
১০. আহা! আজি এ বসন্তে
১১. ধর্ষিতা
১২. মেয়েটা
১৩. যে যা পারে না
১৪. মোবাইল
১৫. গৃহত্যাগী
১৬. পালিয়ে
১৭. অচেনা
১৮. ইমেল বিছানো পথে
১৯. আজ কি শুভ্র আসবে
২০. মেঘ-বৃষ্টি
২১. ডাস্টবিন
২২. কুঞ্জবিহারীর দুঃস্বপ্ন
২৩. দিঘি
২৪. নেতা
২৫. তালিকা
২৬. চেয়ার
২৭. সন্ন্যাসী
২৮. ব্যথা
২৯. কৃষ্ণচূড়া
৩০. মৃত
৩১. আমি ও মানালি
৩২. পুঁইশাক
৩৩. কালবৈশাখী
৩৪. চাপা
৩৫. গর্ত
৩৬. হিরে
৩৭. গুহা
৩৮. পোস্টম্যান
৩৯. মূর্তি
৪০. নিকুঞ্জবাবু
৪১. জলছাপ
৪২. গোলাপি জামা
৪৩. চন্দ্রাহত
৪৪. লাস্ট ট্রেন
৪৫. শ্রাবণের হানিমুন
৪৬. দাঁত
৪৭. মাটির মেডেল
৪৮. রক ফেস্টিভাল
৪৯. এবার পুজোয়
৫০. নীলকণ্ঠ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন