১. হাওড়া স্টেশনে

সমরেশ বসু

উদিত হাওড়া স্টেশনে, বুকস্টলের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাগাজিন দেখছিল। তেমন যে মনোযোগ দিয়ে দেখছে, তা মনে হয় না। মাঝে মাঝেই, হাত উলটে ঘড়ি দেখছে আর ঠোঁট উলটে বিরক্তি প্রকাশ করে, ম্যাগাজিনের পাতা ওলটাচ্ছে। কোনও পাতায় একটা ছবি হয়তো কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে দেখছে, তারপরেই আবার যাত্রীদের আসা যাওয়ার দিকে চোখ পড়ছে। যত যাত্রী আসছে, তাদের পায়ে পায়ে জল আর কাদা ছড়াচ্ছে।

একে কী ধরনের বৃষ্টি বলে, উদিত বুঝতে পারে না। আকাশের থেকেও, ওর মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে ওঠে। ঝরঝর করে বৃষ্টি হয় বা ঝিরঝির করে হয়, তার একটা মানে বোঝা যায়। মাঝে মাঝে হচ্ছে, মাঝে মাঝে থামছে, অথচ আকাশ মুখ কালো করেই আছে। আর এই কলকাতার বৃষ্টি, আরও বিশ্রী। ঝরতে না ঝরতেই, রাস্তা ডুবে যাবে, আর ঠিক কাজের সময় কোথাও বেরোবার মুখেই, বৃষ্টিটি বেশ আনন্দে গদগদ হয়ে নেমে আসবে।

কলকাতার বৃষ্টির দস্তুর এইরকম। উদিত নিজের ভেজা জামা-প্যান্টের দিকে এক বার তাকাল। আর এক বার ঝাড়া নাড়া দিল, যদিও, ঝরবার মতো জল এখন আর জামা-প্যান্টে নেই, সবই প্রায় গায়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। তারপরে ফ্যাঁচর ফ্যাঁচর হাঁচো, নাক চোখ দিয়ে জল গড়াক, গা হাত পা ব্যথা হোক, ফ্লু বাগিয়ে শুয়ে থাকো। যাচ্ছেতাই। কিন্তু তা হলে তো চলবে না। উদিতের অনেক কাজ আছে।

আর একটু দেরি করে এলেও অবিশ্যি ক্ষতি ছিল না। গাড়ি ছাড়তে এখনও প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট বাকি। কিন্তু যাত্রীর ভিড়ে, উদিতের বিরক্তি যেন আর ধরছে না। এত লোকের আজ বাড়ি থেকে বেরোবার কী দরকার। দুর্যোগ দেখলে কি লোকের বাইরে যাওয়ার দরকার বেড়ে যায় নাকি। দেখেশুনে সেইরকমই মনে হচ্ছে। অথচ এর মধ্যেও, সকলের সাজগোেজ চাই, আর সে সাজগোজের কী দুর্দশা। বিশেষ করে মেয়েদের। মুখের রং উঠে গিয়েছে, কপালের টিপ জলে ধুয়ে গিয়েছে, শায়ার ফ্রিল পায়ে জড়িয়ে, হাঁটতে গিয়ে, আছাড় খাবার জোগাড়। তার ওপরে যারা ফিনফিনে পাতলা শাড়ি পরেছে, তাদের তো কথাই নেই। নিজেদের নিয়ে, নিজেরাই বিব্রত। ধুতি পাঞ্জাবি পাগড়িওয়ালাদের দুর্দশাও কম না। সব থেকে খারাপ অবস্থা বাচ্চাদের। এমন দিনে কেউ মেয়ে আর বাচ্চাদের নিয়ে বেরোয়। আজকাল লোকের সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি।

অবিশ্যি, সকলের অবস্থাই এ রকম কাক ভেজা না। অনেকে বেশ ঝরঝরে শুকনো অবস্থাতেই ভেতরে এসে ঢুকছে। শুকনো ঝরঝরে মেয়ে পুরুষ দেখলেই বোঝা যায়, এ সব সৌভাগ্যবান ও বতীরা ট্যাক্সিতে বা নিজেদের গাড়িতে এসেছে। জামাকাপড়ের সঙ্গে, চুলের পাটও ঠিক আছে। আর যারা গাড়ি নিয়ে সরাসরি প্ল্যাটফরমের গায়ে চলে যাচ্ছে, তাদের তো কথাই নেই। বৃষ্টির জন্য তাদের ভাবনা নেই।

কিন্তু তা-ই কী? এর নাম কলকাতা। বৃষ্টি ভেজা কলকাতায় আবার গাড়ি চলা চাই, তবে তো। মাঝপথেই হয়তো, কারবোরেটর এক টোক জল খেয়ে, বিগড়ে বসে রইল। তারপরে ঠ্যালার নাম বাবাজি। তখন মনে হবে, সরকারি বড় বড় গাড়িই ভাল। ভিজে হলেও, গন্তব্যে পৌঁছনোর আশা থাকে।

উদিত বুকস্টলে দাঁড়িয়ে, ম্যাগাজিন দেখতে দেখতে, এইরকম সাত-পাঁচ ভাবছিল। মাঝে মাঝে লোকজনের দিকে দেখছিল। প্ল্যাটফরমে গিয়েও সেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। সেখানে আরও ভিড়। অল্প পরিসরে লোক বেশি, মালপত্রের গাদাগাদি। তার চেয়ে এখানেই ভাল। ওর নিজের ঘাড়ে একটা মাত্র বড় ব্যাগ, তাতেই ওর দরকারি সবকিছু আছে। দাড়ি কামাবার জিনিসপত্র থেকে, নখ কাটবার নরুণ পর্যন্ত।

কথাটা ভেবে, উদিতের হাসি পেল। নরুণ পর্যন্ত আছে, কিন্তু জামাকাপড়ের বহর সেই পরিমাণে, সত্যি হাস্যকর। নেহাত শীতকাল না, তা-ই রক্ষে। আরও গোটা দুয়েক প্যান্ট, খান তিনেক জামা, সবই সস্তা আর মোটা। একজোড়া হাওয়াই চপ্পল। তার সঙ্গে জাঙি গেঞ্জি মিলিয়ে চার-পাঁচ পিস! যথেষ্ট। অনেক গরিব মানুষের থেকে অনেক বেশি। চপ্পলটার কথা মনে হতেই, পায়ের দিকে তাকাল ও। এখন ওর পায়ে বুট জুতো। মোটা লেদারের জুতোজোড়া ভিজে এখন ওজন দাঁড়িয়েছে, কেজি দশেক। গাড়িতে উঠে, আগেই এটাকে ছাড়তে হবে, ব্যাগ থেকে বের করে চপ্পল পরতে হবে। সেইভাবেই জামা প্যান্টও বদলে নিয়ে, কোথাও শুকোতে দেবার চেষ্টা করতে হবে। তারপরে দেখা যাক, কত বড়লোক হতে ও যাত্রা করেছে।

কথাটা মনে হতেই, এই বর্ষার মতোই বিরক্ত আর তিক্ত হয়ে উঠল উদিতের মন। লোকে কাজের জন্য আসে কলকাতায়, ওকে ফিরে যেতে হচ্ছে কলকাতার বাইরে। না, কলকাতায় কোনও চাকরি নেই। কলকাতায় কোনও কাজ নেই। কলকাতায় আছে কেবল কথা। কে যেন লিখেছিলেন, কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে। বিরক্তির এইসব কবিতা। যখন কবিদের যা মনে আসবে, তখন তাই লিখবেন, তারপর মরোগে পাঠকেরা। তার চেয়ে বলা ভাল, কলকাতা হবে কোটি কোটি মানুষের শহর, গাদাগাদি গাঁজাগাজি কাড়াকাড়ি মারামারি। একটা ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের শহর। যেখান থেকে মানুষ প্রতি মুহূর্তে পালাতে চাইবে।

আসলে, উদিতের এটা আঙুরফল টকের মতো রাগের মনোভাব। যা পাওয়া যায় না, তাই শেষ পর্যন্ত খারাপ। কলকাতা ছেড়ে যেতে হচ্ছে, সেই দুঃখে আর বিরক্তিতেই ওর এসব মনে হচ্ছে। কলকাতাতেই ও থাকতে চেয়েছিল, একটা কোনও কাজ নিয়ে। অনেক দিনের চেষ্টাতেও কিছু হল না। এমনকী, উদিত নিজে চেয়েছিল, মোটর ড্রাইভারের কাজ করতে। তাতে আবার দাদার আপত্তি।

তার বক্তব্য, এতটা নীচে নামার কী দরকার। এতটা জলে পড়ার মতো অবস্থা তো আসেনি। বাড়ির অবস্থা এত খারাপ না, কোনওরকমে চলে যাবে যাই হোক, বাবার নামে চা বাগানের যা শেয়ার আছে, তাতে এখনও বছরে ডিভিডেন্ড হিসাবে প্রায়, চার-পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া যায়। দাদা নিজেও, বাড়িতে মাসে প্রায় দেড়শো-দুশো টাকা পাঠায়।

সেটা উদিতের ভালই জানা আছে। তার জন্য, মোটর ড্রাইভারিটা ছোট কাজ কেন, নীচে নামারই বা কী আছে। এ ধরনের ভদ্রলোকের জীবনযাপনে বা বোধে, ওর কোনও আস্থা নেই। অবিশ্যি, গাড়ি চালানো বিদ্যেটা ও কোনওদিনই, জীবিকার জন্য শেখেনি। ওটা একটা হয়ে যাওয়ার ব্যাপার। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে থেকে, এর তার গাড়ি চালিয়ে, চালানোটা শেখা হয়ে গিয়েছে। এবং বেশ ভালভাবেই শেখা হয়েছে। যে কোনও পেশাদার ভাল ড্রাইভারের থেকে, ওর শেখাটা আরও কয়েক ডিগ্রি ওপরে। কারণ ও জীবিকার জন্য শেখেনি। গাড়ি চালানোটাকে, একটা সহজ খেলনার মতো কবজা করতে চেয়েছিল, পেরেছেও। স্টিয়ারিং ধরে বসলে, ও নতুন মানুষ হয়ে ওঠে। যদিও আজ অবধি কোনও লাইসেন্স করা হয়নি। কারণ, তার কোনও দরকার পড়েনি।

কিন্তু সত্যি কি, ভদ্রতাবোধের এই চিন্তাটা, নিতান্ত বাস্তববোধ আর মনের উদারতা থেকে এসেছে উদিতের মনে। নাকি আসলে কলকাতায় থাকতে পারার জন্যই, যা পারা যায়, তার জন্যই এই মনোভাব। এ কথা নিজের কাছে একটা প্রশ্নের মতো এসে দাঁড়াতেই, রেখার কথা ওর মনে পড়ে গেল। রেখা বউদির বোন, ওরা কলকাতায় থাকে। আসলে, উদিতের কাছে, এক হিসাবে দেখতে গেলে, এখন কলকাতার আর এক নাম বোধ হয় রেখা। কে জানে, বেকার ভাইকে দাদা হয়তো সেজন্যই আরও তাড়াতাড়ি কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল।

উদিতের মন তখন অন্যদিকে বাঁক নিল। একটু কুটিল আর জটিল দিকে। বউদি কোনওরকমে দাদাকে ওর বিরুদ্ধে বলেনি তো। রেখার সঙ্গে ওর মেশামেশি, রেখার সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, সিনেমা দেখতে যাওয়া, এ সব হয়তো ইদানীং বউদির আর ভাল লাগছিল না, দাদাকে নানারকম ভাবে তাই হয়তো বলেছে। দাদা তো আর সারাদিন দেখতে আসছে না, উদিত কোথায় যাচ্ছে, কে বাড়িতে আসছে, কার সঙ্গে ও বেড়াতে যাচ্ছে। দাদা বউদি হয়তো শলাপরামর্শ করেই ওকে তাড়াল।

কিন্তু, না কথাটা ঠিক মনে ধরল না। বউদির পূর্বাপর কোনও ব্যবহারেই এ ধরনের কিছু বোঝা যায়নি। বরং অন্যদিকেই যেন, ইয়ার্কি ঠাট্টার ঝোঁক দেখা যেত। দাদার সঙ্গে, এ সব বিষয়ে হয়তো কোনও কথাই হত না, হলেও, সেটা নেহাতই হাসির পর‍্যায়ে পড়ে। কেনো, রেখা তা হলে, উদিতকে কিছু বলত। এ সব ক্ষেত্রে, যদি সাবধানতার দরকার হয় তা হলে মেয়েদেরই আগে বলা হয়, তাদের সাবধান করা হয়। বাড়িতে, দিদি আর বোনদের ক্ষেত্রেও তাই দেখা গিয়েছে। এটা ভাল হচ্ছে না, বা, এটা মন্দ হচ্ছে, আগেই বলা হয়। বউদিদি যদি সেরকম কিছু মনে করত, তা হলে, নিজের বোনকে সে আগেই কিছু বলত।

তবে এর মধ্যে একটা কথা আছে। বলবার মতো কোনও অবস্থার সৃষ্টিই হয়নি। রেখার সঙ্গে উদিতের এমন কিছু ঘটেনি বা দেখাও যায়নি, যাতে কিছু বলা যায়। উদিতের যেমন একটা ভাল লাগার ব্যাপার ছিল, রেখারও সেইরকম। কলকাতায় এসে, প্রথম পরিচয়ের আড়ষ্টতা কেটে যাবার পরে, এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, ওদের দুজনের দুজনকে ভাল লাগছে। দাদার বাসা থেকে, তার শ্বশুরবাড়ি বেশি দূরে না। রেখার পক্ষে যাতায়াত, বিশেষ অসুবিধার ছিল না। উদিতের মনে আছে, রেখা একদিন বিকালে আসার পরে, বউদি হেসে বলেছিল, কীরে রেখা, এত ঘন ঘন আসছিস কেন?

রেখা অবাক হয়ে বলেছিল, ঘন ঘন আবার কী, এরকমই তো আসি তোমার বাড়িতে।

বউদির গলা আর একটু রহস্যে তরল হয়ে উঠেছিল, বলেছিল, মোটেই না, দিদির বাড়িতে তো এত টান আর দেখিনি।

রেখা বলেছিল, দেখ দিদি, এরকম বলো না, তা হলে আর আসব না।

বউদি হেসে উঠেছিল, বলেছিল, আহা চটছিস কেন। আসলে আমার দেওরটি তো কোনওদিক থেকে খারাপ না। মেয়েদের একটু টনক নড়তে পারে।

উদিত অবিশ্যি তখন সামনে ছিল না, কিন্তু ঘরের ভিতর থেকে সব কথাই শুনতে পাচ্ছিল।

রেখা বলেছিল, কাঁচকলা তোমার দেওর। দেখতে মাকাল ফল গুণে বেকার। আমার কোনওদিন টনক নড়বে না।

ইস, তোর যে দেখি অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না।

অহংকার কীসের, যা সত্যি, তাই বললাম। নেহাত, কলকাতায় তোমার দেওরের কোনও বন্ধুবান্ধব নেই, রাস্তাঘাট চেনে না, কোন বাস ট্রাম কোথায় যাবে জানে না, অজ পাড়াগেঁয়ে বাঙাল, তাই একটু সঙ্গে যাই।

তারপরে আর বিশেষ কিছু শোনা যায়নি, কেবল একটু হাসি। কিন্তু সামনাসামনি দেখা হবার পরে, উদিত কিছু বলেনি। যেন ও দুই বোনের কথাবার্তার কিছুই শোনেনি। পরে রাস্তায় বেরিয়ে, উদিত আর থাকতে পারেনি। যদিও, রেখার ব্যবহারে ওর কিছুই খারাপ মনে হয়নি, তবু না বলে পারেনি, দেখতে মাকাল ফল, গুণে বেকারের সঙ্গে বেরোতে, তোমার খারাপ লাগে না তো রেখা?

রেখা চমকে উদিতের দিকে তাকিয়েছিল। তারপরে, রাস্তার ওপরেই খিলখিল করে হেসে উঠেছিল। রেখার হাসিটা এমনই, উদিতের মনের কোণে কিছু থাকলেও, তা ধুয়ে গিয়েছিল। রেখা বলেছিল, আপনি সব শুনেছেন বুঝি?

তা শুনেছি।

শুনেও, আমার কথায় চটে গেছেন?

চটিনি, মানে—

 রেখা বলে উঠেছিল, বিশ্বাস করেছেন, আমি সত্যি তাই ভেবে বলেছি?

না না, তাও ঠিক না।

কিন্তু বলব না-ই বা কেন শুনি? দিদি কেন আমাকে ওরকম করে বলছিল। যেন আপনার থেকে সুপুরুষ আর হয় না।

তখন উদিতের নিজেরই হাসি পেয়েছিল। সব ব্যাপারটাই ঠাট্টা। এইভাবেই ওদের দুজনের মধ্যে, কিছুটা ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিল। যদিও সেটা দুয়ে দুয়ে চারের মতো, একটা অবশ্যম্ভাবী পরিণতির দিকেই যাচ্ছিল না। কিন্তু মনে মনে কোথাও দুজনের, কিছু একটা ঘটছিল। তার প্রমাণ, দুজনের সঙ্গে দুজনের দেখা হলে, চোখে মুখে ঝলক ফুটে উঠত। দেখা না হলে, দুজনেরই খারাপ লাগত। বউদির ঠাট্টায় সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠত।

আরও বেশিদিন কলকাতায় থাকলে, কী হত বলা যায় না। কিছু হওয়ার আগেই, দাদার সিদ্ধান্ত হয়ে গেল, এভাবে কলকাতায় বসে থাকলে কিছু হবে না। তার চেয়ে বাড়ি যাওয়াই ভাল। ওদিকেও, বাবার চিঠি এল, একটা বড় চা বাগানে, উদিতের মোটামুটি একটা ভাল চাকরি এখন হতে পারে। ভবিষ্যতে ওপরে ওঠবার সম্ভাবনা আছে।

ওপরে না, একেবারে স্বর্গে উঠে যাবে উদিত। কলকাতা ছেড়ে যাবার ওর একেবারেই ইচ্ছা ছিল না। বাবা পরিষ্কার করে লেখেননি, চা বাগানের চাকরিটা কী। চা বাগানেই যদি, চাকরি করতে হবে, তা হলে আর কলকাতায় আসবার দরকার কী ছিল। উত্তরবঙ্গে থেকে গেলেই হত।…

অধ্যায় ১ / ১০

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন