মাঠ থেকে মাঠে মাঠে — সমস্ত দুপুর ভরে এশিয়ার আকাশে আকাশে
    শকুনেরা চরিতেছে; মানুষ দেখেছে হাট ঘাঁটি বস্তি — নিস্তব্ধ প্রান্তর
    শকুনের; যেখানে মাঠের দৃঢ় নীরবতা দাঁড়ায়েছে আকাশের পাশে
    আরেক আকাশ যেন — সেইখানে শকুনেরা একবার নামে পরস্পর
    কঠিন মেঘের থেকে — যেন দূর আলো ছেড়ে ধুম্র ক্লান্ত দিক্‌হস্তিগণ
    পড়ে গেছে — পড়ে গেছে পৃথিবীতে এশিয়ার ক্ষেত মাঠ প্রান্তরের ‘পর
    এই সব ত্যক্ত পাখি কয়েক মুহুর্তে শুধু — আবার করিছে আরোহণ
    আঁধার বিশাল ডানা পাম্‌ গাছে — পাহাড়র শিঙে শিঙে সমুদ্রের পারে;
    একবার পৃথিবীর শোভা দেখে — বোম্বায়ের সাগরের জাহাজ কখন
    বন্দরের অন্ধকারে ভিড় করে, দেখে তাই — একবার স্নিগ্ধ মালাবারে
    উড়ে যায় — কোন্‌ এক মিনারের বিমর্ষ কিনার ঘিরে অনেক শকুন
    পৃথিবীর পাখিদের ভুলে গিয়ে চলে যায় যেন কোন্‌ মৃত্যুর ওপারে;
    যেন কোন্‌ বৈতরণী অথবা এ জীবনের বিচ্ছেদের বিষন্ন লেগুন
    কেঁদে ওঠে… চেয়ে দেখে কখন গভীর নীলে মিশে গেছে সেই সব হূন।

    টীকা