পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলামঃ
    ফুটপাতে এক মরা চিল!

    চমকে উঠলাম ওর করুণ বীভৎস মূর্তি দেখে।
    অনেক উঁচু থেকে যে এই পৃথিবীটাকে দেখেছে
    লুণ্ঠনের অবাধ উপনিবেশ;
    যার শ্যেন দৃষ্টিতে কেবল ছিল
    তীব্র লোভ আর ছোঁ মারার দস্যু প্রবৃত্তি–
    তাকে দেখলাম, ফুটপাতে মুখ গুঁজে প’ড়ে।
    গম্বুজশিখরে বাস করত এই চিল,
    নিজেকে জাহির করত সুতীক্ষ্ণ চীৎকারে;
    হালকা হাওয়ায় ডানা মেলে দিত আকাশের নীলে-
    অনেককে ছাড়িয়েঃ এককঃ
    পৃথিবী থেকে অনেক, অনেক উঁচুতে।

    অনেকে আজ নিরাপদ;
    নিরাপদ ইঁদুর ছানারা আর খাদ্য-হাতে ত্রস্ত পথচারী,
    নিরাপদ–কারণ আজ সে মৃত।
    আজ আর কেউ নেই ছোঁ মারার,
    ওরই ফেলে-দেওয়া উচ্ছিষ্টের মতো
    ও পড়ে রইল ফুটপাতে,
    শুক্‌নো-শীতল, বিকৃত দেহে।

    হাতে যাদের ছিল প্রাণধারণের খাদ্য
    বুকের কাছে সযত্নে চেপে ধরা–
    তারা আজ এগিয়ে গেল নির্ভয়ে;
    নিষ্ঠুর বিদ্রূপের মতো পিছনে ফেলে
    আকাশচ্যুত এক উদ্ধত চিলকে।।

    টীকা