তিমির প্রেম – ১

রকিব হাসান

এক

পাইপে নতুন করে তামাক ভরে আগুন ধরাল বার্ট চাচা। কষে এক টান দিয়ে নাকমুখ দিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে শুরু করল, ‘এখান থেকে অনেক অনেক দূরে, বুঝলি ডগ, সেই দক্ষিণ সাগরে…তলপেটের কাছে অদ্ভুত এক অনুভূতি হলো তিমিনীর। থেকে থেকেই গুঁতো মারছে বাচ্চাটা, এগারো মাস ধরে যাকে বয়ে বেড়াচ্ছে পেটের ভেতর। দিন-মাস গুণতে জানে না সে, তবে অমাবস্যা-পূর্ণিমা সম্পর্কে নিজস্ব একটা ধারণা আছে। এই দুই সময় বড় জোয়ার আসে, ফুলে ফেঁপে ওঠে সাগর…আরও কয়েকবার গুঁতো খেল পেটে। ঠিকই বুঝল তিমিনী বাচ্চাটার আসার সময় হয়েছে। একটা শব্দ তরঙ্গ সামনে ছুঁড়ে দিল সে। দু-শো গজ দূরে ভাসছে ধাইমা…’

‘দাঁড়াও, দাঁড়াও,’ বাধা দিল ডগলাস হান, ‘ধাইমা! মানে তিমির?

‘তো কি তোর? বলছি তিমির গল্প…’

‘না, আসলে তিমির ধাইমা বললে তো, অদ্ভুত লাগছে।’

‘এই তো সবে শুরু। আরও কত অদ্ভুত কথা শুনবি। কিন্তু এভাবে বাধা দিলে তো গল্পই বলতে পারব না!’

‘ঠিক আছে, বলো তুমি…’

‘হ্যাঁ, দু-শো গজ দূরে ভাসছে বাচ্চাটার ধাইমা। প্রকাণ্ড এক ভাসমান পর্বতের মত। মা-তিমির শব্দ তরঙ্গ কানের পর্দায় এসে লাগল তার। বিদ্যুৎ গতিতে মুখ ঘোরাল ধাইমা। বান্ধবীর ডাকের অর্থ বুঝে গেছে। পুরো এক মাস, মানে এক পূর্ণিমা থেকে আরেক পূর্ণিমা পর্যন্ত মা তিমির সঙ্গে সঙ্গে ঘুরছে সে। রক্তের সম্পর্ক নেই, তবে প্রজাতিগত সম্পর্ক আছে। জিজ্ঞেস করতে পারিস, আগের পরিচয় আছে কিনা? না, তাও নেই। মা-তিমির বাইশ বছর বয়েসের জীবনে এর আগে ধাইমার সঙ্গে কোনদিন দেখা হয়নি। দেখা হয়েছে মাত্র এক মাস আগে, দক্ষিণার্ধের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। ধাইমা দেখেই বুঝতে পেরেছে, তার নতুন পরিচিতা ভরা-পোয়াতি। ব্যস, আর অনুরোধ করতে হয়নি তাকে। ছায়ার মতো মা-তিমির সঙ্গে সঙ্গে আছে সে সেই থেকে। বান্ধবীর সাহায্যের দরকার, কেউ বলে দেয়নি তাকে। মা-তিমির বাচ্চা হবে, দেড়-দুমাসে একটু বড় হবে বাচ্চাটা, তখন তার ছুটি।

‘বান্ধবীর কাছে এসে তাকে একবার দেখেই বুঝল ধাইমা, সময় হয়ে গেছে। নিতান্তই অসহায় এখন বান্ধবী। এই সময়ে যদি তাকে আক্রমণ করে বসে, হাঙ্গর, খুনী তিমি কিংবা অন্য কোন হিংস্র জানোয়ার, তো ধাইমাকেই রুখে দাঁড়াতে হবে, ঠেকাতে হবে জান-প্রাণ দিয়ে।

‘মায়ের পেটের ভেতর ছটফট করছে বাচ্চাটা। পুঁচকে বাচ্চা, এই এত্তোটুকুন, মাত্র পনেরো হাতের মতো লম্বা। আর ওজন গিয়ে ধরো, এই চুয়ান্ন মনের মতো…’

‘এত্তোবড়!’ চোখ বড় বড় হয়ে গেছে ডগলাসের, ‘আর তুমি এমন ভাবে বলছ যেন হাতের তালুতে জায়গা হয়ে যাবে!’

‘দূর বোকা! আমি কি মানুষের সঙ্গে তুলনা করছি নাকি? তিমির তুলনায় বাচ্চাটা পুঁচকে না?’ পাইপে বার দুই জোর টান দিয়ে ফুক ফুক করে ধোঁয়া ছেড়ে আচমকা ধমকে উঠল চাচা, ‘তোকে না বলেছি কথার মাঝে কথা বলবি না, তাহলে আমি গুলিয়ে ফেলি…’

‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, বলো তুমি। আর বাধা দেব না।’

‘হ্যাঁ, যা বলছিলাম। মাকে আধঘণ্টা প্রসব যন্ত্রণা দেবার পর বেরিয়ে এল বাচ্চাটা। আগে মাথা নয়, লেজ…’

‘কি বললে?’ প্রতিজ্ঞা ভুলে গিয়ে বাধা দিয়ে ফেলল ডগলাস।

‘এই ব্যাটা, এইমাত্র না বললি, আর বাধা দিবি না?’

‘কিন্তু আংকেল, বাচ্চার লেজ আগে বেরোয় কি করে? অমন কথা তো শুনিনি কখনও!’

‘শুনবি কি করে? এর আগে তিমির জন্মের গল্প বলেছে তোকে কেউ?’

‘না, তা বলেনি,’ এদিক ওদিক মাথা নাড়ে ডগলাস।

‘তাহলে আমি যা বলছি, শোন। বাচ্চার লেজ বেরিয়ে এল প্রথমে। তারপর আস্তে আস্তে পনেরো হাত লম্বা গোটা দেহটা। মা-তিমির তলপেটের মাংসপেশীর থেকে থেকে শক্ত হয়ে ওঠা বন্ধ হলো এবারে। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি এখনও। নাড়ি কাটতে হবে। কিন্তু কি করে কাটবে? ওদের তো আমাদের মতো হাত নেই, ছুরিও নেই। এমন কি দাঁতও নেই। কিন্তু তাই বলে কি নাড়ি কাটা বন্ধ থাকবে? না। তবে একে কাটা না বলে ছিঁড়ে-ফেলা বলাই ভাল,’ দম নেয়ার জন্যে থামল বাৰ্ট চাচা।

‘কি করে ছিঁড়ল?’ উত্তেজনায় ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল ডগলাস।

‘অতি সহজে। বিশাল দেহ নিয়ে পানিতে এক ডিগবাজি খেল মা-তিমি নবজাতকের সঙ্গে দেহের শেষ সম্পর্ক ছিঁড়ে ফেলল হ্যাঁচকা টানে। পরক্ষণেই চলে গেল বাচ্চার দেহের তলায়। নিচ থেকে ঠেকা না দিলে তলিয়ে যাবে তো বাচ্চাটা, তাই। ওটার দেহে এখনও বাতাস ঢোকেনি, কাজেই ভেসে থাকতে পারবে না।

‘রীতিমত হকচকিয়ে গেছে বাচ্চাটা। অনেকগুলো অভিজ্ঞতা এক সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে এসেছে জন্মের সাথে সাথেই। প্রথমেই আলোর বোধ। অন্ধকারেই অভ্যস্ত ছিল এত দিন। জন্ম হয়েছে পানির দশ ফুট নিচে। নীলাভ রঙ। রঙ চেনে না তিমি, তবে আলোর বোধ আছে। আরেকটা বোধ, শব্দ। এত দিন, প্রায় এক বছর একটি মাত্র শব্দই শুনেছে, ওর মায়ের পনেরো মন ওজনের হৃৎপিণ্ডটার স্পন্দন। যে হৃৎপিণ্ড থেকে প্রায় দুই ইঞ্চি ব্যাসের শিরা-ধমনী দিয়ে সত্তর ফুট দেহের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে রক্ত চলাচল করে। যে রক্তের ভাগ পেয়েই বেঁচে ছিল বাচ্চাটা এগারো মাস। হঠাৎ এই মুহূর্তে এই দপদপানিটা বন্ধ হয়ে গেছে। এক বছর ধরে মায়ের হৃদয় যে জীবনের ডাক শোনাচ্ছিল বাচ্চাকে, সন্তান দেহ থেকে আলাদা হয়ে যেতেই থেমে গেল সেটা। তার পরিবর্তে হাজারও বিচিত্র শব্দ এসে ধাক্কা মারছে তার শ্রুতিতে। কোথা থেকে কিসের শব্দ কেন আসছে, জানে না, কিন্তু শুনতে পাচ্ছে। পানির তলায় নিঃশব্দে সাঁতরে বেড়াচ্ছে মাছ, তাদের পাখনার আওয়াজ আসছে, আসছে ওপর তলার সাগরের গর্জন, আসছে আরও কত কি শব্দ! মানুষ ডুব দিয়ে পানির তলায় এই শব্দ শোনে না, মাছেরাও শোনে না, কিন্তু বাচ্চাটা শুনতে পাচ্ছে। জানিস কেন? অবিশ্বাস্য প্রথর তিমির কান। ভড়কে গেছে বাচ্চাটা।’

থামল বার্ট চাচা। কোটের ঝোলা পকেট থেকে একটা ছোট বোতল বের করল। পাইপটা নামিয়ে রাখল একপাশে। বোতলের ছিপি খুলে ঢকঢক করে খানিকটা কড়া দেশী মদ গলায় ঢালল। বোতলটা ডগলাসের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলল, ‘খাবি নাকি?’

‘না আংকেল, অত কড়া সহ্য করতে পারব না…তুমি বলো, তারপর কি হলো?’

এদিক ওদিক মাথা দোলাল বাৰ্ট চাচা। ‘একেবারেই শিশু তোরা। জানিস, দাদুর সঙ্গে অনেক অল্প বয়েস থেকেই মাছ ধরতে যেতাম, দারুণ শীতের রাতে ওইটুকু বয়েসেই সাফ করে দিতাম বোতলকে বোতল! আহ্…কি দিনই না গেছে সে সব! তোরা, বুঝলি ডগ, তোরা এক্কেবারে নীরস! জীবন তো একেবারে ছোট নারে! কাটাবি কি করে বাকি দিনগুলো?’

‘সে এক রকমে কাটিয়ে দেবো। তুমি বলো তো তারপর কি হলো…ভড়কে গেছে বাচ্চাটা, তারপর?’

ছিপি আটকে ধীরে সুস্থে বোতলটা পকেটে রাখল বার্ট চাচা। পাইপটা তুলে নিয়ে টান দিল। ধোঁয়াটুকু গিলে মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে ছাড়ল আস্তে আস্তে। কথা যখন বলল, মনে হলো কোন স্বপ্নের জগতে চলে গেছে, ‘ডগ…সে দিনগুলো ভোলা যায় না রে! ভোরে অন্ধকার থাকতে থাকতেই উঠে পড়তাম। কুপির আলোয় তাড়াতাড়ি নাকেমুখে কিছু গুঁজে দিয়ে মাচা থেকে বৈঠাটা পেড়ে নিতাম। আমার তাড়াহুড়ো দেখে হাসত দাদু। দাদীকে বলত, শালা বড় হলে সাগরের পোকা হবে…তারপর…বেরিয়ে পড়তাম দাদুর সঙ্গে ডোরি নিয়ে…কত কি যে দেখতাম চলতে চলতে…সবচেয়ে ভাল লাগত আমার তিমিকে…আবছা একটা আলোর আভাস ফুটত পুব আকাশে…তারাগুলো যাই যাই করেও যেন যেতে চাইত না…এমনি সময়ে হয়তো আমাদের ডোরির কাছেই ভুস করে ভেসে উঠত কোন তিমি…ওদের শ্বাস ফেলার সময় পানির ফোয়ারা ছুটত…এত কাছে, বৃষ্টির মতো গায়ে এসে পড়ত পানির ছাট…গা-মাথা ভিজিয়ে দিত…দাদু বলত…’

‘তোমার এই গল্প আরেকদিন শুনব, আংকেল,’ অস্থির হয়ে পড়েছে ডগলাস, ‘দোহাই তোমার, তিমির বাচ্চাটার কি হলো বলো?’

‘অ্যাঁ!’ চমকে স্বপ্নের জগৎ থেকে ফিরে এলো বার্ট চাচা, ‘হ্যাঁ, নিচ থেকে ঠেলছে ওকে মা, যেন ডুবে না যায়। আঁইগুঁই করছে, কিন্তু ঠেলার চোটে ক্রমেই ওপরে উঠছে ও। নাক দিয়ে ঠেলে বাচ্চার মাথাটা পানির ওপরে তুলে দিল মা। সব তিমি মা-ই এরকম করে। সেই জন্মগত সংস্কার। নাকের কাজ করে যে ছিদ্রটা, তার সামনে থেকে একটা পর্দা সরে গেল, এক ঝলক বাতাস এসে ঢুকল বাচ্চার ফুসফুসে। বুঝে গেল কেন মা তাকে ঠেলে তুলেছে। স্বেচ্ছায় এবার আরেকবার পর্দাটা খুলতে গেল। সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের সাথে খানিকটা নোনা পানি ঢুকে গেল ওর নাকে। চমকে উঠে খাবি খেল একবার। ও তো আর জানে না সাগর এখন উথাল-পাতাল। ছোটখাট একটা ঝড় বইছে। মা-তিমি সরে যায়নি বাচ্চার তলা থেকে। ঠেলে রেখেছে। কয়েক সেকেণ্ডেই ঝড়ের রূপটা চিনে নিল বাচ্চা, বুঝে নিল ঢেউ কি জিনিস। কাজেই পরের বারে আর বোকার মতো পর্দা সরিয়ে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করল না। শ্বাস নেয়ার কায়দা একবার ঠকেই শিখে নিয়েছে, কখন বাতাস টানতে হয় বুঝে গেছে। ঢেউ যখন আসে, ধাক্কা দেয়, তখন নাকের পর্দা বন্ধ করে ফেলে, যখন সরে যায়, খুলে দিয়ে বাতাস টানে। খুশি হলো মা-তিমি। বেঁচে যাবে এই ছেলে, টিকে থাকতে পারবে কঠিন পৃথিবীতে।

‘অবশ্য তিমি শিকারীর কবলে পড়ে গেলে…আচ্ছা ডগ, এই নিষ্ঠুর লোকগুলো কেন নিরীহ জীবগুলোকে মারে বলতে পারিস? ওদের কি ক্ষতি করে তিমি? জিজ্ঞেস করলে বলবে তেলের জন্যে মারে। আরে দুনিয়ায় অত জিনিস থাকতে তিমির তেল ছাড়া চলছে না তোদের…’

‘ওই চশমখোরদের কথা বাদ দাও আংকেল, বাচ্চাটার কি হলো বলো?’

‘ছেলে কতটা সেয়ানা অনুমান করার জন্যে এবার হঠাৎ চট করে তার তলা থেকে সরে গেল মা। দুই-এক সেকেণ্ড অসহায় বোধ করল বাচ্চাটা, তারপরই সামলে নিল। সাহস বেড়ে গেল যখন দেখল মা সরে যাওয়ার পরও তলিয়ে যাচ্ছে না সে। এখন তার ভেতর বাতাস আছে তো, তাই ডুবছে না। দিব্যি পাখনা নেড়ে ভুরভুর করে পানি কেটে এগিয়ে চলল। মায়ের কাজ আপাতত শেষ। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে তার। বাচ্চার দায়িত্ব বান্ধবীর ওপর ছেড়ে দিয়ে বিশ্রামের সুযোগ করে নিল।

‘বাচ্চাটার পাশেই হুস করে ভেসে উঠল ধাইমা। কুঁৎ-কুঁতে চোখ মেলে খালাকে দেখল ছেলে। তাকে অভয় দেয়ার জন্যেই ডানা দিয়ে একটু আদর করল খালা। ব্যস, ভাব হয়ে গেল দুজনের।

‘সাঁতার কাটা যেন ভারি মজার, তরতরিয়ে কেবলই সাঁতার কাটছে বাচ্চাটা। পাশে খালা। ছেলে তো, দুরন্ত একটু বেশিই। মেয়ে হলে আরেকটু শান্ত হতো। কয়েক মিনিট সাঁতরে আর পানিতে ওপর-নিচ করে করেই ক্লান্ত হয়ে গেল বাচ্চাটা। কি যেন চাই ওর, কি যেন পাচ্ছে না, ভাবটা এরকম। কি সেটা? বুঝতে পারে না কি, কিন্তু কিছু একটা চাইছে ওর দেহ। খামোকাই নাক দিয়ে খালার পেটে এক ঢুঁ মারল। বিনিময়ে লেজ দিয়ে আলতো করে এক ঝাপটা মাল খালা। তারপর ডানা দিয়ে একপাশে ঠেলে দিল। যেন বোঝাল, ‘ওই জিনিস আমার কাছে নেই, বোকা ছেলে। তোমার মায়ের কাছে যাও।’

‘ইঙ্গিতটা ঠিক বুঝল না বাচ্চা, কিন্তু খালাকে ছেড়ে মায়ের দিকে এগিয়ে গেল। বাচ্চাটার খিদে লেগেছে, ঠিকই বুঝল মা। বিশাল স্তনে তার টন টন দুধের ভার। বাচ্চাটা কাছে আসতেই কাত হয়ে তরমুজের সমান বোঁটাটা বাড়িয়ে দিল। বাচ্চার ঠোঁট নেই। কিন্তু তাই বলে কি দুধ খাওয়া বন্ধ থাকবে? না। দুধ চুষে খেতে ঠোঁটের দরকার পড়ে না তিমির বাচ্চার। অন্য ব্যবস্থা আছে…’ খেয়াল হলো এই সময়ে বার্ট চাচার, ধোঁয়াটার আর তেমন স্বাদ নেই। তামাকটা বদলে নেয়া দরকার। পুড়ে যাওয়া তামাকটা পাইপ থেকে ফেলে দিয়ে তামাকের টিন খোলায় মন দিল ।

অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ডগলাস হান। পাইপে নতুন তামাক ঠেসে নিয়ে আগুন ধরিয়ে গোটা কয়েক লম্বা টান দেয়ার আগে আর মুখ খুলবে না চাচা, জানে সে। তবু জিজ্ঞেস করল, ‘তারপর?’

অধ্যায় ১ / ১৭

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন