মালঞ্চে পুষ্পিত লতা অবনতমুখী-
    নিদাঘের রৌদ্রতাপে একা সে ডাহুকী
    বিজন তরুর শাখে ডাকে ধীরে ধীরে
    বনচ্ছায়া অন্তরালে তরল তিমিরে!
    আকাশে মন’র মেঘ, নিরালা দুপুর!
    -নিস্তব্ধ পল্লীর পথে কুহকের সুর
    বাজিয়া উঠিছে আজ ক্ষনে ক্ষনে ক্ষণে!
    সে কোন পিপাসা কোন ব্যথা তার মনে!
    হারায়েছে প্রিয়ারে কি? অসীম আকাশে
    ঘুরেছে অনন্ত কাল মরীচিকা-আশে?
    বাঞ্ছিত দেয় নি দেখা নিমেষের তরে!-
    কবে কোন রুক্ষ কাল বৈশাখীর ঝড়ে
    ভেঙে গেছে নীড়, গেছে নিরুদ্দেশে ভাসি!
    -নিঝুম বনের তটে বিমনা উদাসী
    গেয়ে যায়; সুপ্ত পল্লীতটিনীর তীরে
    ডাহুকীর প্রতিধ্বনি-ব্যথা যায় ফিরে!
    পল্লবে নিস্তব্ধ পিক, নীরব পাপিয়া,
    গাহে একা নিদ্রাহারা বিরহিণী গান!
    আকাশে গোধূলি এল-দিক্‌ হল ম্লান,
    ফুরায় না তবু হায় হুতাশীর গান!
    সি-মিত পল্লীর তটে কাঁদে বারবার,
    কোন্‌ যেন সুনিভৃত রহস্যের দ্বার
    উন্মূক্ত হল না আর কোন্‌ সে গোপান
    নিল না হৃদয়ে তুলি তার নিবেদন!

    টীকা