আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
    র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
    আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
    বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।

    আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
    পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
    এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়–
    আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।

    এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
    বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
    প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
    সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।

    আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর
    তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,
    এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
    এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।

    আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
    পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,
    দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার
    ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।

    আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
    অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
    এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে
    এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।

    তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
    এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
    বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
    এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।

    এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
    পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
    এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়–
    এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

    টীকা