হঠাৎ ফাল্গুনী হাওয়া ব্যাধিগ্রস্ত কলির সন্ধ্যায়ঃ
    নগরে নগররক্ষী পদাতিক পদধ্বনি শুনি; –
    দুরাগত স্বপ্নের কী দুর্দিন, – মহামারী,অন্তরে বিক্ষোভ –
    অবসন্ন বিলাসের সংকুচিত প্রাণ।
    ব্যক্তিত্বের গাত্রদাহ; রন্ধ্রহীন স্বধর্ম বিকাশ
    অতীতের ভগ্ননীড় এইবার সুপুষ্ট সন্ধ্যায়।
    বণিকের চোখে আজ কী দুরন্ত লোভ ঝ’রে পরে, –
    বৈশাখের ঝড়ে তারই অস্পষ্ট চেতনা।
    ক্ষয়িষ্ণু দিনেরা কাঁদে অনর্থক প্রসব ব্যথায়….
    নশ্বর পৌষের দিন চারিদিকে ধূর্তের সমতাঃ
    জটিল আবর্তে শুধু নৈমিত্তিক প্রাণের স্পন্দন।
    গলিত উদ্যম তাই বৈরাগ্যের ভান, –
    প্রকাশ্য ভিক্ষার ঝুলি কালক্রমে অত্যন্ত উদার;
    সংক্রামিত রক্ত-রোগ পৃথিবীর প্রতি ধমনীতে।
    শোকাচ্ছন্ন আমাদের সনাতন মন,
    পৃথিবীর সম্ভাবিত অকাল মৃত্যুতে,
    দুর্দিনের সমন্বয়, সম্মুখেতে অনন্ত প্রহর।
    বিজিগীষা? – সন্দিহান আগামী দিনেরাঃ
    দৃষ্টিপথ অন্ধকার, (লাল-সূর্য মুক্তির প্রতীক?
    -আজ তবে প্রতীক্ষায় আমাদের অরণ্যবাসর।)

    টীকা