দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ৫ ॥ এখন কথা হল স্মৃতিকথা লিখতে গেলে লেখক কি লিখবেন আর কি বাদ দেবেন। তাঁর কাছে যে সব তথ্যের গুরুত্ব আছে ; বাইরের লোকে তার কি বুঝবে? তিনি যা দেখছেন, যা শুনছেন, যা পড়ছেন, যা ভাবছেন, তাই দিয়ে তাঁর মন…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ১০ ॥ তারপর ত্রিশ বছর দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে যে কেটে গেল, ভাবলেও অবাক হই। সেদিন ভোরে উঠে বালিগঞ্জে ভাইবোনদের বাড়িতে দরজা পিটিয়ে তাদের তুলে ঐ সংবাদ দেবার কথা ভোলা যায় না। ঘুম-জড়ানো চোখে ওরা…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ১ ॥ আমাদের বিয়ের একটা যেমন-তেমন ন্যাড়া বিবরণী দিই শোন। আমাদের বিয়ের দিন দারুণ বৃষ্টি পড়েছিল। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি, বৃষ্টি পড়ার কোন কারণ ছিল না। পথ-ঘাট ভেসে গেল, সন্ধ্যার আগে গাড়ি…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ৩০ ॥ আমি ডায়োসেসান্ কলেজ থেকে পাস্ করে বেরোবার পর ৫০ বছর কেটে গেছে, কিন্তু এতদিনেও তার চাইতে ভালো একটা কলেজ দেখলাম না। মনে হত প্রত্যেকটি ছাত্রী সেখান থেকে কপালে একটা ছাপ নিয়ে বেরোত। সে ছাপ…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ১৫ ॥ ১৯৬৩ সালে আমার বয়স ছিল ৫৫। সেকালের ঐ বয়সে লোককে অকেজো মনে করে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হত। অথচ আমার মনে হয় অধিকাংশ কাজের মানুষদের কর্মক্ষমতার ঐ সময়েই হয় চরম বিকাশ, শরীরে সাধারণত এত আগে…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ১০ ॥ ১৯১৮ সালটির বিশ্বের ইতিহাসে একটা বিশেষ মূল্য আছে। মনে হয় ঐ সময় থেকেই রাজাদের যুগ ক্রমে শেষ হয়ে, জন-যুগের সূচনা হয়েছিল। তবে পাহাড়ের ওপরে ঐ সুন্দর জায়গাটির অবস্থান ছিল রাজনীতির…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ১৫ ॥ চক্ৰবেড়ের বাড়িতে থাকতে থাকতে হঠাৎ একজন দূরের মানুষ খুব কাছে এসে পড়লেন। তাঁর নাম ছিল সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র, তিনি আমার বড় মেসোমশাই। বড় মেসোমশাইয়ের কথা আগে বললেও, তাঁকে আগে কখনো ভাল করে…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ২৫ ॥ সতেরো বছর বয়স আমার। জীবনের মাধুর্যের দিকটা চোখের সামনে একটু একটু করে ফুটে উঠছিল। সদাই উদ্গ্রীব হয়ে থাকতাম, এই বুঝি রোমাঞ্চময়, কিছু ঘটবে। ছোট জ্যাঠামশায়ের বড় মেয়ে, আমাদের ‘বুলুদিও…
দ্বারা লীলা মজুমদার —॥ ২০ ॥ ট্যাক্সি থেকে নেমে দেখলাম এ গড়পার সে গড়পার নয়। এখানে হাসি নেই, কথা নেই, কাজ নেই, আনন্দ নেই। প্রেস্ বন্ধ; প্রেসের ঝম্ ঝম্ শব্দ বন্ধ। কে যেন মনের কানে বলে দিল এখানে আর কোনো দিন ওসব হবে…