-বাঙ্‌লা-মা’র বুক-জোড়া ধন-
    এত কি ছিল ব্যাকুল মন।
    -ওগো।-
    ঠাকুরমা’র বুকের মানিক, আদরের ‘খোকা খুকি’।
    চাঁদমুখে হেসে, নেচে নেচে এসে, ঝুলির মাঝে দে উঁকি!
    ওগো!
    সুশীল সুবোধ, চারু হারু বিনু লীলা শশী সুকুমারি!
    দ্যাখ তো রে এসে খোঁচা খুঁচি দিয়ে ঝুলিটারে
    নাড়ি’ চাড়ি।’
    -ওগো!-
    বড় বৌ, ছোট বৌ। আবার এসেছে ফিরে’
    সেকালের সেই রুপকথাগুলো তোমার আঁচল ঘিরে’!
    ফুলে ফুলে বয় হাওয়া, ঘুমে ঘুমে চোখ ঢুলে,
    কাজগুলো সব লুটুপুটি খায় আপন কথার ভুলে।
    এমন সময় খুঁটে লুটে’ এনে হাজার যুগের ধূলি
    চাঁদের হাটের মাঝখানে’-মা!-ধূপুষ্ করা-
    ঝুলি!!
    হাজার যুগের রাজপুত্র রাজকন্যা সবে
    রপসাগরে সাঁতার দিয়ে আবার এল কবে!
    হাঁউ মাঁউ কাঁউ শব্দ শুনি রাসেরি পুর-
    না জানি সে কোন্ দেশে না জানি কোন্ দূর!
    নতুন বৌ! হাঁড়ি ঢাক’, শিয়াল পন্ডিত ডাকে;-
    হেঁটে কাঁটা উপরে কাঁটা কোন্ রানীদের পাপে?
    তোমাদেরি হারাধন তোমাদেরি ঝুলি
    আবার এনে ঝেড়ে’ দিলাম সোনার হাতে তুলি’!
    ছেলে নিয়ে মেয়ে নিয়ে কাজে কাজে এলা-
    সোনার শুকের সঙ্গে কথা দুপুর সন্ধ্যা বেলা,
    দুপুর সন্ধ্যা বেলা লক্ষ্মি! ঘুম যে আসে ভূলি’!
    ঘুম ঘুম ঘুম,
    -সুবাস কুম্ কুম্-
    ঘুমের রাজ্যে ছড়িয়ে দিও
    ঠাকুরমা’র

    ঝুলি।
    গাছের আগায় চিক্মিক্
    আমার খোকন্ হাসে ফিক্-ফিক্।
    নীলাম্বরীখান গায়ে দিয়ে, খোকার-মাসি এসেছে!
    নদীর জলে খোকার হাসি ঢেলে’ পড়েছে!
    আয় রে আমার কাজ্লা বুধি, আয় রে আমার হুমো,-
    গাছের আড়ে থামল রে চাঁদ, আমার, সোনার মুখে চুমো !
    ঘরে ঘরে রক্ষ্মীমণির পিদিম জ্বলছে,
    নাচ্বে খোকা, নিবে প্রসাদ খোকন্ আমার গঙ্গাপ্রসাদ-
    কোন্ স্বর্গের ছবি খোকন্ মর্ত্তে এনেছে?
    ও খোকন, খোকন্ রে।
    আর নেচো না, আর নেচো না নাচন ভেঙ্গে পড়েছে!-
    দেখ্‌সে’ আঙ্গিনায় তোর কে এসেছে!
    আঙ্গিনেয় এলো চাঁদের মা দেখ্‌সে’ খোকন্ দেখে যা,
    ঝুলির ভেতর চাঁদের নাচন্ ভরে’ এনেছে।
    ঝুলির মুখ খোলা,-খোকার হাসি তোলা-তোলা-
    ঠাকুরমা’র কোলটি জুড়ে কে রে বসেছে?

    টীকা