আগার তাহার বিভীষিকাভরা, জীবন মরণময়!
    সমাজের বুকে অভিশাপ সে যে – সে যে ব্যাধি, সে যে ক্ষয়;
    প্রেমের পসরা ভেঙে ফেলে দিয়ে ছলনার কারাগারে
    রচিয়াছে সে যে, দিনের আলোয় রুদ্ধ ক’রেছে দ্বার!
    সূর্যকিরণ চকিতে নিভায়ে সাজিয়াছে নিশাচর,
    কালনাগিনীর ফনার মতন নাচে সে বুকের পর!
    চক্ষে তাহার কালকুট ঝরে, বিষপঙ্কিল শ্বাস,
    সারাটি জীবন মরীচিকা তার প্রহসন-পরিহাস!
    ছোঁয়াচে তাহার ম্লান হয়ে যায় শশীতারকার শিখা,
    আলোকের পারে নেমে আসে তার আঁধারের যবনিকা!
    সে যে মন্বন্তর, মৃত্যুর দূত, অপঘাত, মহামারী-
    মানুষ তবু সে, তার চেয়ে বড় – সে যে নারী, সে যে নারী!

    টীকা