‘হাঁ-উ মাঁ-উ কাঁ-উ’ শুনি রাক্ষসেরি পুর
    না জানি সে কোন্ দেশে-না জানি কোন্ দূর!
    রূপ দেখতে তরাস লাগে, বলতে করে ভয়,
    কেমন করে’ রাক্ষসীরা মানুষ হয়ে রয়!
    চ-প্ চ-প্ চিবিয়ে খেলে আপন পেটের ছেলে,
    সোনার ডিম লোহার ডিম কৃষাণ কোথায় পেলে!
    কেমন করে’ ধ্বংস হল খোক্কসের পাল-
    কেমন করে উঠ্ল কেঁপে নেঙ্গা তরোয়াল!
    পায়ের নিচে কড়ির পাহাড় হাড়ের পাহাড় চুর-
    রাজপুত্র কে গিয়াছে পাশাবতীর পুর?
    হিল্ হিল্ হিল্ কাল্-নিশিতে-গর্জে কোথায় সাপ-
    সাজার পুরীর ধ্বংস কোথায় হাজার সিঁড়ির ধাপ!
    আকাশ পাতাল সাপের হাঁ কোথায় পাহাড় বন,
    থর্ থর্ থর্ গাছের ডালে বন্ধু দুজন!
    চরকা কোথায় ঘ্যাঁর্ঘ ঘ্যাঁর্ঘ-পেঁচোর কিবা রূপ,-
    মণির আলোয় কোন্ কন্যার অগাধ জলে ডুব’।
    “হী হী হী!” হরিণ-মাথা রাক্ষস আকার।
    আমের ভিতর রাজার ছেলে লুকিয়ে ছিল কে,
    রাজকন্যা, নিয়ে এল সাগর পারে গে’!
    কবে কোথায় রাক্ষসীর হাড় মুড্ মুড্ করে
    রাজার ছেলের রসাল কচি মুন্ডু খাবার তরে!-
    রাক্ষসের বংশ উজাড় রাজপুত্রের হাতে-
    লেখা ছিল সে সব কথা ‘রূপতরাসী’র পাতে!

    টীকা