আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
    এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি নাঃ
    তবু জেনো
    মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ–
    বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;
    আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি।

    মনে আছে সেদিন হুলস্থূল বেধেছিল?
    ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন–
    আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায়!
    কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে,
    কত প্রাসাদকে করেছি ধূলিসাৎ
    আমি একাই- ছোট্ট একটা দেশলাই কাঠি।

    এমনি বহু নগর, বহু রাজ্যকে দিতে পারি ছারখার করে
    তবুও অবজ্ঞা করবে আমাদের?
    মনে নেই? এই সেদিন–
    আমরা সবাই জ্বলে উঠেছিলাম একই বাক্সে;
    চমকে উঠেছিলে–
    আমরা শুনেছিলাম তোমাদের বিবর্ণ মুখের আর্তনাদ।

    আমাদের কী অসীম শক্তি
    তা তো অনুভব করেছ বারংবার;
    তবু কেন বোঝো না,
    আমরা বন্দী থাকবো না তোমাদের পকেটে পকেটে,
    আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
    শহরে, গঞ্জে , গ্রামে–দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
    আমরা বার বার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়–
    তা তো তোমরা জানোই!
    কিন্তু তোমরা তো জানো না:
    কবে আমরা জ্বলে উঠব–
    সবাই শেষবারের মতো!

    টীকা