কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
    কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
    কোথাও ভোরের বেলা র’য়ে গেছে – তবে।
    অগণন মানুষের মৃত্যু হ’লে – অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
    বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
    এ কোন সিন্ধুর সুর:
    মরণের – জীবনের?
    এ কি ভোর?
    অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
    একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে –
    সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে
    আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক’রে জেগে ওঠে?
    কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
    কোন দিকে সমুদ্রের সুর –
    দক্ষিণের দিকে,
    উত্তরের দিকে,
    পশ্চিমের পানে?
    সৃজনের ভয়াবহ মানে;
    তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে
    সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;
    ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রি করোজ্জ্বল
    ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ – তুমি?
    সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল
    সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
    বিলীন হয় না মায়ামৃগ – নিত্য দিকদর্শিন;
    যা জেনেছে – যা শেখেনি –
    সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব’লে
    জাগে না কি হে জীবন – হে সাগর –
    শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।
    (সাতটি তারার তিমির, ১৯৪৮)

    টীকা