তিনটি কঠিন কাজ
ব্রাদার্স গ্রিম দ্বারাএকটি ছিল গরিব মেয়ে। সুন্দরী কিন্তু তার মা মারা গিয়েছিল বলে সৎমা তার উপর বড় অত্যাচার করত। সৎমা তাকে কখনও হালকা কাজ দিত না; সব সময় এত কঠিন এত খাটুনিভরা কাজ দিত যে তার শক্তিতে কুলোতো না। বেচারি প্রাণপণে চেষ্টা করত যতটা পারে করতে, কিন্তু সেই দুষ্টু সৎমা কিছুতেই সন্তুষ্ট হত না। যত সে শ্ৰম করত ততই তার কাজের বহর বাড়ত, ততই কম সে কৃতজ্ঞতা পেত। সব সময় তার মনে হত যে মস্ত বড় একটা বোঝা সে বয়ে চলেছে, যার ফলে তার জীবনে দুঃখের ভার বেড়েই চলেছে।
একদিন তার সৎমা তাকে বলল— এই নাও ছ’সের হাঁসের পালক; এর মধ্যে থেকে বড়, মাঝারি, ছোট তিন আকারের পালক বেছে আলাদা করে রাখতে হবে। সন্ধের মধ্যে যদি কাজ শেষ না হয় এমন মার খাবে যা অনেক দিন মনে থাকবে।
সৎমা চলে যেতে বেচারি মেয়েটি টেবিলের ধারে এসে বসল কাঁদতে। সে জানতো এ কাজ সন্ধের মধ্যে শেষ করা অসম্ভব। তবু সে চেষ্টা করল, কিন্তু কয়েকটি পালক তুলে সাজিয়ে রেখেই যেই সে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেছে অমনি সব উড়ে গিয়ে একাকার। তখন আবার গোড়া থেকে কাজ শুরু করতে হয়।
শেষে আর না পেরে টেবিলে হাত গুটিয়ে বসে, হাতের উপর মাথা রেখে কাঁদতে আরম্ভ করল। বললে— এ পৃথিবীতে আমার দুঃখে মায়া করবার কি কেউ নেই?
বলতেই একটি মৃদু শব্দ কানে গেল। কে যেন বললে— দুঃখ কোরো না খুকি। আমি তোমায় সাহায্য করতে এলুম।
মেয়েটি মুখ তুলে দেখল তার সামনে এক বুড়ি দাঁড়িয়ে। বুড়ি মেয়েটির হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে বললে— বল খুকি কি তোমার কষ্ট।
বুড়ির গলার স্বরে মেয়েটি উৎসাহ পেল। সে তখন তার দুঃখী জীবনের সব কথা বলে গেল। নিষ্ঠুর সৎমা কেমন করে একটা কঠিন কাজ শেষ হতে না হতেই আরো কঠিন কাজ তার কাঁধে চাপিয়ে দেন।
—আজ সন্ধের মধ্যে এই এত পালক সব রেছে ছোট বড় মাঝারিতে সাজিয়ে রাখতে যদি না পারি তাহলে সৎমা আমায় এমন মার মারবে তা আমিই জানি।
কথা বলতে বলতে মেয়েটির চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল। বুড়ি বললে— শান্ত হও খুকি, একটু ঘুমোও গিয়ে। তোমার কাজ আমি শেষ করে দেব।
বলে মেয়েটিকে বিছানায় শুইয়ে দিল। মেয়েটিও দুঃখ কষ্টের ক্লান্তিতে তখনই ঘুমিয়ে পড়ল।
বুড়ি তখন টেবিলের ধারে গিয়ে পালক নিয়ে বসল। বুড়ির শুকনো হাতের স্পর্শে পালকগুলি উড়ে গিয়ে আপনা-আপনি বাছা হয়ে যেতে লাগল। দেখতে দেখতে ছ’সের পালক বাছা হয়ে গেল। মেয়েটির ঘুম ভাঙলে সে দেখতে পেলে বরফের স্তূপের মতো তিনটি স্তূপ টেবিলের উপর সাজানো। ঘরের আসবাবপত্র গোছগাছ করা। বুড়ি নেই।
মেয়েটির হৃদয় কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠল। কাজ হয়ে গেছে— আর কি করতে পারে? মেয়েটি চুপটি করে ঘরে বসে রইল সন্ধেবেলায় যতক্ষণ না তার সৎমা আসে।
পালকের কাজ শেষে হয়ে গেছে দেখে সৎমা তো অবাক। যাবার সময় সে বলে গেল, এ মেয়ে দেখছি অনেক কিছু পারে। দাঁড়াও একে আরো শক্ত কাজ দিতে হচ্ছে।
পরদিন সকালে সৎমা তাকে ডেকে বলল— এই নাও একটা বড় চামচ। এই নিয়ে বাগানের ধারে যে পুকুরটা আছে তার কাছে যাও। চামচ দিয়ে পুকুরের সব জল তুলে ফেলতে হবে। সন্ধের মধ্যে যদি কাজ শেষ করতে না পারো তাহলে তোমার কপালে কি আছে তা তুমিই জানো।
মেয়েটি চামচ তুলে নিয়ে দেখল ফুটোয় ভরা। ফুটো যদি নাও থাকত তাহলেও চামচে করে পুকুর সেঁচে ফেলা একেবারে অসম্ভব।
তবু সে চেষ্টা করল। জলের ধারে হাঁটু গেড়ে বসে, পুকুরের জলের মধ্যে নিজের চোখের জল ফেলতে ফেলতে চামচ দিয়ে জল তুলতে লাগল। সেদিনও সেই লক্ষ্মী বুড়ি দেখা দিলেন। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করে বললেন— চিন্তা কোরো না মা, ঐ ঝোপের ধারে গিয়ে একটু জিরোও। আমি তোমার কাজটা সেরে ফেলি।
মেয়েটি চলে যেতে বুড়ি তার হাত দিয়ে জলটাকে শুধু একবার ছুঁলো। সঙ্গে সঙ্গে জল কুয়াসার মতো বাতাসে উঠতে লাগল। তারপর মেঘের সঙ্গে মিশে গেল। দেখতে দেখতে পুকুর খালি হয়ে গেল। সূর্য ডোবার সময় মেয়েটি যখন ঘুম থেকে জেগে উঠল সে দেখলে যে জল আর নেই। পুকুরের তলায় কাদার মধ্যে মাছ কিলবিল করছে। সে দৌড়ে গিয়ে সৎমাকে বলে এল যে কাজ শেষ হয়ে গেছে।
সৎমা বলল— আরো অনেক আগেই তো কাজ শেষ করা উচিত ছিল।
এদিকে সৎমার যা রাগ! ভাবতে লাগল আরো কি কঠিন কাজ মেয়েটাকে দেওয়া যায়।
পরদিন সকালে সে মেয়েকে ডেকে বলল— আজকে তুমি এখান থেকে নেমে নিচের উপত্যকায় যাও। সেখানে গিয়ে আমার জন্যে চমৎকার একটি প্রাসাদ বানিয়ে ফেল। সন্ধের আগেই শেষ হওয়া চাই।
বেচারি মেয়েটি ভয়ে আঁতকে উঠে বলল— সর্বনাশ! এত বড় কাজ একলা আমি করব কি করে?
সৎমা সরু গলায় চিৎকার করে উঠল, কোনো কথা শুনতে চাই না। ফুটো চামচ দিয়ে তুই যদি পুকুর সেঁচে ফেলতে পারিস তাহলে আমার জন্যে প্রাসাদও তৈরি করতে পারবি। আজই চাই, আর যদি দেখি কোনো কিছু বাদ পড়েছে— রান্না ঘর কি মাটির তলার ঘর— তাহলে তোর একদিন কি আমারই একদিন!
কথা বলতে বলতে সে মেয়েটিকে তাড়িয়ে নিয়ে চলল। তারপর উপত্যকা দেখিয়ে দিয়ে বলল— যা নেমে।
মেয়েটি উপত্যকায় পৌঁছে দেখে বড় বড় পাথরের চাংড়া চারিদিকে। এত ভারি যে তোলাই যায় না। সব চেয়ে ছোট যেটা সেটাকে সে ঠেলে দেখল— নড়ানোই যায় না।
তখন বসে পড়ে সে কাঁদতে শুরু করলে। ভাবলে বুড়ি কি আজ আসবেন না?
একটু পরেই বুড়ি এসে হাজির।
বুড়ি বলল— যাও ঐ ছায়ায় গিয়ে একটু ঘুমোও গে। আমি ততক্ষণ প্রাসাদ তৈরি করি। আর যদি কখনো তোমার সুখের দিন আসে, তুমিই প্রাসাদে থাকবে।
যেই না মেয়েটি শুতে চলে গেল অমনি বুড়ি পাথর ছুঁয়ে দিল। দিতেই তারা নড়তে আরম্ভ করল। তার পর টলতে টলতে উঠে দাঁড়াল বড় বড় সব পাথরের চাংড়া। মনে হল যেন ক’টা অদৃশ্য দৈত্য মিলে প্রাসাদের পাঁচিল তৈরি করছে। তারপর সেই পাঁচিলের ঘেরের মধ্যে প্রাসাদ উঠতে লাগল— মনে হল যেন হাজারে হাজারে অদৃশ্য হাত পাথরের উপর পাথর বসিয়ে কাজ করে চলেছে। মাটি কাঁপতে লাগল, বড় বড় ঘর তৈরি হয়ে চলল, ছাদে টালির সারি পড়তে লাগল একটার পাশে একটা। শেষে দুপুর হবার আগেই প্রাসাদের বুরুজে সোনালি এক হাওয়া-মোরগ অধিষ্ঠান করলেন।
তারপর কাজ শুরু হলো প্রাসাদের ঘরের ভিতরে। রেশম আর মখমলে মোড়া হয়ে গেল দেয়াল। চৌকি আরাম কেদারা শ্বেত পাথরের টেবিল আর অন্যান্য আসবাবে ভরে উঠল ঘর। কড়িকাঠ থেকে ঝুলতে লাগল কাঁচের বড় বড় ঝাড়। সোনার খাঁচায় সবুজ চন্দনা দোল খেতে লাগল। ঘরে ঘরে কত বিদেশি পাখি এসে শিষ দিতে লাগল। সব নিয়ে মনে হতে লাগল যেন কোথাকার রাজা এই প্রাসাদ বানিয়েছেন।
সূর্য ডোবার পর মেয়েটি হাজার বাতির আলোয় ঘুম ভেঙে জেগে উঠল। দৌড়ে গিয়ে দেখল প্রাসাদের দরজা খোলা। তখন সে সিঁড়ি দিয়ে উঠে প্রধান হল্-এ গিয়ে পৌঁছল। লাল কাপড়ে মোড়া হল, সোনার পাতে মোড়া বারান্দা। সেখানে কত ফুল ফুটেছে। সব নিয়ে এত চমৎকার এমনই অপূর্ব যে মেয়েটি সেখানে চিত্রার্পিতের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল।
সেই ভাবে সে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকত তার ঠিক নেই কিন্তু হঠাৎ তার মনে পড়ল যে সৎমা এখুনি এসে পড়বে। সে তখন নিজেই দৌড়ল সৎমাকে খবর দিতে যে প্রাসাদ তৈরি।
সৎমা বলল— নিজে গিয়ে আমি দেখে আসতে চাই। বলে উঠে মেয়েটির পিছনে পিছনে চললো। প্রাসাদের কাছে পৌঁছে তার আলো দেখে সৎমার চোখে ধাঁধা লেগে গেল। কোনো ভাব প্রকাশ না করে সৎমা শুধু বললে— দেখছ তো তোমার পক্ষে এ কাজটা কত হালকা। এবারে আরো অনেক কঠিন কাজ তোমায় দিতে হবে।
বলে সে প্রত্যেক ঘরে ঢুকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল, কোনো দোষ কোনো ত্রুটি পায় কি না। কিন্তু নাঃ, সবই নির্দোষ। তখন তার সৎমেয়ের দিকে কটমট করে তাকিয়ে সে বললে— নীচে গিয়ে দেখব সব ঠিক হয়েছে কি না। রান্না ঘর দেখা দরকার আর মাটির নিচের ঘরও দেখা দরকার। যদি দেখি কিছু ভুল আছে তাহলে কঠিন শাস্তি দেব। রান্না ঘরে দেখা গেল উনুনে আঁচ, হাঁড়িতে রান্না টগবগ করে ফুটছে, ঝাঁকা, বুরুশ, জ্বালানি কাঠ, আগুন খোঁচাবার লোহা সব যেখানে থাকবার কথা সেইখানে সাজানো। দেয়াল-আলমারি আর তার তাকে তাকে পিতলের, তামার, কাঁচের ও চিনেমাটির বাসনে ঠাসা। বাতির আলোয় সব ঝকঝক করছে। কোনো জিনিসের অভাব নেই। কয়লার গামলা জল-তোলা বালতি সব তৈরি।
সৎমা চেঁচিয়ে বললে— মাটির নিচের ঘরে নামবার সিঁড়িটা কই? আমি নিজে গিয়ে দেখতে চাই সে ঘরে পিপে ভরা ভালো ভালো মদ আছে কি না। যদি না থাকে তো দেখাবো মজা।
বলে সৎমা করল কি নিচের ঘরে নামবার বাক্সের ঢাকার মতো যে ঢাকনি-দরজাটা সেটাকে টেনে তুলল। তুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেল। দু-পা নেমেছে, সেই সময় ঢাকনি দরজাটা সে ভাল করে লাগায়নি, সেটা আলগা পেয়ে দড়াম করে এসে পড়ল তার মাথার উপরে। মেয়েটি উপর থেকে শুধু একটা তীক্ষ্ণ চিৎকার শুনতে পেল। সে তাড়াতাড়ি ঢাকনি দরজা খুলে তার সৎমাকে সাহায্য করতে গিয়ে দেখল সৎমা সিঁড়ির তলায় মরে পড়ে রয়েছে।
এই ঘটনার পর মেয়েটিই হল সেই সুন্দর প্রাসাদের অধিকারিণী। প্রথমে তো বুঝতেই পারল না কত বড় সম্পত্তি তার হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই চাকর-চাকরানীরা তার হুকুম তামিল করবার জন্যে এগিয়ে এল। তারা আলমারি দেরাজ টেনে টেনে মেয়েটির ব্যবহারের জন্যে সুন্দর সুন্দর পোশাক বার করল। একটি বড় সিন্দুক ভরা ছিল সোনা আর রুপো, মুক্তো আর জহরৎ।
মেয়েটির কোনো আকাঙক্ষাই আর অতৃপ্ত রইল না।
দেখতে দেখতে মেয়েটির রূপের যশ ঐশ্বর্যের খ্যাতি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল। অনেকেই মেয়েটিকে বিয়ে করবার জন্যে এগিয়ে এল। কিন্তু মেয়েটি কারুর দিকে ফিরে তাকাল না। অবশেষে এক মস্ত রাজার ছেলে তার সঙ্গে দেখা করতে এল। তাকেই তার প্রথম ভালো লাগল।
একদিন তারা দুজনে প্রাসাদ-উদ্যানে লিন্ডেন্ গাছের তলায় বসে যখন গল্প করছে, রাজপুত্র গভীর দুঃখে বললেন— প্রাণের পুতুল, কয়েকদিনের জন্যে তোমায় ছেড়ে এবার আমাকে যেতে হবে বাবার কাছে অনুমতি আনতে আমাদের বিবাহের জন্যে। বেশিদিন আমি থাকব না।
মেয়েটি বললে— যাবে যাও, তবে আমার কথা ভুলো না।
দেশে পৌঁছে রাজপুত্র দেখলেন তাঁর পিতা বিরুদ্ধভাব ধারণ করেছেন। তিনি চান না যে রাজপুত্র ঐ মেয়েকে বিয়ে করে। তার বদলে রাজা নানা দিক থেকে বহু সুন্দরী মেয়েকে তাঁর সভায় ডেকে পাঠিয়েছেন; তাদের মধ্যে পড়ে রাজপুত্র তাঁর বাগদত্তাকে ভুলে গেলেন। সেই মেয়ের আশ্চর্য প্রাসাদের কথাও ভুলে গেলেন।
একদিন রাজপুত্র যখন তাঁর ঘোড়ায় চড়ে শিকারে বেরিয়েছেন, এক বুড়ি এসে তাঁর সামনে দাঁড়ালো। বললে— ভিক্ষে দিন। রাজপুত্র ঘোড়া রুখে তাকে ভিক্ষে দিতে যাবেন, বুড়ি খাটো গলায় বললে— লিন্ডেন গাছের তলায় বসে এখনও সে কাঁদে। তুমি কি তাকে ভুলে গেছ?
হঠাৎ রাজপুত্রের চোখের সামনে থেকে যেন একটা পর্দা সরে গেল। তিনি ঘোড়ার মুখ ফিরিয়ে সেই পরীর গড়া প্রাসাদের দিকে টগবগিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে দিলেন। সেখানে পৌঁছে দেখলেন সব অন্ধকার শোকাচ্ছন্ন। লিন্ডেন গাছের কাছে গিয়ে দেখলেন গাছতলায় তাঁর পরিত্যক্তা বধূ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। ঘোড়া থেকে তাড়াতাড়ি নেমে তিনি এগিয়ে গিয়ে বললেন— আমায় ক্ষমা কর। আমি ফিরে এসেছি। আর কোনদিন তোমার ছেড়ে যাবো না।
রাজপুত্রের মুখ থেকে এই কথাগুলি বেরতে না বেরতেই প্রাসাদের জানলায় জানলায় উজ্জ্বল আলো ফুটে উঠল। তাদের চারিপাশে ঘাসের উপর অসংখ্য জোনাকি জ্বলে উঠল। সিঁড়ির উপর ফুটে উঠল ফুল। ঘরের মধ্যে থেকে পাখিদের আনন্দ স্বর ভেসে এল।
রাজপুত্র মেয়েটির হাত ধরে তাকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। বড় হল্-এ প্রাসাদের যত লোকজন সবাই জড় হয়েছেন। পুরোহিত দাঁড়িয়ে আছেন তৈরি হয়ে তাদের বিয়ে দিয়ে দেবার জন্যে। রাজপুত্র তাঁর বধূকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন। সৎমার কাছ থেকে এতদিন ধরে অত্যাচার পেয়ে এসেছিল বেচারি, তার দুঃখের দিনের অবসান হল—রাজপুত্রের বৌ হল। প্রাসাদের লোকজনেরা সবাই খুশিতে উপচে পড়ল।