নয়টি হাঁসকে রোজ চোখ মেলে ভোরে
    দেখা যায় জলপাই পল্লবের মতো স্নিগ্ধ জলে;
    তিনবার তিন গুনে নয় হয় পৃথিবীর পথে;
    এরা তবু নয়জন মায়াবীর মতো জাদুবলে!
    সে নদীর জল খুব গভীর–গভীর;
    সেইখানে শাদা মেঘ–লঘু মেঘ এসে
    দিনমানে কারো নীচে ডুবে গিয়ে তবু
    যেতে পারেনাকো কোনো সময়ের শেষে।
    চারিদিকে উঁচু উঁচু উলুবন, ঘাসের বিছানা;
    অনেক সময় ধ’রে চুপ থেকে হেমন্তের জল
    প্রতিপন্ন হ’য়ে গেছে যে সময়ে নীলাকাশ ব’লে
    সুদূরে নারীর কোলে তখন হাঁসের দলবল
    মিশে গেছে অপরাহ্নে রোদের ঝিলিকে;
    অথবা ঝাঁপির থেকে অমেয় খইয়ের রঙ ঝরে;
    সহসা নদীর মতো প্রতিভাত হয়ে যায় সব;
    নয়টি অমল হাঁস নদীতে রয়েছে মনে পড়ে।

    টীকা