বিবেলবেলা গড়িয়ে গেলে অনেক মেঘের ভিড়
    কয়েক ফলা দীর্ঘতম সূর্যকিরণ বুকে
    জাগিয়ে তুলে হলুদ নীল কমলা রঙের আলোয়
    জ্বলে উঠে ঝরে গেল অন্ধকারের মুখে।
    যুবারা সব যে যার ঢেউয়ে–
    মেয়েরা সব যে যার প্রিয়ের সাথে
    কোথায় আছে জানি না তো;
    কোথায় সমাজ অর্থনীতি?–স্বর্গগামী সিড়ি
    ভেঙে গিয়ে পায়ের নিচে রক্তনদীর মতো–
    মানব ক্রমপরিণতির পথে লিঙ্গশরীরী
    হয়ে কি আজ চারি দিকে গণনাহীন ধুসর দেয়ালে
    ছড়িয়ে আছে যে যার দ্বৈপসাগর দখল ক’রে!
    পুরাণপূরুষ, গণমানুষ, নারীপুরুষ, মানবতা, অসংখ্য বিপ্লব
    অর্থবিহীন হয়ে গেলে–তবু আরেক নবীনতর ভোরে
    সার্থকতা পাওয়া যাবে ভেবে মানুষ সঞ্চারিত হয়ে
    পথে পথে সবের শুভ নিকেতনের সমাজ বানিয়ে
    তবুও কেবল দ্বীপ বানাল যে যার নিজের অবক্ষয়ের জলে।
    প্রাচীন কথা নতুন ক’রে এই পৃথিবীর অনন্ত বোনভায়ে
    ভাবছে একা একা ব’সে
    যুদ্ধ রক্ত রিরংসা ভয় কলরোলের ফাঁকে:
    আমাদের এই আকাশ সাগর আঁধার আলোয় আজ
    যে দোর কঠিন; নেই মনে হয়–সে দ্বার খুলে দিয়ে
    যেতে হবে আবার আলোয় অসার আলোর ব্যসন ছাড়িয়ে।

    টীকা