ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস
পরিবার, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি
প্রথম অধ্যায়
সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক স্তর
বিশেষজ্ঞের জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে মর্গ্যানই সর্বপ্রথম মানবজাতির প্রাগৈতিহাসিক যুগকে নির্দিষ্ট নিয়ম ও শৃঙ্খলার ভেতরে আনয়ন করতে চেষ্টা করেন। তার যতদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত বিষয়-বস্তুর চাপে পরিবর্তন সাধনের প্রয়োজন উপস্থিত না হয়, ততদিন তাঁর শ্রেণী-বিন্যাসই বলবৎ থাকবে।
অ-সভ্য (savagery) অবস্থা, বর্বর (barbarism) ও সভ্যতা—[মানব সমাজের] এই তিনটি প্রধান যুগের মধ্যে প্রথম দুটো এবং তৃতীয় যুগের পরিবর্তনের সূচনার সময় পর্যন্ত নিয়ে তিনি আলোচনা চালান। অ-সভ্য অবস্থা ও বর্বর যুগকে তিনি আহার্য উৎপাদনে প্রগতির ক্রম অনুসারে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ এই তিনটি স্তর বা পর্যায়ে বিভক্ত করেন। [আহার্য উৎপাদনের প্রগতিকে মাপকাঠিরূপে ব্যবহারের] কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন :
“আহার্য উৎপাদনে মানবজাতির নৈপুণ্যের উপরই তাদের পৃথিবীতে প্রাধান্য বিস্তারের সমগ্র সমস্যাটা নির্ভর করে। [সকলেরই বিশ্বাস পৃথিবীতে] একমাত্র মানবজাতিই আহার্য উৎপাদনের উপর পুরো ক্ষমতা বিস্তার করেছে, [অর্থাৎ এই সমশাটাকে পুরোপুরি(১) মুঠোর মধ্যে আনয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই আহার্য উৎপাদিনের উৎস ও উপায়গুলির বিস্তৃতি সাধনের সঙ্গে মানবীয় প্রগতি ধারার প্রধান যুগগুলোকে অল্পবিস্তর প্রত্যক্ষভাবে অভিন্নরূপে কল্পনা করা হয়েছে।”(২)
————–
১. ‘পুরোপুরি’ স্থলে এঙ্গেল্স্ লিখেন “প্রায়”।
২. মর্গ্যান—পূর্বোক্ত গ্রন্থের ১৯ পৃঃ।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন