আছে
    এখন চৈত্রের দিন নিভে আসে—আরো নিভে আসে;
    এখানে মাঠের পরে শুয়ে আছি ঘাসে;
    এসে শেষ হয়ে যায় মানুষের ইচ্ছা কাজ পৃথিবীর পথে,
    দু-চারটে–বড়ো জোর একশো শরতে;
    উর ময় চীন ভারতের গল্প বহিঃপৃথিবীর শর্তে হয়ে গেছে শেষ;
    জীবনের রূপ আর রক্তের নির্দেশ
    পৃথিবীর কাম আর বিচ্ছেদের ভূমা—মনে হয়—এক তিলের সমান;
    কিন্তু এই চেয়ে থাকা, স্থিতি, রাত্রি, শান্তি—অফুরান।
    চারি দিকে বড়ো বড়ো আকাশ ও গাছের শরীরে
    সময় এসেছে তার নীড়ে।
    ভালো লাগে পৃথিবীর রূঢ় নষ্ট সভ্যতার দিনের ব্যত্যয়;
    অন্ধকার সনাতনে মিশে যাওয়া—কিন্তু মরণের ঘুম নয়;
    জেগে থাকা : নক্ষত্রের বাগীশ্বরী দ্যোতনার থেকে কিছু দূরে;
    পৃথিবীর অবলুপ্ত জ্ঞানী বন্ধুরে
    এই স্তব্ধ মাটিতেই মিশে যেতে হল জেনে তবু চোখ রেখে নীলাকাশে
    শুয়ে থাকা পৃথিবীর মাধুরীর অন্ধকার ঘাসে।
    কবিতা। আশ্বিন ১৩৫৯

    টীকা