কোথাও নতুন দিন রয়ে গেছে না কি।
    উঠে ব’সে সকলের সাথে কথা ব’লে
    সমিতির কোলাহলে মিশে
    তবুও হিসেব দিতে হয় এসে কোনো-এক স্থানে;
    –সেখানে উটের পিঠে সার্থবাহ দিগন্তরে মিলিয়ে গিয়েছে;
    সাইরেনের কথা স্থির;
    আর শেষ সাগরে জাহাজডুবি জীবনে মিটেছে;
    বন্দরের অধিকারীদের হাল, কৃচ্ছ্র, আলোড়ন,
    মানুষের মরণের ভয়ের ক্ষয়ের জন্যে মানুষের সর্বস্বসাধন
    হতে চায়– হয়তো বা হ’য়ে গেছে সার্বজনীন কল্যাণ।
    জানি এ রকম দিন আজো আসে নিকো।
    এ রকম যেগ ঢের–হয়তো বা আরো ঢের দূরের জিনিস।
    আজ, এই ভূমিতায় মুহূর্তের বিস্মৃতির, স্মৃতির ভিতরে
    সারাদিন সকলের সাথে ব্যবহৃত হয়ে চলি,
    জিতে হেরে লুকায়ে সন্ধান ভুলে; নিরুদ্দিষ্ট ভয়
    খামিরের মতো এসে আমাদের সবের হৃদয়
    অধিকার করে রাখে।
    চারিদিকে সরবরাহের সুর সারাদিন্মান
    কি চাহিদা কাদের মেটায়।
    মানুষের জন্যে মানুষের সব সম্ভ্রমের ভাষা, ভাঙাগড়া, ভালোবাসা
    এতদিন পরে এই অন্ধ পরিণতির মতন
    হয়ে গিয়ে তবুও কঠিন ক্রান্তি না কি?
    কোলাহলে ভিড়ে গেছে জনসাধারণ;
    জীবনের রক্তের বিনিময়ে ফাঁকি
    প্রাণ ভরে তুলে নিয়ে পরস্পরের দাবি হিংসা প্রেম ঊর্ণাকঙ্কালে মিলে গিয়ে
    তবুও যে যার নিজ অন্ধ কাঠামোর কাছে ঠেকে–অহরহ–
    সময়ের অনাবিষ্কৃত অন্তরীপ।
    মনে হয় কোনো-এক সমুদ্রের মাইলের মাইলের দূর দিগন্তর
    উদ্বেল, নিরপরাধভাবে
    জীবনের মতো নীল হয়ে, তবু–মৃত্যুর মতন প্রভাবে।
    অন্ধকার ঝড় থেকে অঙ্কে অগণন মেরুপাহাড়ের পাখি
    সে তার নিজের বুকে টেনে নিয়ে–
    অই পারে নব বসন্তের দেশে খুলে দিতে চেয়েছিলো না কি?
    সনাতন সত্যে অন্ধ হয়ে–তবু মিথ্যায় উজ্জ্বল হয়ে উঠে
    পাখিদের ডেকে নিয়ে ম্লান অম্লান উপকূলে হয়তো বা–আর একবার তবু ওড়াবার মতো;
    মরণ বা প্রলোভন উপচায়ে–জীবনের নির্দেশবশত।

    টীকা