Chapter Index

    কয়েকটা মুহূর্ত ঘরের মধ্যে। অতঃপর অদ্ভুত একটা স্তব্ধতা যেন থমথম করে, কারও মুখে কোন কথা নেই।

    স্তব্ধতা ভঙ্গ করে আবার কিরীটীই।

    এখানে আসবার আগে-কিরীটী আবার প্রশ্ন করে, আপনার ভাই কোথায় ছিল?

    কলকাতায়। ক্ষীণকণ্ঠে জবাব দেয় মিসেস রেণুকা বিশ্বাস।

    কি করত সেখানে?

    কোন একটা মিলে কি যেন সামান্য একটা চাকরি করত।

    কি চাকরি করত?

    বলতে পারি না।

    জানেন না বলতে চান?

    না,
    জানি না।

    হুঁ।
    রামানুজ লেখাপড়া কতদূর করেছে?

    সামান্যই।

    মিঃ বিশ্বাস, সাধন সরকারকে একবার ডাকুন তো?

    হরডন বিশ্বাস তখনই গিয়ে সাধন সরকারকে ডেকে নিয়ে এল।

    বসুন সাধনবাবু—

    সাধন সরকার চেয়ারটায় বসে।

    আপনি এখনও শোনেননি বোধ হয় যে আপনার কাকা কালী সরকার—

    উনি আমার কাকা নন-জ্যাঠামণি। সাধন বলে।

    ও। তা শোনেননি বোধ হয় যে আপনার জ্যাঠামণিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে!

    চমকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে সাধন সরকর বলে, সে কি! তবে যে মিসেস বিশ্বাস
    বলছিলেন জ্যাঠামণি সমুদ্রে সুইসাইড করেছেন।

    না, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নিহুর পৈশাচিক ভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে
    শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়, তারপর তাঁর দেহটা সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই
    প্রমাণ করবার জন্য যে, তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।

    সাধন সরকার একেবার বোবা। বিমূঢ়। বিহ্বল। পাথর।

    সাধনবাবু! একটু পরে কিরীটী আবার ডাকল সাধন সরকারকে।

    সাধন সরকার মুখ তুলে তাকাল কিরীটীর মুখের দিকে।

    রামানুজ দাশকে আপনি চেনেন?

    হ্যাঁ।

    কতদিন চেনেন?

    অনেক দিন। আমাদের কলকাতার বাসায় জ্যাঠামণির কাছে তো প্রায়ই
    আসা-যাওয়া করত।

    প্রায়ই কেন আসা-যাওয়া করত? জানেন কিছু?

    না, তা বলতে ঠিক পারব না। তবে জ্যাঠামণিকে মধ্যে মধ্যে রামানুজকে
    টাকা দিতে দেখেছি।

    আর উনি-মিসেস বিশ্বাস? উনি যেতেন না? যেতেন। প্রায়ই?

    না, তবে যেতেন। দু-একবার বোধ হয় যেতে দেখেছি।

    শেষ কবে ওঁকে দেখেন আপনার জ্যাঠামণির কাছে যেতে?

    মাস পাঁচেক আগে বোধ হয় শেষবার ওঁকে দেখেছি।

    সে-সময় রামানুজ সঙ্গে ছিল ওর?

    না তো।

    লতিকা গুঁই নামে কোন মহিলাকে আপনি চেনেন? চিনি।

    তাঁকেও কি আপনি আপনার জ্যাঠামণির কাছে যেতে দেখেছেন?

    হাঁ।

    কোথায়?

    আমাদের জুয়েলারীর দোকানে দোতলায় জ্যাঠামণির বিশ্রামের দুটো ঘর
    ছিল, সেইখানে প্রায় ছুটির দিনেই দুপুরে তিনি আসতেন।

    আপনার জ্যাঠামণির কোন উইল আছে জানেন?

    উইল?

    হ্যাঁ।

    ঠিক বলতে পারব না। আমাদের সলিসিটার গিরীন সিংহ বলতে পারবেন। হি ইয়ুজড়
    টু ডিল উইথ হিস অল ম্যাটার্স।

    হুঁ, ঠিক আছে। মিঃ বিশ্বাস, আপনার শ্যালক এলে অতি অবিশ্যি থানায়
    মহান্তি সাহেবের কাছে একবার পাঠিয়ে দেবেন।

    কথাটা বলে কিরীটী যেন কিছুক্ষণ কি ভাবে, তারপর সহসা উঠে দাঁড়ায়।

    মহান্তির দিকে তাকিয়ে বলে, চলুন মিঃ মহান্তি।

    যাবেন?

    হ্যাঁ, আমার যা জানবার জানা হয়ে গিয়েছে। যাবেন? চলুন যাওয়া যাক।

    কথাটা বলে আমাকে চোখের ইঙ্গিত করে বের হয়ে যায় সোজা ঘর থেকে। আমি
    ওকে অনুসরণ করি।

    থানাতেই এলাম আমরা।

    সারাটা পথ কিরীটী একটা কথাও বলেনি। অসম্ভব গম্ভীর।

    বুঝতে পারি ভিতরে ভিতরে কিরীটী অত্যন্ত উত্তেজিত। তা সে যে কারণেই
    হোক।

    থানায় পৌঁছে চেয়ারে বসে কিরীটী বললে, চা বলুন মিঃ মহতি।

    নিশ্চয়–

    মহাতি হতদন্ত হয়ে উঠে গেল।

    চা-পানের পর একটা চুরুট ধরিয়ে ধীরে ধীরে ধূমপান করতে করতে কিরীটী
    বলে, আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সেরাত্রে কি ভাবে কালী সরকারকে হত্যা করা হয়েছিল।

    না-ঠিক—

    এখনও বুঝতে পারেননি? সুব্রত?

    পেরেছি কিছুটা। হত্যাকারী প্রস্তুত হয়েই কাজে নেমেছিল।

    সত্যিই তাই।

    কিরীটী বলে, প্রথমে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ দিয়ে হত্যাকারী কালী
    সরকারকে ঘুম পাড়ায়। তারপর সময় বুঝে ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে কালী সরকারের ঘরে
    প্রবেশ করে। একটা কর্ড বা সিল্কের মজবুত রিবনের মত কিছুর সাহায্যে স্যাঙ্গল করে তাকে
    ঘুমের মধ্যেই শ্বাস-বন্ধ করে হত্যা করে। তারপর হত্যাকারী নিঃশব্দে ঘর থেকে ডেড
    বডিটা কাঁধে করে ঐ রাস্তা দিয়েই হোটেল থেকে বের হয়ে এসে সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেয়।

    ইট ওয়াজ ডেড অফ নাইট! মধ্যরাত্রি। কেউ কোথাও জেগে নেই। এবং এ থেকে
    হত্যাকারী সম্পর্কে আমরা কিছু guess করতে পারি–

    কি? মহান্তিই প্রশ্ন করে।

    প্রথমতঃ, কিরীটী বলতে থাকে, হত্যাকারী strong nerve-এর লোক;
    দ্বিতীয়তঃ, গায়ে শক্তিও যথেষ্ট ছিল তার–

    রজনী বাধা দেয় মহান্তি ঐ সময়, বলে, হত্যাকারী নিশ্চয়ই পুরুষ?

     পুরুষ কি নারী সেটা
    immaterial, কারণ—

    কি?

    কারণ এমনও হতে পারে, হত্যার পরিকল্পনা বা brainছিল একজনের এবং
    instrument ছিল অন্য একজন। তেমনি আবার একই ব্যক্তির brain-এ হয়ত বা কাজ হতে পারে।
    তবে এটা ঠিক, হত্যাকারী যেই হোক, দুটো মারাত্মক ভুল সে করেছিল।

    ভুল!

    হ্যাঁ।

    কি ভুল করেছিল?

    প্রথমতঃ ব্যাপারটা সুইসাইড প্রমাণ করার জন্য যেভাবে কালী সরকারকে
    হত্যা করেছিল, ঠিক সেই ভাবেই মৃতদেহটা জলে ভাসিয়ে দিয়ে। এবং দ্বিতীয়তঃ, ছদ্মবেশ
    ধরে–

    কি—কি বললেন মিঃ রায়?

    হ্যাঁ, মিঃ মহান্তি। একবার নয়, আমার অনুমান যদি মিথ্যা না হয় তো
    দু-দুবার সে ছদ্মবেশ ধরেছে ঐ রাত্রে এবং সেই ছদ্মবেশেই দুজনার সঙ্গে দেখা করেছে।
    কিন্তু কথা হচ্ছে, একজনের অন্ততঃ তার ছদ্মবেশের আড়ালে সত্য পরিচয়টা জানা উচিত ছিল।
    কিন্তু তার চাইতেও যেটা বেশী আমার কাছে পাজলিং মনে হচ্ছে এখনও-কেন-কেন হত্যাকারী
    তাকে হত্যা করল? হোয়াট ওয়াজ দি মোটিভ বিহাইও? কি উদ্দেশ্য ছিল? সেইটা—সেইটা জানতে
    পারলে–

    তাহলে আপনি হত্যাকারী কে তা ধরতে পেরেছেন মিঃ রায়! উত্তেজনায় যেন
    মহান্তির গলা বুঁজে আসে।

    পেরেছি বৈকি। শান্তকণ্ঠে কিরীটী বলে।

    কে-কে? মহান্তি যেন উত্তেজনায় ফেটে পড়ে।

    চোখ মেলে দেখবার চেষ্টা করুন। দুরেরও নয়। খুব ঝাপসা—অস্পষ্টও নয়
    সে। কাছের মানুষ–

    কিন্তু কিরীটীর কথা শেষ হল না—বাইরে একটা গোলমাল শোনা গেল।
    তীক্ষ্ণ নারীকণ্ঠঃ ডোন্ট টাচ মি, আমি—আমি নিজেই যাচ্ছি। দরজার দিকে আমরা তিনজনে
    তাকালাম।

    একজন প্লেন ড্রেস অফিসার ও দুজন কনস্টেবল সমভিব্যাহারে লতিকা গুঁই
    এসে ঘরে প্রবেশ করল।

    রুক্ষ মাথার চুল। সমস্ত চেহারা, পোশাক যেন এলোমেলো।

    ঘরে ঢুকেই লতিকা গুঁই বলে, আমি জানতে চাই হোয়াট অল দিস? এসবের
    মানে কি? কেন ওরা আমাকে খুরদা রোড় জংশন থেকে ধরে নিয়ে এল? হোয়াই?

    বসুন লতিকা দেবী—কিরীটী বলে, আপনি মিথ্যে চটছেন। ওদের কোন দোষ
    নেই। দারোগা সাহেবের আদেশমতই ওরা–

    শাট আপ! গর্জে ওঠে লতিকা, আদেশ! কিসের আদেশ? আমি কি চোরছ্যাঁচোড়
    না খুনী যে আমাকে এমনি করে বেঁধে নিয়ে এল ওরা?

    আপনি মিথ্যে উত্তেজিত হচ্ছেন। ব্যাপারটা আপনি বোঝবার চেষ্টা করুন
    লতিকা দেবী। মহান্তি বলে।

    কি বুঝব, শুনি? বোঝবার এর মধ্যে আছেটা কি? বলুন, কেন আমাকে ধরে
    এনেছেন?

    আপনাকে বলা সত্ত্বেও হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে
    গেলেন কেন আপনি?

    বেশ করেছি গিয়েছি। একশবার যাব।

    বেশ, যাবেন। আপনাকে আমরা আটকাব না যদি আমাদের কতকগুলো প্রশ্নের
    ঠিক ঠিক জবাব দেন। কিরীটী এবারে বলে।

    তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিরীটীর মুখের দিকে তাকিয়ে লতিকা বলে, আপনি কি
    মনে করেছেন আমি কালী সরকারকে হত্যা করেছি?

    কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে লতিকার গলার স্বরটা কেমন যেন ভার-ভার হয়ে
    ওঠে।

    কিরীটী বলে, না।

    তবে? তবে এসবের মানে কি?

    বললাম তো, সেদিন ভাল করে আপনি আমাদের সঙ্গে কথাই বললেন না, তাহলে
    এ গোলমালটা হত না।

    কি জানতে চান আপনারা?

    ঠিক জবাব দেবেন তো?

    ডোন্ট ওয়েস্ট টাইম! বলুন কি জানতে চান?

    সেরাত্রে কখন আপনি হোটেল ছেড়ে চলে যান?

    রাত একটার পর পিছনের দরজা দিয়ে।

    হঠাৎ কাউকে না বলে চলে গেলেন কেন?

    যাব না তো কি করব-কালীর মত মরে জলে ভাসব!

    কি—কি বললেন? কিরীটী চমকে ওঠে যেন।

    হ্যাঁ, হ্যাঁ–ঠিক বলেছি। না গেলে এতক্ষণে আমাকেও মরে সমুদ্রের জলে
    ভাসতে হত।

    তাহলে আপনি বলতে চান, দেন সামওয়ান থ্রেটেও ইউ? ভয় দেখিয়েছিল কেউ
    আপনাকে?

    লতিকা চুপ।

    কি-বলুন? চুপ করে রইলেন কেন?

    লতিকা তথাপি চুপ।

    লতিকা দেবী।

    আঃ, আমি কিছু জানি না—জিজ্ঞাসা করবেন না।

    বেশ।

    কিরীটী আবার কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। এবং চুপ করে থাকার পর আবার
    শুরু করে, লতিকা দেবী, রামানুজকে জানেন?

    কে?

    রামানুজ দাশ-রেণুকা বিশ্বাসের ভাই!

    রেণুর ভাই?

    হ্যাঁ।

    আমি তো জানি না, রেণুর কোন ভাই কোনদিন ছিল বলে! কখনও শুনিওনি!

    কিরীটীর কণ্ঠস্বরে যেন একটা সুস্পষ্ট উত্তেজনার ইঙ্গিত পাই।

    কিরীটী যেন সোজা হয়ে বসে।

    তীক্ষ্ণ কণ্ঠে প্রশ্ন করে অতঃপর, আর ইউ সিয়োর? আপনি যা বলছেন ঠিক বলছেন?

    মিথ্যা বলব কেন?

    কিরীটী আবার কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। কি যেন ভাবতে লাগল।

    লতিকা দেবী, আপনার তো কালী সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়। ডোন্ট
    টক অ্যাবাউট হিম এনি মোর! তিক্ত ঘৃণা যেন লতিকার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ে, ঐ নোংরা লোকটা
    সম্পর্কে কোন আলোচনাই আর আমি করতে চাই না। এখন বুঝতে পারছি, এই ওর প্রাপ্য ছিল। হি
    হ্যাজ বিন রাইটলি সার্ভড! যে ওকে গলা টিপে মেরেছে সে খুব ভাল কাজ করেছে।

    এ আপনি কি বলছেন লতিকা দেবী! মহান্তি বিস্ময়ের সঙ্গে বলে।

    ঠিকই বলছি। আমি আগে যদি ঘুণাক্ষরেও জানতাম ঐ মেয়েমানুষটা এখানে
    এসে হোটেল খুলেছে, আর সেই হোটেলে ও এসে উঠেছে, এখানে আমি কি পা দিতাম? কখনও দিতাম না।
    কিন্তু কেন—কেন আপনারা আমাকে এখানে জোর করে ধরে নিয়ে এসে এভাবে যন্ত্রণা দিচ্ছেন
    বলুন তো? কি করেছি আমি আপনাদের—কি করেছি!

    লতিকা গুঁই শেষ পর্যন্ত যেন ভেঙে গুড়িয়ে গেল। কান্নায় একেবারে
    ভেঙে পড়ল।

    কিরীটী যেন অত্যন্ত ব্ৰিত বোধ করে, বলে, I am really
    sorry-অত্যন্ত দুঃখিত আপনাকে এভাবে cross করবার জন্য, কিন্তু জানবেন একান্ত
    অনন্যোপায় হয়েই আপনাকে বিরক্ত করছি।

    মাথা নীচু করে বসে থাকে লতিকা গুঁই। এবং বুঝতে পারি, প্রাণপণে
    উদগত অশ্রুকে দমন করবার চেষ্টা করছে।

    লতিকা দেবী, আর দুটি প্রশ্ন আমার আছে—

    বলুন? ধীরে ধীরে আবার মাথা তুলল লতিকা গুঁই।

    সত্যি সত্যিই কি আপনি সেদিন ট্রাঙ্ক কলে কালী সরকারের সঙ্গে কথা
    বলেছিলেন?

    লতিকা গুঁই একেবারে চুপ। যেন পাথর।

    কি, চুপ করে রইলেন কেন, বলুন?

    আমি—

    আপনাদের পরস্পরের মধ্যে সেদিন অন্ততঃ ট্রাঙ্ক কলে কোন কথাই হয়নি
    আমি জানতে পেরেছি।

    লতিকা পূর্ববৎ চুপ।

    আর একটা প্রশ্ন—আপনি যে পুরীতে আসছেন কালী সরকার কি জানত?

    এবারেও কোন সাড়া নেই শব্দ নেই লতিকার দিক থেকে।

    কিরীটী অতঃপর কিছুক্ষণ লতিকার দিকে চেয়ে থেকে শান্ত কণ্ঠে বলে,
    আপনাকে আর আমরা ধরে রাখব না। আপনি যেতে পারেন। তবে অনুগ্রহ করে যদি অন্ততঃ আজকের
    রাতটা যে হোটেলে আপনি ছিলেন সেই হোটেলে থাকেন-কাল যেখানে আপনি যেতে চাইবেন, আমাদের
    লোক গিয়ে আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসবে।

    জলে ভেজা দৃষ্টি তুলে তাকাল লতিকা গুঁই কিরীটীর মুখের দিকে,
    কিন্তু–

    ভয় নেই আপনার, কেউ আপনার গায়ে যাতে এতটুকু আঁচড় না কাটতে পারে সে
    ব্যবস্থা আমরা করব।

    কিন্তু আপনি–

    আমি জানি লতিকা দেবী, কে আপনাকে সেরাত্রে প্রাণের ভয় দেখিয়েছিল।

    আ-আপনি জানেন?

    জানি—কিন্তু আর দেরি করবেন না। যান আপনি হোটেলে।

    লতিকা গুঁই ধীরে ধীরে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

    টীকা