Chapter Index

    একটি লোক ছিল তার নাম ফ্রেডেরিক। তার স্ত্রীর নাম ছিল ক্যাথেরিন। সবে তারা বিয়ে করেছে।

    একদিন ফ্রেডেরিক বলল— কেটে, আমি ক্ষেতে যাচ্ছি লাঙল দিতে। যখন ফিরব খুব খিদে নিয়ে ফিরব। বেশ ভালো করে রেঁধে রেখো আমার জন্যে আর বড় এক গেলাস ঠাণ্ডা বিয়ার।

    কেটে বললে— বেশ, সব তৈরি থাকবে।

    মধ্যাহ্নভোজনের সময় যখন এগিয়ে এল ক্যাথেরিন ভাঁড়ার খুলে দেখল বেশ বড় একটি সসেজ ছাড়া আর কিছু নেই। সেটি বার করে সে তাওয়ায় চড়ালো ভাজতে। নিজে দাঁড়িয়ে রইল মাঝে মাঝে উল্টে দেবার জন্যে।

    খানিক পরে সে বলে উঠল— সসেজ তো প্রায় তৈরি— যাই মাটির নীচের ঘরে পিপে থেকে বিয়ার ঢেলে আনি।

    তাওয়াটা উনুনের উপর ছেড়ে বড় একটা জগ নিয়ে মাটির নীচের ঘরে গিয়ে পিপের তলাকার ছিপিটা খুলে দিল। পিপেতে ছিল এক পিপে ঠাণ্ডা বিয়ার, খোলা ছিপির গর্ত দিয়ে জগে এসে পড়তে লাগল আর ক্যাথেরিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল তা।

    হঠাৎ তার মনে হল, কুকুরটাকে তো তার ঘরে বন্ধ করে আসা হয়নি। ছাড়া আছে। সে বেটা সসেজটা নিয়ে পালাতে পারে। কুকুরের প্রিয় খাদ্যই তো সসেজ। উঃ ভাগ্যিস মনে পড়ল!

    দৌড় দিল উপরে আর গিয়ে দেখে কি, বজ্জাতটা গরম সসেজটাকে মাটির উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।

    ক্যাথেরিন ছুটলো কুকুরের পিছু আর কুকুর ছুটল তার আগে আগে। কিন্তু কুকুরকে সে ধরতেও পারল না, কুকুরের মুখ থেকে সসেজটা খসে পড়ল না।

    ক্যাথেরিন তখন বলল— যা পাওয়া যাবে না তা আর আশা করে লাভ কি? বলে ফিরল বাড়ির দিকে। ছুটতে ছুটতে এসেছিল অনেক দূর; হাঁপিয়েও গিয়েছিল; তাই ফিরল আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হতে হতে।

    এদিকে কিন্তু সমস্তক্ষণ বিয়ার পড়েই যাচ্ছে। জগ ভর্তি হয়ে উপচে পড়ল মেঝেয়। বিয়ার পড়েই চলল যতক্ষণ পর্যন্ত না পিপে খালি হয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে ব্যাপার দেখে ক্যাথেরিনের চক্ষুস্থির।

    —ফ্রেডেরিক যদি জানতে পারে তাহলেই হয়েছে আর কি!

    কি করা যায়? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মনে পড়ল গত বারের মেলায় এক বস্তা ভালো ময়দা কেনা হয়েছিল, সেটা ঘরের মাচায় তোলা আছে। সেই ময়দা যদি বিয়ারের উপর ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে ভিজে মেঝে শুকিয়ে খটখটে হয়ে উঠবে।

    ক্যাথেরিন বলে উঠল— ভাগ্যিস ময়দাটা রেখেছিলুম— তাই তো কাজে এল। যাকে রাখো, সেই রাখে।

    সে তখন মাচায় উঠে ময়দার বস্তায় টান দিল। ভারি বস্তাটা সামলাতে না পারায় সেটা পড়ল গিয়ে বিয়ার ভর্তি প্রকাণ্ড জগটার উপর। জগ উল্টে সমস্ত বিয়ার মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ল।

    সে তখন সেই মাটির নিচের ঘরের মেঝের চারিদিকে বেশ করে ময়দা ছড়িয়ে বস্তা খালি করে দিল। নিজের বুদ্ধির তারিফ করে বলে উঠল— বাঃ কেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছে।

    দুপুর বেলা ফ্রেডেরিক এল ফিরে।

    এসে বলল— বৌ, কি রেঁধেছ দাও।

    বৌ বলল— ও ফ্রেডেরিক, তোমার জন্যে একটা সসেজ রাঁধতে বসেছিলুম কিন্তু যখন নীচের ঘরে বিয়ার আনতে যাই তখন কুকুরটা সুযোগ পেয়ে সসেজ মুখে করে পালায়। আমি যেই তাকে ধরতে ছুটলুম অমনি পিপে থেকে সমস্ত বিয়ার গড়িয়ে মেঝেয় পড়ে গেল। তারপর আমি যখন আমাদের সেই মেলায় কেনা ময়দা ছড়িয়ে মেঝেটাকে শুকনো করবার চেষ্টা করলুম অমনি জগ গেল উল্টে। যাই হোক ঘরটা এখন বেশ শুকিয়ে খটখটে হয়ে উঠেছে; পরিষ্কারও দেখাচ্ছে বেশ।

    ফ্রেডেরিক বললে— কেটে কেটে! এ কি করলে তুমি? সসেজ ছেড়ে গেলেই বা কেন, বিয়ারের ছিপি খুলে পালালেই বা কেন, আর ময়দাগুলো সব নষ্টই বা করলে কেন?

    ক্যাথেরিন বললে— কেন, আমি কি কিছু ভুল করেছি নাকি? এ সব যে করতে মানা, কই তা তো তুমি কখনও বলনি।

    ফ্রেডেরিক ভাবলে, বৌ যদি এইভাবে চলে তাহলেই তো সর্বনাশ। নাঃ সাবধান হতে হবে দেখছি। বাড়িতে তার অনেকগুলি সোনার মোহর ছিল— সেগুলি সম্বন্ধে, সাবধান হওয়া দরকার। সে ক্যাথেরিনকে ডেকে বললে— দেখ কি সুন্দর হলদে বোতাম। এগুলিকে একটা বাক্সবন্দী করে আমি বাগানে মাটির তলায় রেখে দেব। কিন্তু সাবধান বৌ, তুমি এদের কাছেও যাবে না, হাতে করে ছোঁবেও না।

    বৌ বললে—না ফ্রেডেরিক, কখ্‌খনো তা করব না।

    সে চলে যেতেই মাথায় এক ঝাঁকা চিনে মাটির বাসন নিয়ে ক’জন ফিরিওয়ালা এসে হাজির।

    ক্যাথেরিনের ভারি পছন্দ। সে বললে— কী সুন্দর জিনিস। খুব কিনতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু টাকা তো নেই আমার। দেখ বাছারা যদি হলদে বোতামের বদলে তোমরা কিছু সওদা দিতে চাও তো বল।

    তারা অবাক হয়ে বললে— হলদে বোতাম? কই দেখি?

    —বাগানের ঐখানটায় যাও, গিয়ে খুঁড়ে দেখ। আমার যাবার সাহস নেই।

    তারা মাটি খুঁড়ে যখন হলদে বোতাম যে কী চীজ তা দেখলে তখন তাদের আনন্দের অবধি রইল না। সব বোতাম বার করে নিয়ে এক বোঝা চিনে মাটির বাসন নামিয়ে রেখে তারা চলে গেল। ক্যাথেরিন তাই দিয়ে বাড়ি সাজাতে বসে গেল।

    ফ্রেডেরিখ ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলে— ক্যাথেরিন, আজ সারা দিন কি করলে তুমি?

    ক্যাথেরিন বললে— দেখ তোমার হলদে বোতামের বদলে আমি কত কী কিনেছি। কিন্তু আমি হলদে বোতাম ছুঁইওনি। তুমি বারণ করেছিলে কি না। ফিরিওয়ালারা নিজেরাই বার করে নিয়েছে।

    ফ্রেডেরিক বললে— বৌ বৌ! কী কীর্তিই করেছ? ঐ হলদে বোতামগুলিই ছিল আমার যথা সর্বস্ব। ওগুলো যে সোনার মোহর! এমন করে নিজেকে ঠকালে?

    ক্যাথেরিন বললে— বাঃ, কেমন করে জানব এতে তোমার ক্ষতি হবে! তোমার বলা উচিত ছিল।

    সে খানিকক্ষণ চুপটি করে ভাবল, তারপর বললে— শোনো ফ্রেডেরিক, মোহর আমরা ঠিক ফেরত পাবো। চলো চোরেদের পিছনে ধাওয়া করা যাক।

    ফ্রেডেরিক বললে— চেষ্টা করে দেখা যাক। কিন্তু সঙ্গে করে কিছু মাখন আর পনির নিও, খিদে পেলে যাতে খেতে পাই।

    —তা নেব। বলে গোছগাছ করে তারা বেরিয়ে পড়ল। ফ্রেডেরিক অনেক জোরে হাঁটত বলে সে অনেকটা এগিয়ে গেল। ক্যাথেরিন পিছনে পড়ে রইল।

    ক্যাথেরিন বললে— ভালই তো। ফেরবার সময় আমার অনেক কম হাঁটতে হবে।

    ক্রমে তারা এক পাহাড়ের চূড়ায় এসে উঠল। তার পাশ দিয়ে রাস্তাটা এত সরু হয়ে গেছে যে গরুর গাড়ি যাবার সময় গাড়ির চাকা দুপাশের গাছের গুঁড়িকে ঘেঁস্‌টে দেয়।

    ক্যাথেরিনের চোখে সেটা পড়তেই সে বলে উঠল— আহা রে, বেচারা গাছের গুঁড়িগুলোকে কেমন থেঁতলে দিয়েছে দেখছ? সারলে হয়!

    দয়া উথলে উঠল। টুকরি থেকে মাখনের টুকরোটা বার করে বেশ করে লেপে দিল ক্ষত জায়গাগুলোতে। এদিকে যখন সে মলম লেপছে হঠাৎ টুকরি থেকে একটা পনির পড়ে গড়াতে লাগল।

    জায়গাটা বেশ ঢালু আর গড়ানে। কোথায় যে গেল পনিরটা ক্যাথেরিন এদিক ওদিক দেখেও বার করতে পারল না।

    —দাঁড়াও অন্য পনিরটাকে পাঠাচ্ছি তোমার পিছনে। সে ঠিক তোমায় খুঁজে বার করে নিয়ে আসতে পারবে। আমার চেয়ে অন্ততঃ অনেক জোরে দৌড়বে ও।

    বলে অন্য পনিরটাকে সে গড়িয়ে দিল। কোথায় যে চলে গেল সেটা আর দেখা গেল না। ক্যাথেরিন বললে—যাক্‌ গে, ওরা তো পথ জানেই, তা নইলে এমন করে দৌড় দেয় কি করে? ঠিক পৌঁছবে আমাদের কাছে; আমি ওদের জন্যে সারাদিন এখানে বসে থেকে কি করব?

    শেষে হাঁটতে হাঁটতে সে ফ্রেডেরিককে ধরে ফেলল। ফ্রেডেরিক বললে— দাও কি খাবার এনেছ।

    ক্যাথেরিন টুকরি থেকে শুকনো রুটি বার করে দিল।

    —মাখন কি হল? পনির কি হল?

    —মাখন? মাখন আমি সৎকাজে লাগিয়েছি। পাহাড়ের চুড়োয় সরু রাস্তার মোড়ে যেখানে বেচারা গাছের গুঁড়িগুলোর ছালটাল উঠে একাকার হয়ে গেছে গরুর গাড়ির ঘেঁসড়ানিতে, তাদের ছাল-ওঠা গায়ে আমি বেশ করে মাখন লেপে দিয়েছি।

    —আর পনির?

    —একটা পনির পালিয়ে গেল। আমি তাই অন্যটাকে পাঠিয়ে দিলুম প্রথমটাকে খুঁজে আনতে। দুজনে বোধহয় একসঙ্গে রাস্তা ধরে আসছে।

    ফ্রেডেরিক বললে— এরকম গাধানি তো দেখিনি। কি বলে করলে বলো তো এই সব?

    ক্যাথেরিন বললে— একথা এখন তুমি বল কি করে? কই আগে তো বারণ করনি!

    কি আর করবে— তারা বসে বসে শুকনো রুটিই চিবোলো। তারপর ফ্রেডেরিক বললে— কেটে! আসবার সময় সদর দরজায় ভালো করে চাবি দিয়ে এসেছ তো?

    সে বললে— না দিইনি। তুমি তো বলনি।

    ফ্রেডেরিক বললে— তবে যাও দৌড়ে ভাল করে সদর দরজায় তালা চাবি দিয়ে এস। আমি এখানেই রইলুম। ফেরবার সময় সঙ্গে করে কিছু খাবার এনো।

    ক্যাথেরিন পথে যেতে যেতে ভাবলে— ফ্রেডেরিক কিছু খেতে চায় কিন্তু বোধ হয় মাখন পনির ওর তেমন পছন্দ নয়। বরং ওর জন্যে এক থলি বাদাম আর এক ঝারি ভিনিগার নিয়ে যাই।

    বাড়ি পৌঁছে সে খিড়কির দরজায় তালা মেরে দিল আর সামনের দরজাটা কব্জাসুদ্ধ খুলে পিঠে তুলে নিল। বললে— ফ্রেডেরিক সদর দরজায় ভালো করে চাবি মেরে দিতে বলেছে। তার মানে দরজা যাতে চুরি না যায়। তা বেশ আমারই সঙ্গে চললো দরজা, চুরি যাবার কোনো ভয়ই রইল না।

    ক্যাথেরিন দরজা ঘাড়ে করে তার স্বামীর কাছে এসে বলল— এই নাও স্বামী তোমার দরজা, আর চুরি যাবার কোনো ভয় নেই।

    ফ্রেডেরিক চেঁচিয়ে উঠল— হায় হায়, এ কী করলে বৌ! আমি তোমায় পাঠালুম যাতে বাড়িটা নিরাপদে থাকে আর তুমি দরজা খুলে দিয়ে এলে হাট করে? এখন তো যে-কেউ ঢুকে পড়বে আমাদের বাড়ি। যাই হোক দরজা যখন এনেইছে তখন তোমাকেই ওটা সারাক্ষণ বইতে হবে।

    ক্যাথেরিন বললে— বেশ আমি দরজা বইব, কিন্তু সেই সঙ্গে বাদামের থলি আর ভিনিগারের ঝারি বইতে পারব না। ও দুটো বড় ভারি। ও দুটোকে দরজার সঙ্গে বেঁধে দাও তো ফ্রেডেরিক— দরজা ব্যাটা বইতে থাকুক।

    ফ্রেডেরিক তাতে আপত্তি করল না। তখন তারা বেরিয়ে পড়ল বনে চোর ধরতে। কিন্তু অনেক খুঁজেও তাদের পেল না। যখন অন্ধকার হয়ে এল তারা একটা গাছে উঠল রাতটা কাটিয়ে দেবার জন্যে। সবে উঠেছে এমন সময় চোখে পড়ল, আরে এরা কারা? ওই তো সেই চোরগুলো না? ঠিক তাই। ঘুরতে ঘুরতে চোরগুলো এসে সেই গাছের তলায় আশ্রয় নিচ্ছে। চোরগুলো যখন গাছতলায় বসে একটা আগুন জ্বালার ব্যবস্থা করছে তখন ফ্রেডেরিক চুপিসাড়ে গাছের অন্যদিক দিয়ে নেমে পড়ে কতকগুলো নুড়ি কুড়িয়ে নিয়ে আবার গাছে উঠে এল। তারপর এক-একটা করে নুড়ি তাদের মাথায় ফেলতে লাগল।

    তারা বলল— ভোর হয়ে এলো বোধহয়, কারণ ভোরের হাওয়ায় পাইন গাছের শুকনো ফল পড়ছে।

    ক্যাথেরিনের পিঠে এতক্ষণ দরজা ছিল। তার পিঠ ব্যথা করে উঠল। এতক্ষণে তার মনে পড়ল বাদামের থলিটার কথা। সে ভাবলে বাদামগুলোর জন্যেই দরজাটা এত ভারি লাগছে।

    ফিস্‌ফিস্ করে সে বলল— ফ্রেডেরিক, বাদামগুলো এবার আমি ফেলে দেব।

    ফ্রেডেরিক বললে— খবরদার, না। ওরা তাহলে বুঝে ফেলবে আমরা এখানে।

    আর বুঝে ফেলবে! ক্যাথেরিন ততক্ষণে ফেলে দিয়েছে বাদামের বোঝা। ঝুর ঝুর করে ডালপালা পাতা ভেদ করে বাদাম পড়তে লাগল।

    চোররা বলে উঠল— ঈস্‌ এ যে বড় বড় শিল পড়তে শুরু হল।

    ক্যাথেরিনের তবু দরজাটা ভারি লাগতে লাগল। তার মনে পড়ল ভিনিগারের ঝারিটার কথা। সে ফিস্‌ফি্‌স করে বললে— ফ্রেডেরিক, আর পারছি না এবার আমি ভিনিগার ফেলে দেব।

    —খবরদার নয়। ওরা বুঝে ফেলবে।

    আর বুঝে ফেলবে! গড় গড় করে ভিনিগার নেমে এল গাছ ভেদ করে।

    চোরেরা বলল— বাপ্‌রে কী ভয়ানক শিশির পড়ছে।

    অবশেষে ক্যাথেরিনের মনে হল— নাঃ বাদামও নয়, ভিনিগারও নয়, দরজাটাই বিষম ভারি।

    সে বললে— ফ্রেডেরিক, দরজাটা বড় ভারি— ওটা আমি, ফেলে দিচ্ছি।

    ফ্রেডেরিক বললে— করছ কি! দরজা ফেলে দিলে ওরা এখ্‌খুনি আমাদের ধরে ফেলবে।

    আর ধরে ফেলবে! হুড়মুড় করে গাছের ডালপালা ভাঙতে ভাঙতে দরজা নামতে লাগল। এমন ভয়ঙ্কর আওয়াজ হল যে চোরেরা চীৎকার করে উঠল— গাছ থেকে শয়তান নেমে আসছে!

    কি যে নেমে আসছে তা আর উপর দিকে তাকিয়ে দেখবার সাহস হল না। যে যেদিকে পারলে সোনাটোনা ফেলে দৌড় দিলে।

    ফ্রেডেরিক আর ক্যাথেরিন নেমে এসে দেখলে তাদের মোহরের বাক্স গাছতলায় পড়ে। তারা সেটা তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেল।

    টীকা